'চণ্ডীমঙ্গল' কাব্যের উপাস্য ‘চণ্ডী' কার স্ত্রী?
A
জগন্নাথ
B
বিষ্ণু
C
প্রজাপতি
D
শিব
উত্তরের বিবরণ
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য হলো চণ্ডী নামক লৌকিক-পৌরাণিক দেবীর পূজা প্রচারের কাহিনী অবলম্বনে রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাব্য। এটি বাংলার মধ্যযুগীয় সাহিত্য ধারা চণ্ডীমঙ্গলের অন্তর্গত, যেখানে দেবীর ভক্তি ও কাহিনীর মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবনা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন মানিক দত্ত, যিনি চতুর্দশ শতকের কবি।
-
চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান কবি হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, যিনি ষোল শতকের কবি।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান দুটি কাহিনী হলো:
-
কালকেতু ও ফুল্লুরা কাহিনী
-
ধনপতি - লহনা - খুলনা কাহিনী
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলি হলো:
-
কালকেতু
-
ফুল্লুরা
-
ধনপতি
-
ভাঁড়ুদত্ত
-
মুরারি শীল
কাব্যের দেবতা চণ্ডী ছিলেন শিবের স্ত্রী। কাব্যে চণ্ডীর ইচ্ছে ছিল পৃথিবীতে তাঁর পূজা প্রচার করা। এজন্য তিনি শিবকে অনুরোধ করেন, যাতে শিবের একনিষ্ঠ উপাসক নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়। শিব বিনা অপরাধে নীলাম্বরকে পাঠাতে রাজি হননি, তবে চণ্ডী ষড়যন্ত্র করে নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠান।
পরবর্তীতে নীলাম্বরের ঘরে জন্ম নেয় কালকেতু, যিনি ‘ধর্মকেতু’ নামের একজন ব্যাধের ছেলে। স্বর্গে চণ্ডীর স্ত্রী ছায়া পৃথিবীতে জন্ম নেন ফুল্লুরা নামে।

0
Updated: 14 hours ago
কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
Created: 1 month ago
A
বিদ্রোহী
B
আনন্দময়ীর আগমনে
C
রক্তাম্বরধারিণী মা
D
কোনটিই নয়
অনেক সময় বলা হয় যে কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ‘অগ্নিবীণা’ কখনও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে এই কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’ শীর্ষক কবিতাটি ব্রিটিশ শাসকদের দ্বারা নিষিদ্ধ হয়েছিল।
[এই তথ্যের ভিত্তিতে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে ‘ঘ’ বিকল্পটি বিবেচিত হয়েছে]
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
‘অগ্নিবীণা’ হচ্ছে কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
এই গ্রন্থের অন্যতম জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী কবিতা ‘বিদ্রোহী’, যার মাধ্যমে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
-
গ্রন্থটির সূচনা কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’।
-
নজরুল এই কাব্যগ্রন্থটি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছিলেন।
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত মোট ১২টি কবিতা:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
মূল ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ

0
Updated: 1 month ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে'-এ প্রার্থনাটি করেছে-
Created: 2 months ago
A
ভাঁড়ুদত্ত
B
চাঁদ সওদাগর
C
ঈশ্বরী পাটনী
D
নলকুবের
• অন্নদামঙ্গল কাব্য:
- অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- তাকে মধ্যযুগের প্রথম নাগরিক কবি বলা হয়।
- এই কাব্যের প্রধান চরিত্র: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ঈশ্বরী পাটনী ইত্যাদি।
- অন্নদামঙ্গল কাব্য তিনখণ্ডে বিভক্ত: শিবনারায়ণ, কালিকামঙ্গল ও মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড।
- অন্নদামঙ্গল কাব্যের চরিত্র ঈশ্বরী পাটনীর উক্তি:
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে'।
• অন্নদামঙ্গল কাব্যের কিছু বিখ্যাত পঙক্তি হলো-
- 'মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।’
- 'নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?'
- 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।’
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
'সঞ্চিতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
জীবনানন্দ দাশ
কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন: ‘সঞ্চিতা’
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সঞ্চিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে। এটি তাঁর কবিতা ও গানের একটি সংকলন, যাতে মোট ৭৮টি রচনা স্থান পেয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে উৎসর্গ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। নজরুলের কাব্যচর্চার বৈচিত্র্য, ভাবপ্রবাহ এবং ভাষার দ্যুতি অনুধাবনের জন্য ‘সঞ্চিতা’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ‘সঞ্চিতা’ কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ, আর ‘সঞ্চয়িতা’ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত কবিতা সংকলন—যা অনেক সময় পাঠকের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago