'অভীক' রবীন্দ্রনাথের কোন গল্পের নায়ক?
A
নষ্টনীড়
B
নামঞ্জুর
C
রবিবার
D
ল্যাবরেটরি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের জনক হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি আধুনিক বাংলা ছোটগল্পের পথপ্রদর্শক। তার প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্পের নাম ভিখারিণী, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথম ছোটগল্প হিসেবে স্বীকৃত।
রবীন্দ্রনাথের লেখা আধুনিক মনস্তত্ত্বভিত্তিক ছোটগল্পগুলো মূলত মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করে এবং নর-নারীর সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরে।
-
রবীন্দ্রনাথের আধুনিক মনস্তত্ত্বভিত্তিক ছোটগল্প:
-
রবিবার
-
শেষকথা
-
ল্যাবরেটরি
এই গল্পগুলো তার "তিন সঙ্গী" গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। এ গল্পগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য হলো সময়ের প্রাসঙ্গিকতা মেনে নর-নারীর সম্পর্কের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
-
-
গল্প অনুযায়ী চরিত্র:
-
রবিবার: অভীক কুমার বা অভয়চরণ, বিভা
-
ল্যাবরেটরি: সোহিনী
-
নষ্টনীড়: চারুলতা, ভূপতি, উমাপতি, মন্দাকিনী, অমল
-
নামঞ্জুর: অমিয়া
-
0
Updated: 1 month ago
শচীন, দামিনী ও শ্রীবিলাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
চতুরঙ্গ
B
চার অধ্যায়
C
নৌকাডুবি
D
ঘরে বাইরে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ১৮৬১-১৯৪১ সালে জীবিত, একজন বহুপ্রতিভাবান ব্যক্তি যিনি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত।
তিনি মূলত কবি হিসেবেই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, এবং ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। এশিয়ার মধ্যে তিনিই প্রথম এই গৌরব অর্জন করেন। রবীন্দ্রনাথ মোট বারোটি উপন্যাস রচনা করেছেন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হলো চতুরঙ্গ, যা প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে।
-
এটি তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস, যা সাধু ভাষায় লেখা।
-
চতুরঙ্গ সমালোচকদের মধ্যে বিশেষভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল, কারণ প্রথমে এটি মাসিক পত্রিকা **‘সবুজপত্র’**ে ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম প্রকাশের সময় প্রতিটি অধ্যায় আলাদা আলাদা গল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এই গল্পগুলোর নাম ছিল জ্যাঠামশায়, শচীশ, দামিনী, শ্রীবিলাস।
উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো:
-
জ্যাঠামশায়
-
শচীশ
-
দামিনী
-
শ্রীবিলাস
-
তৎকালীন ‘সবুজপত্র’ পাঠকরা ভাবতেন যে তারা আলাদা আলাদা গল্প পড়ছেন, কিন্তু পরে জানা যায় এগুলো ছিল এককভাবে চতুরঙ্গ উপন্যাসের অংশ।
-
রবীন্দ্রনাথ নিজেই উপন্যাসটির সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করেছেন: “এই বইখানির নাম চতুরঙ্গ। ‘জ্যাঠামশায়’, ‘শচীশ’, ‘দামিনী’ ও ‘শ্রীবিলাস’ ইহার চারি অংশ।”
0
Updated: 1 month ago
'চন্দরা' চরিত্রের স্রষ্টা কে?
Created: 2 months ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
সৈয়দ শামসুল হক
চন্দরা ও ‘শাস্তি’ ছোটগল্প
-
চরিত্র পরিচিতি:
‘শাস্তি’ গল্পের প্রধান চরিত্র চন্দরা। চন্দরা একজন তীব্র ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী, যিনি সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর হলেও দৃঢ়চিত্ত ও সাহসী। -
গল্পের সংক্ষিপ্ত কাহিনি:
গল্পে চন্দরার বড় ভাই রাগের বশে তার স্ত্রীকে হত্যা করে এবং দোষ চাপিয়ে দেয় ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চন্দরার উপর। নিজের স্বামীর কথায় চন্দরা স্তব্ধ হয়ে যায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকেই মানতে হয় তাকে। -
গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ:
চন্দরার স্বামীর একটি সংলাপ—
“ঠাকুর, বউ গেলে বউ পাইব কিন্তু আমার ভাই ফাঁসি গেলে আর তো ভাই পাইব না।”
-
অন্যান্য চরিত্র:
-
দুখিরাম
-
ছিরাম
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য ছোটগল্পের চরিত্র উদাহরণ
| গল্প | চরিত্র |
|---|---|
| একরাত্রি | সুরবালা |
| নষ্টনীড় | চারুলতা |
| সমাপ্তি | মৃন্ময়ী |
| শাস্তি | চন্দরা |
| পোস্টমাস্টার | রতন |
উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পসমূহ
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
নিশীতে
-
মণিহারা
-
কঙ্কাল
-
রবিবার
-
শেষকথা
-
পোস্টমাস্টার
-
ল্যাবরেটরি
-
দেনাপাওনা
-
রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
-
যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ
-
অনধিকার প্রবেশ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শাস্তি ছোটগল্প।
0
Updated: 2 months ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়াই কি ধরনের চরিত্র?
Created: 3 months ago
A
শ্রী রাধার ননদিনী
B
শ্রী রাধার শাশুড়ি
C
রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
D
জনৈক গোপবালা
‘বড়ায়ি’ ছিলেন রাধাকৃষ্ণ প্রেমপর্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ দূতী চরিত্র।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রাচীনতম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিশেষভাবে স্বীকৃত।
১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘরে পুথিটি আবিষ্কার করেন বিশিষ্ট পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ।
পুথিটির প্রারম্ভে কোনো শিরোনাম অনুপস্থিত থাকায়, আবিষ্কারক বসন্তরঞ্জন রায়ই একে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে অভিহিত করেন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও চিহ্নিত করা হয়।
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর উদ্যোগে এই পুথিটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায়।
চলমান পাণ্ডুলিপির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় কবির পরিচয় নির্দিষ্টভাবে পাওয়া না গেলেও, কবিতায় পাওয়া “চণ্ডীদাস” ও “বড়ু চণ্ডীদাস” নামের ভিত্তিতে এই কাব্যের রচয়িতা হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাস-কে গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কাব্যটি মূলত এক গীতি-আলেখ্য যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমপর্বের নানা রূপ ও পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে তিনটি মুখ্য চরিত্র—শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি—যারা কাব্যের কাহিনি গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মোট ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত, যেগুলো হলো:
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
এই কাব্য বাংলা সাহিত্য এবং ধর্মীয় ভক্তিমূলক চর্চার এক অমূল্য নিদর্শন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 3 months ago