লাহোর প্রস্তাব কবে পেশ করা হয়েছিল?
A
১৯৩৫ সালে
B
১৯৪০ সালে
C
১৯৪৭ সালে
D
১৯৪৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
লাহোর প্রস্তাব ১৯৪০ সালে ভারতীয় মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নির্দেশনা হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটি মুসলিমদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অধিকার ও আবাসভূমি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছিল।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
তারিখ ও স্থান: ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ, লাহোর শহরে মুসলিম লীগের বার্ষিক অধিবেশনে প্রস্তাবটি পেশ করা হয়।
-
প্রস্তাবকের নাম: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক প্রস্তাবটি সভায় পেশ করেন।
-
সভাপতি: প্রস্তাবটি জিন্নাহর সভাপতিত্বে গৃহীত হয়।
-
বৈশিষ্ট্য: প্রস্তাবের ভিত্তি ছিল দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
প্রস্তাবে পাকিস্তান শব্দটি উল্লেখিত ছিল না, তবুও এটি পরবর্তীতে ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
-
প্রস্তাবটি ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে স্বতন্ত্র আবাসভূমির ধারণা সৃজন করে।
-
কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
-
প্রস্তাবে ভারতে একাধিক মুসলিম রাষ্ট্রের কথা বলা হলেও, ১৯৪৬ সালের দিল্লি অধিবেশনে শুধুমাত্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়।

0
Updated: 15 hours ago
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম Genetically Modified (GM) খাদ্য ফসল কোনটি?
Created: 1 week ago
A
গোল্ডেন রাইস
B
বিটি তুলা
C
গোল্ডেন জুট
D
বিটি বেগুন
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল
-
সংজ্ঞা:
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল হলো এমন ফসল যার জিন পরিবর্তন (modification) করে ফলন বৃদ্ধি, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধসহ কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য অর্জন করা হয়। -
হাইব্রিড ফসল:
সব ধরনের হাইব্রিড ফসলই একধরনের জি.এম. ফসল। তবে এগুলো প্রাকৃতিক প্রতিরূপ ফসলের তুলনায় কখনো বিষাক্ত বা কম পুষ্টিগুণসম্পন্ন হতে পারে।
বাংলাদেশে প্রথম GM খাদ্য ফসল
-
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম GM খাদ্য ফসল হলো বিটি বেগুন (Bt Brinjal)।
-
২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার এটি কৃষকদের মাঝে বিতরণের অনুমোদন দেয়।
Bt-বেগুন কী?
-
Bt শব্দটি এসেছে Bacillus thuringiensis নামক একটি মাটিবাহিত (soil-borne) ব্যাকটেরিয়া থেকে।
-
এই ব্যাকটেরিয়ার ক্রিস্টাল প্রোটিন জিন বেগুনের জিনোমে সংযোজন করে উৎপাদিত বেগুনকে Bt-বেগুন বলা হয়।
সাধারণ বেগুন বনাম Bt-বেগুন:
-
সাধারণ বেগুনে একটি বিশেষ পোকা ডগা ও ফল ছিদ্র করে নষ্ট করে ফেলে, ফলে ফলন কমে যায়।
-
কৃষককে এ আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতি মৌসুমে ৬০–১৮০ বার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।
-
Bt-বেগুনে এই পোকার আক্রমণ হয় না, তাই কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।
Bt-বেগুন চাষের গুরুত্ব
-
কীটনাশক ক্রয় ও স্প্রে করার খরচ বাঁচবে → উৎপাদন ব্যয় লক্ষ লক্ষ টাকা কমবে।
-
ভোক্তারা বিষমুক্ত বেগুন খেতে পারবেন → ক্যান্সারসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমবে।
-
মাটি ও পরিবেশ বিষমুক্ত থাকবে।
-
আশপাশের জলাশয় দূষণমুক্ত থাকবে এবং জলজ প্রাণীর প্রজনন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।
-
বেগুনের ফলন বৃদ্ধি পাবে।
উৎস:
i) উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ii) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

0
Updated: 1 week ago
কোন নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 15 hours ago
A
কোচ
B
ডালু
C
চাক
D
নাগা
নাগা, কোচ, ডালু এবং চাক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, যারা নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা ধরে রেখেছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
নাগা:
-
নাগা নৃগোষ্ঠী মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে।
-
-
কোচ:
-
কোচ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার অঞ্চলের একটি প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ জেলার শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবর্দী উপজেলায় বসবাস করছে।
-
তাদের বিস্তৃতি মূলত আদিভূমি কোচবিহার থেকে এসেছে।
-
-
ডালু:
-
ডালু জাতি বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মূলত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে।
-
অনেকের ধারণা, তাদের আসল ভাষা হলো মণিপুরি।
-
-
চাক:
-
চাক বাংলাদেশের একটি উপজাতি, যারা বান্দরবান, চট্টগ্রামের চাক পাহাড় ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে।
-
তারা নিজেদের ভাষা চাক ভাষা বলে পরিচিত।
-
চাক ভাষায় ‘চক’ শব্দের অর্থ হলো ‘দাঁড়ানো’।
-

0
Updated: 15 hours ago
বাংলাদেশের EPZ গুলোতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে কোন দেশ? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 week ago
A
চীন
B
যুক্তরাষ্ট্র
C
জাপান
D
শ্রীলঙ্কা
সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ (বেপজা ইপিজেডসমূহে):
-
দেশে বেপজার অধীনে বর্তমানে মোট ৮টি ইপিজেড ও ১টি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে।
এগুলো হলো:-
চট্টগ্রাম, ঢাকা, মোংলা, কুমিল্লা, উত্তরা, ঈশ্বরদী, কর্ণফুলী ও আদমজী ইপিজেড
-
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল
-
⇒ এ পর্যন্ত বেপজার ইপিজেডগুলোতে ৩৮টি দেশ থেকে বিনিয়োগ এসেছে।
সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা:
-
চীন → ১০৮টি প্রতিষ্ঠান
-
দক্ষিণ কোরিয়া → ৬১টি প্রতিষ্ঠান
-
জাপান → ২৯টি প্রতিষ্ঠান
-
ভারত → ১৯টি প্রতিষ্ঠান
-
যুক্তরাজ্য → ১৯টি প্রতিষ্ঠান
-
যুক্তরাষ্ট্র → ১৭টি প্রতিষ্ঠান
-
শ্রীলঙ্কা → ৭টি প্রতিষ্ঠান
-
অন্যান্য দেশ → বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো

0
Updated: 1 week ago