'দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রুধারা' - এই উক্তিটি নিচের কোন পারিভাষিক অলংকার দ্বারা শোভিত?
A
অপহৃতি
B
যমক
C
অর্থোন্নতি
D
অভিযোজন
উত্তরের বিবরণ
অপহৃতি অলঙ্কার এমন এক বিশেষ রূপ, যেখানে প্রকৃত অর্থাৎ উপমেয়কে নিষেধ বা আড়াল করে অপ্রকৃত অর্থাৎ উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাধারণত এটি দুইভাবে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথমত না, নহে, নয় প্রভৃতি না-সূচক অব্যয় ব্যবহারের মাধ্যমে।
-
দ্বিতীয়ত ব্যাজ, ছল, ছলনা, ছদ্ম প্রভৃতি সত্য গোপনকারী শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে।
প্রথম ক্ষেত্রে উপমান ও উপমেয় আলাদা বাক্যে থাকে, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তারা একই বাক্যে অবস্থান করে।
উদাহরণ:
-
“মেয়ে ত নয়, হলদে পাখির ছা,” – জসীম উদ্দীন
এখানে উপমেয় ‘মেয়ে’, উপমান ‘ছা’। ‘নয়’ অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“তারাই আজি নিঃস্ব দেশে, কাঁদছে হয়ে অন্ন হারা;
দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রু ধারা।” – কাজী নজরুল ইসলাম
এখানে উপমেয় ‘জল’, উপমান ‘অশ্রু’। কবি ‘না’ সূচক অব্যয় ব্যবহার করে উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ফলে এটি অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নীর বিন্দু যত
দেখিতে কুসুম-দলে, হে সুধাংশু নিধি,
অভাগীর অশ্রু বিন্দু কহিনু তােমারে।” – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
এখানে উপমেয় ‘নীর বিন্দু’, উপমান ‘অশ্রু বিন্দু’। যদিও সরাসরি ‘না’ অব্যয় নেই, তবে ব্যঞ্জনায় অস্বীকার স্পষ্ট। তাই এটিও অপহৃতি অলঙ্কার। -
“নারী নহ, কাব্য তুমি, তােমা ’পরে কবির প্রসাদ।” – বুদ্ধদেব বসু
এখানে উপমেয় ‘নারী’, উপমান ‘কাব্য’। ‘নহ’ অব্যয় দ্বারা উপমেয়কে অস্বীকার করে উপমানকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই এটি অপহৃতি অলঙ্কার।
0
Updated: 1 month ago
‘ডাক্তার সাহেবের হাতযশ ভালো- – বাক্যে ‘হাত’ ব্যবহৃত হয়েছে –
Created: 3 months ago
A
অধিকার অর্থে
B
যশ অর্থে
C
অভ্যাস অর্থে
D
নিপুণতা অর্থে
বাক্যটি হলো –
“ডাক্তার সাহেবের হাতযশ ভালো।”
এখানে “হাতযশ” মানে হলো হাতের কাজ ভালো হওয়া, অর্থাৎ তিনি যে চিকিৎসা করেন, তা ভালো ফল দেয় বা সফল হয়।
-
এখানে ‘হাত’ শব্দটি নিপুণতা বা দক্ষতার ইঙ্গিত দেয়।
-
তাই “হাতযশ ভালো” মানে তিনি চিকিৎসায় নিপুণ বা দক্ষ।
🔹 সারাংশ:
এই বাক্যে ‘হাত’ শব্দটি নিপুণতা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, কারণ এটি চিকিৎসকের সফল চিকিৎসাকৌশলের প্রতি ইঙ্গিত করে।
0
Updated: 3 months ago
'অতি দর্পে হত লঙ্কা' প্রবাদের অর্থ কী?
Created: 4 weeks ago
A
অহঙ্কার পতনের মূল
B
বেশি লোভে ক্ষতি
C
বেশি আড়ম্বরে কাজ কম
D
অযোগ্য লোকের বৃথা আস্ফলন
‘অতি দর্পে হত লঙ্কা’ হলো একটি প্রবাদমূলক বাগ্ধারা, যা মানুষকে অহঙ্কার বা অতিরিক্ত অহমিকার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে। এ বাগ্ধারার মূল বক্তব্য হলো, অহংকার যদি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়, তবে তা পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সতর্কতার একটি নীতি হিসেবে প্রযোজ্য।
-
গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা এবং তাদের অর্থ:
-
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট: অতিরিক্ত লোভ মানুষকে ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়।
-
অর্থই অনর্থের মূল: অর্থের জন্য করা লোভী বা স্বার্থপর কাজ প্রায়ই অনৈতিক বা ক্ষতিকর পরিণতি ডেকে আনে।
-
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়: দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকলে কঠিন ও জটিল কাজও সম্ভব।
-
-
ব্যবহারিক দিক: এই বাগ্ধারাগুলো শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, জীবনচর্চা এবং ব্যক্তিগত চরিত্র গঠনে নির্দেশিকা হিসেবে কাজে লাগে।
0
Updated: 4 weeks ago
কোনটি অপপ্রয়োগ?
Created: 4 weeks ago
A
আরক্ত
B
সুস্বাগত
C
যদ্যপি
D
বিবিধ
সমার্থ শব্দের বাহুল্যজনিত অপপ্রয়োগ: বিস্তারিত বিশ্লেষণ
সুস্বাগত:
-
অর্থ: স্বাগত, অভ্যর্থনা।
-
সমস্যা: এখানে ‘সু’ যোগ করা অনাবশ্যক। মূল শব্দ স্বাগত যথেষ্ট অর্থবোধক। অতিরিক্ত ‘সু’ ব্যবহারে শব্দের গঠন ও শুদ্ধতা নষ্ট হয়।
-
উদাহরণ (অশুদ্ধ): অতিথিকে সুস্বাগত জানাই।
-
উদাহরণ (শুদ্ধ): অতিথিকে স্বাগত জানাই।
শুদ্ধ ব্যবহারবিধি:
-
বিবিধ — বিভিন্ন ধরনের বা বিভিন্ন বিষয় নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
যদ্যপি — ‘যদিও’ বা ‘যদ্যপিও’ এর সমার্থক; কোনো বিষয় ঘটলেও বা সত্য হলেও।
-
আরক্ত — রক্তহীন, রক্তবিহীন; সাধারণভাবে রক্তহীনতা বা নীরবতা বোঝাতে।
সম্পর্ক:
-
সমার্থ শব্দের বাহুল্য বা অপ্রয়োজনীয় সংযোজন শব্দের শুদ্ধ ব্যবহারকে বিকৃত করে।
-
‘সুস্বাগত’ উদাহরণে এটি স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
0
Updated: 4 weeks ago