আলীগড় আন্দোলনের মূল প্রবক্তা কে ছিলেন?
A
শাহ ওয়ালিউল্লাহ
B
মাওলানা শিবলী
C
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
D
খাজা সলিমুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
আলীগড় আন্দোলন মূলত মুসলমান সমাজের শিক্ষাগত ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য শুরু হয়েছিল। এটি ১৯শ শতকের দ্বিতীয় অর্ধভাগে মুসলিম সমাজকে নতুন দিশা দেখানোর প্রয়াস হিসেবে পরিচিত।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
আলীগড় আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান।
-
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতীয় মুসলমানরা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটে পড়ে।
-
এই প্রেক্ষাপটে সৈয়দ আহমদ খান মুসলমানদের উন্নয়নের জন্য পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার এবং ইংরেজদের সাথে সহযোগিতা গ্রহণের পথ বেছে নেন।
-
তিনি মুসলমানদের ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করেন এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি দূর করার চেষ্টা করেন।
-
আলীগড় মুসলিম কলেজ (বর্তমানে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আলীগড় আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
-
তার লেখালেখি, বক্তৃতা এবং শিক্ষামূলক প্রচেষ্টা মুসলমান সমাজে নতুন যুগের সূচনা করে।
-
আন্দোলনটি মুসলমান সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয় এবং তাদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

0
Updated: 15 hours ago
পাল রাজারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
Created: 3 days ago
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
শাক্তধর্ম
D
বৌদ্ধধর্ম
পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তাদের শাসনামলে অনেক বৌদ্ধবিহার নির্মিত হয়।
পাল রাজবংশ:
-
পাল বংশ অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশত বছর বাংলা ও বিহারে শাসন করেছিল।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় প্রায় একশ বছর অরাজকতা বিরাজ করেছিল, যা ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
এই অরাজকতার অবসান ঘটান গোপাল, যিনি পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা হন।
-
পালবংশের রাজারা প্রায় চারশত বছর রাজত্ব করেন।
-
এই যুগে বাংলা একটি স্থিতিশীল ও ঐশ্বর্যশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
-
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন।
-
দেবপালের পরে পাল সাম্রাজ্য কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে পালবংশের গৌরব পুনরায় ফিরে আসে।
-
দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের রাজত্বকালে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রামপাল এই বিদ্রোহ দমন করে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন এবং তিনি পালবংশের শেষ মুকুটমণি হন।
-
অবশেষে সেনবংশের উত্থানের মাধ্যমে পাল শাসনের অবসান ঘটে।
উল্লেখযোগ্য:
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
-
পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে প্রসার লাভ করে।
সূত্র:

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে?
Created: 15 hours ago
A
১৩২তম
B
১৩৪তম
C
১৩৬তম
D
১৩৯তম
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ
-
জাতিসংঘে যোগদান: ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ ১৩৬তম সদস্য দেশ হিসেবে যুক্ত হয়।
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে সদস্যতা:
-
দুই মেয়াদে (১৯৭৬ ও ১৯৮১), প্রতিটি চার বছরের জন্য।
-
-
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতিত্ব:
-
১৯৮৬-৮৭ সালে বাংলাদেশের হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ৪১তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি হন।
-
-
নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য:
-
দুইবার নির্বাচিত: ১৯৭৯-১৯৮০ এবং ২০০০-২০০১।
-

0
Updated: 15 hours ago
সবচেয়ে দীর্ঘ আন্তর্জাতিক স্থল সীমান্ত রয়েছে কোন দুই দেশের মধ্যে?
Created: 1 week ago
A
ভারত ও চীন
B
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
C
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র
D
বাংলাদেশ ও ভারত
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত
-
কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।
-
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ আন্তর্জাতিক স্থলসীমান্ত রয়েছে।
-
সীমান্তের একটি অংশ হলো যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখণ্ডের সঙ্গে কানাডার সীমান্ত,
এবং অপর অংশ হলো আলাস্কার সঙ্গে উত্তর কানাডার সীমান্ত। -
এই যৌথ সীমান্ত বরাবর কানাডার ৮টি প্রদেশ (Provinces) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্য (States) অবস্থিত।
-
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র স্থলসীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৮,৮৯৩ কিলোমিটার।
-
সেন্ট লরেন্স নদী ও গ্রেট লেকস দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করেছে।
উৎস: World Atlas

0
Updated: 1 week ago