'ব্যক্ত প্রেম' ও 'গুপ্ত প্রেম' কবিতা দুটি রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
A
খেয়া
B
মানসী
C
কল্পনা
D
সােনার তরী
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং ছোট গল্পের জনক হিসেবে পরিচিত। তাঁকে সাধারণভাবে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।
তাঁর সাহিত্যিক দক্ষতা ও কাব্যশৈলীর পূর্ণ প্রকাশ দেখা যায় তাঁর কাব্যগ্রন্থ "মানসী"-তে, যা ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয় এবং কবির কাব্যকলার প্রতিষ্ঠামূলক কাব্যগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।
কবি বুদ্ধদেব বসু এই কাব্যগ্রন্থকে রবীন্দ্র-কাব্যের অনুবিশ্ব হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
মানসী কাব্যগ্রন্থে মোট ৬৬টি কবিতা রয়েছে।
-
উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
উপহার
-
নিস্ফল উপহার
-
ক্ষণিক মিলন
-
নিস্ফল কামনা
-
অহল্যার প্রতি
-
নবদম্পতির প্রেমালাপ
-
মানসিক অভিসার
-
পুরুষের উক্তি
-
নারীর উক্তি
-
ব্যক্ত প্রেম
-
গুপ্ত প্রেম
-
অনন্ত প্রেম
-
শেষ উপহার ইত্যাদি
-
0
Updated: 1 month ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায়-
Created: 4 months ago
A
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B
ভারতচন্দ্র রায়
C
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
D
কামিনী রায়
অন্নদামঙ্গল কাব্য ও ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ পঙক্তির ব্যাখ্যা
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলকাব্য হলো অন্নদামঙ্গল, যার রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যে মানবজীবনে দেবীর কৃপা, ধর্ম ও সামাজিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
অন্নদামঙ্গল কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত:
-
শিবনারায়ণ খণ্ড
-
কালিকামঙ্গল খণ্ড
-
মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড
এই কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ও ঈশ্বরী পাটনী।
ঈশ্বরী পাটনী ছিলেন ভবানন্দের স্ত্রী, যিনি মাতা হিসেবে সন্তানকে নিয়ে গভীর মমতাভরে একটি প্রার্থনা করেন। তাঁর মুখ দিয়ে ভারতচন্দ্র উচ্চারণ করেন এক বিখ্যাত পঙক্তি—
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।"
এই সরল অথচ হৃদয়স্পর্শী বাক্যটি বাঙালি মাতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য প্রার্থনা করছেন যাতে সন্তান ক্ষুধার কষ্ট না পায়—দুধ আর ভাত যেন তার জীবনে অবারিত থাকে।
এই কাব্যের কয়েকটি স্মরণীয় পঙক্তি হলো:
-
“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।”
-
“নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”
-
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।”
এই পঙক্তিগুলি কেবল কাব্যিক সৌন্দর্যের নিদর্শনই নয়, বরং সমাজ, ধর্ম ও মানবিক মূল্যবোধের পরিচায়ক হিসেবেও বিবেচিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 4 months ago
'চণ্ডীমঙ্গল' কাব্যের উপাস্য ‘চণ্ডী' কার স্ত্রী?
Created: 1 month ago
A
জগন্নাথ
B
বিষ্ণু
C
প্রজাপতি
D
শিব
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য হলো চণ্ডী নামক লৌকিক-পৌরাণিক দেবীর পূজা প্রচারের কাহিনী অবলম্বনে রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাব্য। এটি বাংলার মধ্যযুগীয় সাহিত্য ধারা চণ্ডীমঙ্গলের অন্তর্গত, যেখানে দেবীর ভক্তি ও কাহিনীর মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবনা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন মানিক দত্ত, যিনি চতুর্দশ শতকের কবি।
-
চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান কবি হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, যিনি ষোল শতকের কবি।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান দুটি কাহিনী হলো:
-
কালকেতু ও ফুল্লুরা কাহিনী
-
ধনপতি - লহনা - খুলনা কাহিনী
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলি হলো:
-
কালকেতু
-
ফুল্লুরা
-
ধনপতি
-
ভাঁড়ুদত্ত
-
মুরারি শীল
কাব্যের দেবতা চণ্ডী ছিলেন শিবের স্ত্রী। কাব্যে চণ্ডীর ইচ্ছে ছিল পৃথিবীতে তাঁর পূজা প্রচার করা। এজন্য তিনি শিবকে অনুরোধ করেন, যাতে শিবের একনিষ্ঠ উপাসক নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়। শিব বিনা অপরাধে নীলাম্বরকে পাঠাতে রাজি হননি, তবে চণ্ডী ষড়যন্ত্র করে নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠান।
পরবর্তীতে নীলাম্বরের ঘরে জন্ম নেয় কালকেতু, যিনি ‘ধর্মকেতু’ নামের একজন ব্যাধের ছেলে। স্বর্গে চণ্ডীর স্ত্রী ছায়া পৃথিবীতে জন্ম নেন ফুল্লুরা নামে।
0
Updated: 1 month ago
কোন কবিতাটি 'অগ্নিবীণা' কাব্যের নয়?
Created: 1 month ago
A
প্রলয়োল্লাস
B
ধূমকেতু
C
রণভেরী
D
যৌবনের গান
অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ
-
রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম
-
উল্লেখযোগ্য: প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
-
বিখ্যাত কবিতা: বিদ্রোহী (যার জন্য তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত হন)
-
উৎসর্গ: বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
-
মোট কবিতা: ১২
কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহ:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
প্রবন্ধ: যৌবনের গান
0
Updated: 1 month ago