'আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে।'—এই মনােবাঞ্ছাটি কার?
A
ভবানন্দের
B
ভাঁড়ুদত্তের
C
ঈশ্বরী পাটুনীর
D
ফুল্লরার
উত্তরের বিবরণ
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” উক্তিটি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল কাব্যের অমর প্রার্থনা, যা করে ঈশ্বরী পাটনী।
এই প্রার্থনাটি ঘটে যখন দেবী অন্নদা তার খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে বর চাইতে যান এবং ঈশ্বরী পাটনীকে অনুরোধ জানান।
-
অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, আঠারো শতকের বাংলা সাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ কবি।
-
কাব্যের রচনা: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে রচিত।
-
অন্নদামঙ্গল কাব্যের তিনটি খণ্ড:
১. অন্নদামঙ্গল
২. বিদ্যাসুন্দর
৩. ভবানন্দ-মানসিংহ কাহিনী

0
Updated: 13 hours ago
'সন্ধ্যাভাষা' কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
চর্যাপদ
B
পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
রোমান্সকাব্য
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যা “চর্যাগীতি” বা “চর্যাগীতিকোষ” নামেও পরিচিত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যসংকলন বা গানের সংকলন।
-
চর্যাপদের মূল বিষয়বস্তু বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী সাধনা ও ভজনের তত্ত্ব।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট; তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলাও হয়।
-
প্রাচীন ছন্দে রচিত চর্যাপদের পদগুলোর আধুনিক বিশ্লেষণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ধরা হয়েছে।
চর্যাপদ বিষয়ে গবেষণা
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
এছাড়াও ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করেছেন।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের সহজিয়ান প্রসঙ্গে অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচর্য, বৈদ্ধ সহজান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 2 weeks ago
যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশুগৃহে তার দেখিবে না আর নিশিথে ভাতি- এই অংশের সম্প্রসারণে কোন ভাষাটি সঠিক?
Created: 3 days ago
A
দিনের বেলায় আলোর উৎস সূর্য
B
দিনের বেলায় প্রদীপ জ্বালানো আবশ্যক
C
দিনের বেলায় প্রদীপ জ্বালানো অপচয়ের নামান্তর
D
অপব্যয়ের পরিণাম অত্যন্ত দুঃখজনক
উক্ত পংক্তিতে কবি বোঝাতে চেয়েছেন— যে ব্যক্তি দিনের আলো থাকাকালীন অকারণে মোমবাতি জ্বালায়, সে আসল প্রয়োজনের সময় (রাত্রে) আর আলো জ্বালাতে পারবে না।
এর অর্থ হলো, অযথা ব্যয় করলে বা অপচয় করলে প্রয়োজনকালে অভাব দেখা দেয়। তাই এখানে মূল শিক্ষা হলো অপব্যয়ের পরিণাম দুঃখজনক।
ক, খ, গ বিকল্পে আংশিক সত্য থাকলেও মূল বক্তব্যকে ধারণ করে না। সঠিক সম্প্রসারণ হলো "অপব্যয়ের পরিণাম অত্যন্ত দুঃখজনক"।

0
Updated: 3 days ago
বাক্যের দুটি অংশ থাকে
Created: 5 days ago
A
প্রসাদগুণ, মাধুৰ্যগুণ
B
উপমা, অলংকার
C
উদ্দেশ্য, বিধেয়
D
সাধু, চলিত
বাক্যের গঠন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে তৈরি, যা হলো উদ্দেশ্য এবং বিধেয়। বাক্যের উদ্দেশ্য হলো সেই অংশ যেখানে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়,
আর বিধেয় হলো সেই অংশ যা কর্তা বা উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বাক্যে তথ্য বা কার্য প্রকাশ করে। এই দুটি অংশের মাধ্যমে একটি বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ হয়।
-
উদ্দেশ্য: বাক্যের সেই অংশ যেখানে কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
-
মামুন বল খেলে।
এখানে 'মামুন' হলো বাক্যের উদ্দেশ্য, কারণ বাক্যটি তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে।
-
-
বিধেয়: কর্তা বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাক্যে যা কিছু বলা হয়, সেই অংশকে বিধেয় বলে। সাধারণত বিধেয় অংশে ক্রিয়া থাকে। উদাহরণস্বরূপ:
-
মামুন বল খেলে।
এখানে 'বল খেলে' অংশটি বাক্যের বিধেয়, কারণ এটি কর্তা 'মামুন' সম্বন্ধে কার্য প্রকাশ করছে।
-

0
Updated: 5 days ago