নিচের কোনটি বাংলা ধাতুর দৃষ্টান্ত?
A
কহ্
B
কথ্
C
বুধ্
D
গঠ্
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় ক্রিয়াপদের মূল অংশকে ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলা হয়। ধাতু হলো সেই মৌলিক অংশ, যা থেকে বিভিন্ন ক্রিয়ার রূপ সৃষ্টি হয়। এটি মূলত তিন প্রকারে বিভক্ত।
-
মৌলিক ধাতু: যেসব ধাতু আর বিশ্লেষণ করা যায় না, সেগুলো মৌলিক ধাতু নামে পরিচিত। এগুলোকে সিদ্ধ বা স্বয়ংসিদ্ধ ধাতুও বলা হয়।
উদাহরণ: চল্, পড়, কর্, শো, হ, খা ইত্যাদি।
মৌলিক ধাতু আবার তিন ভাগে বিভক্ত—-
বাংলা ধাতু: যেসব ধাতু সংস্কৃত থেকে সরাসরি আসে নি। উদাহরণ: কাদ্, কাট্, নাচ্, আক্, কহ্, কর্ ইত্যাদি।
-
সংস্কৃত ধাতু: যেগুলো সরাসরি সংস্কৃত থেকে এসেছে। উদাহরণ: কথ্, বুধ্, গঠ্।
-
বিদেশি ধাতু: বিদেশি উৎস থেকে আগত ধাতু।
-
-
সাধিত ধাতু: মৌলিক ধাতুর সঙ্গে উপসর্গ যোগ করে গঠিত ধাতুকে সাধিত ধাতু বলা হয়।
-
যৌগিক সংযোগমূলক ধাতু: দুটি বা ততোধিক ধাতুর মিলনে নতুন ধাতু গঠিত হলে তা যৌগিক সংযোগমূলক ধাতু নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সাম্যবাদ
B
স্থিরপ্রতিজ্ঞ
C
সস্ত্রীক
D
সবিনয়
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
যে সমাসে কর্মধারয় পদ থেকে মধ্যপদটি লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
পল (মাংস) + অন্ন → পলান্ন
-
সিংহ + আসন → সিংহাসন
-
প্রীতি + উপহার → প্রীতিউপহার
-
মৌ + মাছি → মৌমাছি
-
সাহিত্য + সভা → সাহিত্যসভা
-
ঘর + জামাই → ঘরজামাই
-
স্মৃতি + সৌধ → স্মৃতিসৌধ
বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ সরাসরি বোঝা না গিয়ে অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
আয়ত লোচন যার → আয়তলোচনা (স্ত্রী)
-
মহান আত্মা যার → মহাত্মা
-
স্বচ্ছ সলিল যার → নীলবসনা
-
স্থির প্রতিজ্ঞা যার → স্থিরপ্রতিজ্ঞ
-
ধীর বুদ্ধি যার → ধীরবুদ্ধি
-
সহার্থক বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সহার্থক পদ (অর্থ-সহ অর্থজ্ঞাপক) সঙ্গে বিশেষ্য পদ যুক্ত হয়, তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে।
-
উদাহরণ:
-
স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান → সস্ত্রীক
-
বিনয়ের সঙ্গে বর্তমান → সবিনয়
-
অন্যান্য: সফল, সবান্ধব, সকরুণ, সহিত, সবল, সহদয়, সক্রিয়, সবিরাম, সগোত্র, সচকিত
-
উৎস:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
ক্রিয়াপদের মূল অংশকে কী বলে?
Created: 3 months ago
A
কর্ম
B
ধাতু
C
প্রত্যয়
D
বিভক্তি
ধাতু বা ক্রিয়ামূল
-
যে শব্দ দিয়ে কোনো কাজ বা কার্য বোঝায়, তাকে বলা হয় ক্রিয়াপদ।
-
ক্রিয়াপদের মূল অংশকে বলা হয় “ধাতু” বা “ক্রিয়ামূল”।
-
ধাতু তিন ধরনের হতে পারে:
-
মৌলিক ধাতু – যেমন: খা (খাওয়া), যাও (যাওয়া)
-
সাধিত ধাতু – মূল ধাতু থেকে বানানো ধাতু
-
যৌগিক ধাতু – একাধিক ধাতু মিলিয়ে তৈরি হয়
-
ক্রিয়াপদ কীভাবে গঠিত:
-
একটি ক্রিয়াপদ বিশ্লেষণ করলে সাধারণত দুটি অংশ পাওয়া যায়:
-
ধাতু বা ক্রিয়ামূল
-
ক্রিয়া-বিভক্তি
যেমন: করলাম → ‘কর’ (ধাতু) + ‘লাম’ (ক্রিয়া-বিভক্তি)
-
কর্ম:
-
যে জিনিস বা ব্যক্তি কোনো কাজের উপর প্রভাব ফেলে বা কাজটি যার উপরে হয়, তাকে বলে কর্ম।
উদাহরণ: রানা বই পড়ে। এখানে “বই” হলো কর্ম।
বিভক্তি:
-
পদের সঙ্গে যুক্ত এমন কিছু শব্দাংশ, যা কারক বা ক্রিয়ার সময় বোঝায়, তাকে বিভক্তি বলে।
-
বিভক্তি দুই রকম:
-
ক্রিয়া-বিভক্তি – যেমন: করলাম → “লাম” হলো ক্রিয়া-বিভক্তি
-
কারক-বিভক্তি – যেমন: কৃষকের → “এর” হলো কারক-বিভক্তি
-
প্রত্যয়:
-
শব্দ বা ধাতুর শেষে এমন কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়, যেগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থ নেই কিন্তু নতুন শব্দ তৈরি করে, এগুলোকে প্রত্যয় বলে।
-
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ = বাঘা
-
দিন + ইক = দৈনিক
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ।
0
Updated: 3 months ago
সাধারণ পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পহেলা
B
দ্বিতীয়া
C
একত্রিশে
D
সোয়া
পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ (Ordinal Numbers)
বাংলা ভাষায় পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ তিন প্রকার:
১. সাধারণ পূরণবাচক
-
সংজ্ঞা: ক্রমবাচক সংখ্যার অবস্থান বা পর্যায় নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ ইত্যাদি।
-
সংক্ষিপ্ত রূপ: ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম ইত্যাদি।
-
১১–১৮ পর্যন্ত পূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত রূপ:
-
১১: একাদশ (১১শ) / এগারোতম (১১তম)
-
১২: দ্বাদশ (১২শ) / বারোতম (১২তম)
-
১৩: ত্রয়োদশ (১৩শ) / তেরোতম (১৩তম) …
-
-
১৯–৯৯ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত রূপ: শুধু ‘তম’ প্রত্যয় যোগ।
-
উদাহরণ: উনিশতম (১৯তম), বিশতম (২০তম), একুশতম (২১তম), আটাশতম (২৮তম), নিরানব্বইতম (৯৯তম)
-
-
নারীবাচক রূপ:
-
প্রথমা (১মা), দ্বিতীয়া (২য়া), তৃতীয়া (৩য়া), চতুর্থী (৪র্থী), পঞ্চমী (৫মী), ষষ্ঠী (৬ষ্ঠী), … একাদশী (১১শী), দ্বাদশী (১২শী) ইত্যাদি
-
২. তারিখ পূরণবাচক
-
ব্যবহার: বাংলা তারিখ নির্দেশে বিশেষ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পয়লা/পহেলা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা, পাঁচই, ছয়ই, সাতই, আটই …
-
ত্রিশে, একত্রিশে ইত্যাদি
-
৩. ভগ্নাংশ পূরণবাচক
-
ব্যবহার: পূর্ণসংখ্যার থেকে খানিকটা কম বা বেশি বোঝাতে।
-
উদাহরণ: আধ, সাড়ে, পোয়া, সোয়া, দেড়, আড়াই, তেহাই ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago