'অর্ধচন্দ্র' কথাটির অর্থ -
A
অমাবস্যা
B
গলাধাক্কা দেওয়া
C
কাছে টানা
D
কাস্তে
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী অর্ধচন্দ্র একটি বিশেষ্য, যার একাধিক অর্থ পাওয়া যায়। একইসাথে বিভিন্ন বাগ্ধারার মধ্যেও এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। নিচে এর অর্থ ও কিছু বাগ্ধারার ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো।
-
অর্ধচন্দ্র:
১. অর্ধ-প্রকাশিত চন্দ্র
২. গলাধাক্কা
৩. সেনা সমাবেশের একটি বিশেষ কৌশল -
বাগ্ধারা ও অর্থ:
-
অর্ধচন্দ্র: গলা ধাক্কা
-
অগ্নি পরীক্ষা: কঠিন পরীক্ষা
-
অহিনকুল সম্পর্ক: ভীষণ শত্রুতা
-
আক্কেল গুড়ুম: হতবুদ্ধি
-
0
Updated: 1 month ago
'দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রুধারা' - এই উক্তিটি নিচের কোন পারিভাষিক অলংকার দ্বারা শোভিত?
Created: 1 month ago
A
অপহৃতি
B
যমক
C
অর্থোন্নতি
D
অভিযোজন
অপহৃতি অলঙ্কার এমন এক বিশেষ রূপ, যেখানে প্রকৃত অর্থাৎ উপমেয়কে নিষেধ বা আড়াল করে অপ্রকৃত অর্থাৎ উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাধারণত এটি দুইভাবে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথমত না, নহে, নয় প্রভৃতি না-সূচক অব্যয় ব্যবহারের মাধ্যমে।
-
দ্বিতীয়ত ব্যাজ, ছল, ছলনা, ছদ্ম প্রভৃতি সত্য গোপনকারী শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে।
প্রথম ক্ষেত্রে উপমান ও উপমেয় আলাদা বাক্যে থাকে, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তারা একই বাক্যে অবস্থান করে।
উদাহরণ:
-
“মেয়ে ত নয়, হলদে পাখির ছা,” – জসীম উদ্দীন
এখানে উপমেয় ‘মেয়ে’, উপমান ‘ছা’। ‘নয়’ অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“তারাই আজি নিঃস্ব দেশে, কাঁদছে হয়ে অন্ন হারা;
দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রু ধারা।” – কাজী নজরুল ইসলাম
এখানে উপমেয় ‘জল’, উপমান ‘অশ্রু’। কবি ‘না’ সূচক অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ফলে এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নীর বিন্দু যত
দেখিতে কুসুম-দলে, হে সুধাংশু নিধি,
অভাগীর অশ্রু বিন্দু কহিনু তােমারে।” – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
এখানে উপমেয় ‘নীর বিন্দু’, উপমান ‘অশ্রু বিন্দু’। যদিও সরাসরি ‘না’ অব্যয় নেই, তবে ব্যঞ্জনায় অস্বীকার স্পষ্ট। তাই এটিও অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নারী নহ, কাব্য তুমি, তােমা ’পরে কবির প্রসাদ।” – বুদ্ধদেব বসু
এখানে উপমেয় ‘নারী’, উপমান ‘কাব্য’। ‘নহ’ অব্যয় দ্বারা উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার।
0
Updated: 1 month ago
গুণ ও বৃদ্ধি বলা হয় –
Created: 1 month ago
A
কৃৎ-প্রকৃতির আদিস্বরের পরিবর্তনকে
B
কৃৎ-প্রকৃতির অন্তস্বরের পরিবর্তনকে
C
নাম-প্রকৃতির পরিবর্তনকে
D
প্রাতিপদিকের পরিবর্তনকে
প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে গুণ বলে। ই / - ি কার বা ঈ / - কার থাকলে এ / - কার হবে। যেমন - লিখ + আ = লেখা, নী + তা = নেতা। প্রকৃতির শেষে প্রত্যয় যোগ হলে উক্ত প্রকৃতির আদিস্বরের যে কিছু পরিবর্তন ঘটে তাকে বৃদ্ধি বলা হয়। ই / শিকার, ঈ - কার বা এ / কোর থাকলে ঐ / - ৈ-কার হবে। যেমন - বিমান + ষ্ণিক = বৈমানিক, নীতি + ষ্ণিক = নৈতিক।
0
Updated: 1 month ago
'পালনীয়' — শব্দটির সঠিক প্রকৃতি প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
√ পালন্ + নীয়
B
√ পাল্ + নীয়
C
√ পাল্ + অনীয়
D
√ পালি + অনীয়
কৃৎ প্রত্যয় -অনীয় যোগের মাধ্যমে যে শব্দগুলো গঠিত হয়, সেগুলো সাধারণত যোগ্য বা কর্তব্যবোধসম্পন্ন বিশেষণ নির্দেশ করে। এই ধরনের শব্দগুলি মূল ক্রিয়া বা ধাতুর সঙ্গে -অনীয় যুক্ত করে তৈরি হয় এবং সাধারণত কিছু করার যোগ্যতা বা প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করে।
-
√কৃ + অনীয় = করণীয়
-
√দৃশ্ + অনীয় = দর্শনীয়
-
√শুচ + অনীয় = শোচনীয়
-
√স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়
-
√পাল্ + অনীয় = পালনীয়
-
√বৃ + অনীয় = বরণীয়
অন্যান্য উদাহরণ: মাননীয়, পূজনীয়, পানীয়, গ্রহণীয়, রমণীয়
0
Updated: 1 month ago