'কর্তব্যের জন্য কর্তব্য'- এই ধারণাটির প্রবর্তক কে?
A
প্লেটো
B
বার্ট্রান্ড রাসেল
C
ইমানুয়েল কান্ট
D
সক্রেটিস
উত্তরের বিবরণ
ইমানুয়েল কান্ট একজন প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক, যিনি নৈতিকতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রবর্তন করেন। তিনি বিশেষ করে নৈতিকতা এবং কর্তব্যের মধ্যে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছেন।
-
'কর্তব্যের জন্য কর্তব্য' ধারণার প্রবর্তক হলেন ইমানুয়েল কান্ট।
-
ইমানুয়েল কান্ট একজন জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতা সম্পর্কিত তত্ত্বগুলো বিকাশ করেন।
-
তাঁর নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য, এবং শর্তহীন আদেশ।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা দর্শন যে কোনো কর্মের ফলাফল বা পরিণতির চেয়ে কর্মের ধরন ও উদ্দেশ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
-
ইমানুয়েল কান্টকে কর্তব্যমুখী নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
কী ধরনের মূল্যবোধ জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক মূল্যবোধে
B
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধে
D
ধর্মীয় মূল্যবোধে
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গুরুত্ব
-
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গুরুত্ব অপরিসীম
-
যে সমাজ ও রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারণা যত বেশি উন্নত, সে সমাজ ও রাষ্ট্র তত বেশি উন্নত ও প্রগতিশীল
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রভাবে জনগণের দেশাত্মবোধ জাগ্রত হয়
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি পেলে জনগণ অধিকার ও কর্তব্য সচেতন হবে
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
ই-গভর্ন্যান্সকে 'স্মার্ট গভর্নমেন্ট' বলে আখ্যায়িত করেছেন কে?
Created: 1 month ago
A
ইএম হোয়াইট
B
লরি পেইজ
C
নিখিলেস যাদব
D
চন্দ্রবাবু নাইডু
ই-গভর্নেন্স হল একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। এর মাধ্যমে নাগরিকরা কম খরচে এবং ঝামেলাবিহীনভাবে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন সরকারি সেবা পেতে পারেন, ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পায় এবং দুর্নীতি হ্রাস পায়। দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য, যা সব স্তরের মানুষের জন্য সরকারি সেবা পৌঁছানোর একটি কার্যকর জানালা খুলে দেয়।
-
E-Governance এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Governance।
-
ই-গর্ভনেন্সের মাধ্যমে সরকারি সেবা নাগরিকদের কাছে সহজে এবং দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়।
-
নাগরিকরা স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে সপ্তাহে ৭ দিন, দিনে ২৪ ঘন্টা সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
-
ই-গভর্নেন্সের ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি হ্রাস পায়।
-
দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই ই-গভর্নেন্সের মূল উদ্দেশ্য।
-
এটি সর্বস্তরের মানুষের জন্য সরকারি সেবা পাওয়ার একটি জানালা উন্মোচন করে।
উল্লেখযোগ্য:
-
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ই-গভর্নেন্সকে 'SMART Government' হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
তাঁর মতে SMART শব্দটির পূর্ণরূপ হলো: Simple, Moral, Accountable, Responsive, Transparent, অর্থাৎ সরকার যদি সহজ সরল, নৈতিক, জবাবদিহিমূলক, দ্রুত সাড়া প্রদানকারী এবং স্বচ্ছ হয়, তখনই তাকে SMART Governance বলা যায়।
0
Updated: 1 month ago
'Greatest Happiness Principle’-এই নীতির প্রবক্তা কে?
Created: 1 month ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
রুশোঁ
C
সক্রেটিস
D
জেরেমি বেন্থাম
গ্রেটেস্ট হ্যাপিনেস প্রিন্সিপল এমন এক নৈতিক দর্শন যা সমাজের সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সর্বাধিক সুখ নিশ্চিত করাকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ধরে। এই তত্ত্বের সূত্রপাত করেন জেরেমি বেন্থাম, পরে জন স্টুয়ার্ট মিল একে আরও পরিমার্জিত করেন। নীতিটি মূলত মানব নৈতিকতা ও আইনকে এমনভাবে পরিচালিত করার পরামর্শ দেয় যাতে ব্যক্তিগত নয়, সামষ্টিক মঙ্গলই প্রধান বিবেচ্য হয়। এই ধারণা উপযোগবাদ (Utilitarianism) নামেও পরিচিত।
-
জেরেমি বেন্থাম ও নীতি
-
ব্রিটিশ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, আইনবিদ ও আইন সংস্কারক হিসেবে তিনি আধুনিক উপযোগবাদের প্রতিষ্ঠাতা।
-
তাঁর প্রচারিত সুখবাদকে বলা হয় অসংযত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদ (Gross Utilitarianism)।
-
তিনি মনস্তাত্ত্বিক সুখবাদ (Psychological Hedonism) ও আত্মসুখবাদ (Egoism) সমর্থন করলেও শেষ পর্যন্ত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদের দিকেই গুরুত্ব দেন।
-
সুখের গুণগত পার্থক্য তিনি স্বীকার করেননি, তাই তাঁর মতে “Quantity of pleasures being equal, pushpin is as good as poetry”, অর্থাৎ পরিমাণ সমান হলে শারীরিক খেলার আনন্দ ও কবিতা পাঠের আনন্দ সমান।
-
সুখের মাত্রা নির্ধারণে তিনি সাতটি মানদণ্ডের কথা বলেন: তীব্রতা, স্থায়িত্ব, নৈকট্য, নিশ্চয়তা, বিশুদ্ধি, উর্বরতা ও বিস্তৃতি।
-
-
জন স্টুয়ার্ট মিলের অবদান
-
পিতা জেমস মিল ও বেন্থামের ধারণাকে ভিত্তি করে তিনি নীতি পুনর্লিখন করেন।
-
মিল বলেন, মূর্খের সহজ আনন্দের চেয়ে সক্রেটিসের মতো জ্ঞানীর উচ্চতর সুখ অধিক মূল্যবান।
-
তিনি সুখের গুণগত পার্থক্যকে গুরুত্ব দেন এবং বৌদ্ধিক উন্নয়ন, নৈতিকতা ও সমাজের সামগ্রিক মঙ্গলকে প্রাধান্য দেন।
-
0
Updated: 1 month ago