'হৈমন্তী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি-
A
ছোটগল্প
B
উপন্যাস
C
প্রবন্ধ
D
কাব্যগ্রন্থ
উত্তরের বিবরণ
‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ছোটগল্প, যা সমাজের নানান সমস্যার দিকে আলোকপাত করে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো হৈমন্তী, যার ডাকনাম ছিল শিশির, এবং তাঁর স্বামীর নাম অপু। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় মাসিক সবুজপত্র পত্রিকায়।
-
গল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
হৈমন্তী (শিশির)
-
গৌরীশংকর
-
অপু
-
বনমালী
-
-
গল্পের কিছু বিখ্যাত উক্তি:
-
“জ্যৈষ্ঠের খররোদ্রই তো জ্যৈষ্ঠের অশ্রুশূণ্য রোদন।”
-
“আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম।”
-
“সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ।”
-
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য সামাজিক গল্প:
-
দেনাপাওনা
-
দান প্রতিদান
-
হৈমন্তি
-
ছুটি
-
পোস্টমাস্টার
-
কাবুলিওয়ালা
-
0
Updated: 1 month ago
কোন গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নয়?
Created: 2 months ago
A
চতুষ্কোণ
B
মহুয়া
C
ক্ষণিকা
D
উৎসর্গ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১, কলকাতা (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)
-
পিতা: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
-
পেশা: কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ-সংস্কারক
-
অর্জন:
-
১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার (সাহিত্য)
-
১৯১৫ সালে ইংরেজদের ‘নাইট’ উপাধি পান; ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফিরিয়ে দেন
-
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে
কাব্যগ্রন্থ
-
রবীন্দ্রনাথের: উৎসর্গ, ক্ষণিকা, মহুয়া
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস: চতুষ্কোণ
0
Updated: 2 months ago
'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'র রচয়িতা কে?
Created: 2 days ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
বিদ্যাপতি
‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য কাব্যগ্রন্থ, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত। তাই সঠিক উত্তর হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি এবং নোবেলজয়ী সাহিত্যিক। তাঁর কাব্যসৃষ্টি শুধু সাহিত্যিক নয়, বরং সামাজিক, দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গভীরতাও ধারণ করে। ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ মূলত সেই ধারা-ই প্রকাশ করে, যেখানে রবীন্দ্রনাথ ছোটপদ্য ও সহজ ভাষার মাধ্যমে গভীর অর্থ ও মানবিক অনুভূতি ফুটিয়ে তোলেন।
এই কাব্যগ্রন্থে প্রধানভাবে লোকধর্ম, প্রেম, প্রকৃতি এবং মানবচেতনার সূক্ষ্ম আবেগ প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বাংলা লোকসঙ্গীত, মধ্যযুগীয় পদাবলী ও ভক্তিকবিতার ধারাকে নিজস্ব রূপে সংমিশ্রিত করেছেন। গ্রন্থটির পদগুলোতে লক্ষ্য করা যায়—ভানুসিংহ ঠাকুর নামে একটি কাল্পনিক চরিত্রের জীবন ও অনুভূতির প্রতিফলন, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন, আনন্দ-বেদনা এবং প্রেমের অনুভূতিকে কবিতার রূপ দিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ এখানে পদ্যরূপের সংক্ষিপ্ত ও সরল আকার ব্যবহার করে, প্রতিটি কবিতায় একধরনের সঙ্গীতাত্মক ছন্দ বজায় রাখেন। এতে পাঠক সহজেই কবিতার ভাববিন্যাস ও গীতিময়তার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তিনি প্রাচীন বাংলা পদাবলীর সরলতা বজায় রেখে আধুনিক কাব্যভাষার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যও প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তাঁর এই রচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে লোকসঙ্গীত এবং আধ্যাত্মিক কবিতার এক সুন্দর সংমিশ্রণ এসেছে। রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন এবং আধুনিক বাংলা কাব্যধারার মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করেছেন। এছাড়া ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী তাঁর সামগ্রিক কাব্যসৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হিসেবে পরিচিত, যা পরবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্য ও গীতিকাব্যের বিকাশে প্রভাব ফেলেছে।
সারসংক্ষেপে, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা, যা বাংলা সাহিত্যকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে। এটি শুধুমাত্র কবিতা নয়, বরং বাংলা সাহিত্যের সঙ্গীতাত্মক ও লোকধর্মমুলক ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন।
0
Updated: 2 days ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শব্দের শুরুতে মাত্রাযুক্ত এ-কার ব্যবহার করতেন কেন?
Created: 3 weeks ago
A
এ-কার মাত্রা যুক্ত বলে
B
'এ' মাত্রাহীন বর্ণ বলে
C
'এ' উচ্চারণ বোঝাতে
D
'অ্যা' উচ্চারণ বোঝাতে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষার ‘এ’ ও ‘অ্যা’ ধ্বনির পার্থক্য বোঝাতে মুদ্রণে ‘এ’-কারের দুটি রূপ—মাত্রাযুক্ত ও মাত্রাহীন—ব্যবহার চালু করেন। এর মাধ্যমে শব্দে ধ্বনিগত পার্থক্য স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়।
মাত্রাহীন ‘এ’-কার থাকলে উচ্চারণ সংবৃত, অর্থাৎ স্বাভাবিক ‘এ’ ধ্বনি উচ্চারিত হয়। যেমন—‘মেলা’, ‘দেবী’, ‘সেরা’, ‘বেদনা’, ‘মেয়ে’, ‘গেলা’, ‘জেলা’ ইত্যাদি শব্দে স্বাভাবিক ‘এ’ ধ্বনি শোনা যায়।
-
মাত্রাযুক্ত ‘এ’-কার থাকলে উচ্চারণ বিবৃত, অর্থাৎ ‘অ্যা’ ধ্বনি প্রকাশ পায়। যেমন—‘মেলা’-র উচ্চারণ হয় ‘ম্যালা’, যা ‘ঠেলা’-র ধ্বনির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তেমনি ‘কেমন’, ‘যেমন’, ‘যেন’, ‘ফেনা’ প্রভৃতি শব্দেও ‘অ্যা’ ধ্বনি শোনা যায়।
-
রবীন্দ্রনাথের এই প্রয়াস বাংলা ভাষার উচ্চারণে সূক্ষ্ম ধ্বনিগত পার্থক্য নির্ধারণে সহায়ক হয়েছে।
সঠিক উত্তর: ঘ) ‘অ্যা’ উচ্চারণ বোঝাতে।
0
Updated: 3 weeks ago