'সকলের তরে সকলে আমরা/প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।' - কার রচিত পংক্তি?
A
রজনীকান্ত সেন
B
ইসমাইল হােসেন সিরাজী
C
কামিনী রায়
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
উত্তরের বিবরণ
প্রদত্ত লাইন দুটি কবি কামিনী রায় রচিত "পরার্থে" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কামিনী রায় (১৮৬৪-১৯৩৩) ছিলেন একজন উজ্জ্বল কবি এবং সমাজকর্মী, যিনি সাহিত্য ও জনকল্যাণে সমানভাবে অবদান রেখেছেন।
তিনি নারীর উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
-
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন: কামিনী রায় জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর বাকেরগঞ্জের বাসন্ডা গ্রামে। মাত্র আট বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।
-
সাহিত্যকর্ম: তিনি 'জনৈক বঙ্গ মহিলা' নামে কাব্যচর্চা করতেন এবং সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও জনহিতকর কাজে নিবেদিত ছিলেন।
-
সামাজিক অবদান: নারীশ্রমিক তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য (১৯২২-২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে সাহিত্য শাখার সভানেত্রী (১৯৩০), এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর সহসভাপতি (১৯৩২-৩৩) ছিলেন।
-
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ:
-
আলো ও ছায়া (১৮৮৯) – ভূমিকা লিখেছেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
-
নির্মাল্য (১৮৯১)
-
পৌরাণিকী (১৮৯৭)
-
গুঞ্জন (শিশুকাব্য, ১৯০৫)
-
ধর্ম্মপুত্র (অনুবাদ, ১৯০৭)
-
মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)
-
অশোকসঙ্গীত (সনেট, ১৯১৪)
-
অম্বা (নাটক, ১৯১৫)
-
বালিকা শিক্ষার আদর্শ (১৯১৮)
-
ঠাকুরমার চিঠি (১৯২৪)
-
দীপ ও ধূপ (১৯২৯)
-
জীবনপথে (সনেট, ১৯৩০)
-
উল্লেখযোগ্য যে, "পরার্থে" কবিতার উদ্ধৃত লাইনগুলোতে কামিনী রায় মানুষের পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববোধ ও অন্যের কল্যাণে জীবন যাপনের মূল্য ফুটিয়ে তুলেছেন:
"আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।"
0
Updated: 1 month ago
'ইচ্ছা' এর প্রতিশব্দ—
Created: 1 month ago
A
পুলক
B
আহ্লাদ
C
পরিতোষ
D
বাঞ্ছা
• ইচ্ছা শব্দের প্রতিশব্দ:
- আকাঙ্ক্ষা, আশা, অভিলাষ, প্রার্থনা, চাওয়া, স্পৃহা, অভিপ্রায়, সাধ, অভিরুচি, প্রবৃত্তি, বাসনা, কামনা, বাঞ্ছা।
অন্যদিকে,
• আনন্দ শব্দের প্রতিশব্দ:
- খুশি, আমোদ, মজা, পুলক, হর্ষ, আহ্লাদ, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রমোদ, উল্লাস, উচ্ছ্বাস।
0
Updated: 1 month ago
'পক্ষ' - শব্দের সঠিক উচ্চারণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পক্খো
B
পোঁক্খ
C
পোক্খো
D
পোক্ক্ষ
বাংলা ভাষায় ‘অ’ বর্ণের উচ্চারণ দুইভাবে ঘটে: [অ] এবং [ও]।
-
সাধারণ উচ্চারণ [অ]: স্বাভাবিকভাবে অ বর্ণকে [অ] হিসেবে উচ্চারণ করা হয়।
-
উদাহরণ: অনেক [অনেক্], কথা [কথা্], অনাথ [অনাথ্]।
-
-
[ও] রূপে উচ্চারণ: পাশের ধ্বনির প্রভাবে কখনো কখনো অ বর্ণকে [ও]-এর মতো উচ্চারণ করা হয়।
-
উদাহরণ: অতি [ওতি], অণু [ওনু], পক্ষ [পোক্খো], অদ্য [ওদ্দো], মন [মোন্]।
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি?
Created: 1 month ago
A
ষোড়শ
B
তন্বী
C
নায়ক
D
পবিত্র
নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি:
কতগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসারে হয় না, সেগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
নিচে কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ হলো:
- আ + চর্য = আশ্চর্য,
- গো + পদ = গোষ্পদ,
- আ + পদ = আস্পদ,
- পর + পর = পরস্পর,
- ষট্ + দশ = ষোড়শ,
- এক + দশ = একাদশ,
- হরি + চন্দ্র = হরিশ্চন্দ্র,
- পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
- তন্বী = তনু + ঈ
- নায়ক =নৈ+ অক,
- পবিত্র = পো + ইত্র।
- শব্দগুলো স্বরসন্ধির উদাহরণ।
0
Updated: 1 month ago