বাংলাদেশে বসবাসকারী ত্রিপুরাদের সমাজব্যবস্থা কেমন?
A
মাতৃতান্ত্রিক
B
পিতৃতান্ত্রিক
C
সামন্ততান্ত্রিক
D
কোনটি নয়
উত্তরের বিবরণ
ত্রিপুরা বা ত্রিপুরী (তিপ্রা) একটি নৃগোষ্ঠী, যাদের প্রধান আবাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য হলেও বাংলাদেশেও তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বসবাস করে। এরা ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতিতে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বহন করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
ত্রিপুরারা মূলত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অধিবাসী একটি নৃগোষ্ঠী।
-
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বসবাস করে।
-
এ ছাড়া কুমিল্লা, সিলেট, বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা, রাজবাড়ী, চাঁদপুর ও ফরিদপুরসহ সমতল অঞ্চলেও তাদের বসবাস রয়েছে।
-
ইতিহাস অনুসারে, তারা ভারতের আসাম হয়ে ধীরে ধীরে বর্তমান অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে।
-
ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর ভাষার নাম ককবরক।
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ত্রিপুরাদের সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
-
ধর্মীয় দিক থেকে ত্রিপুরারা মূলত সনাতন ধর্মের অনুসারী।

0
Updated: 15 hours ago
রাজনৈতিক দল কীসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে?
Created: 1 week ago
A
মত, পথ ও আদর্শের ভিত্তিতে
B
স্বজাতিবোধের ভিত্তিতে
C
সম্পর্কের ভিত্তিতে
D
ন্যায়নীতির ভিত্তিতে
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের সমস্যাবলী:
- বাংলাদেশ একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
- গণতন্ত্রের আদর্শকে সফলভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে বহুদলীয় ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
- যেকোনো ধরনের মত, পথ ও আদর্শের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল গড়ে উঠতে পারে।
- যেকোনো গোষ্ঠী বা দল প্রচলিত বিধির আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যেকোনো রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে।
- বর্তমানে বিরাজমান এত অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দল কোন দেশের জন্য সুস্থ রাজনীতির লক্ষণ হতে পারে না।
- বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে এ দলগুলো বিভিন্ন রকম।
- রক্ষণশীল, উদারনৈতিক, প্রগতিশীল, প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল আছে যারা কোন পরিবর্তন চায় না।
- ধনিক শ্রেণি নিয়ে তাদের দল গঠিত। তারা পুরোমাত্রায় রক্ষণশীল। এই দল গুলোর সমর্থকগণ রক্ষণশীল।
- আবার কতগুলো দল আছে যারা বর্তমান সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড়তে চায়।
- এই দলের সমর্থকগণ প্রগতিশীল হিসেবে পরিচিত।
তথ্যসূত্র - পৌরনীতি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স কত করা হয়?
Created: 15 hours ago
A
৬৫ বছর
B
৬৬ বছর
C
৬৭ বছর
D
৬৮ বছর
চতুর্দশ সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে, যা বিচার, সংসদীয় নারী প্রতিনিধিত্ব এবং সরকারি প্রথার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
চতুর্দশ সংশোধনী আইন ২০০৪ সালের ১৬ মে সংসদে পাস হয়।
-
সংবিধানে বিভিন্ন বিধান সংযোজন করা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো:
-
সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৩০ থেকে ৪৫ এ বৃদ্ধি করা হয়, যা পরবর্তী দশ বছর বলবৎ থাকবে।
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বছর বৃদ্ধি করা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি তাদের স্ব স্ব কার্যলয়সহ সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়।
-

0
Updated: 15 hours ago
বাংলাদেশের প্রথম ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য কোনটি?
Created: 15 hours ago
A
রসমলাই
B
জামদানি শাড়ি
C
ইলিশ মাছ
D
নকশিকাঁথা
জিআই (GI) বা Geographical Indication
-
সংজ্ঞা:
-
GI হলো “Geographical Indication” বা ভৌগোলিক নির্দেশক।
-
এটি একটি চিহ্ন বা প্রতীক, যা পণ্যের উৎস, গুণমান, সুনাম এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
-
-
উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব:
-
একটি অঞ্চলের আবহাওয়া, পরিবেশ বা প্রাকৃতিক উপাদান পণ্যের গুণমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে।
-
যদি পণ্যটি সেই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বা ঐতিহ্যিক উৎপাদন পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত হয়।
-
তখন সেই পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
-
প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি:
-
জাতিসংঘের সংস্থা WIPO (World Intellectual Property Organization) জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
বাংলাদেশে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এই নিবন্ধনের কাজ করে।
-
-
বাংলাদেশের প্রথম GI পণ্য:
-
জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
-

0
Updated: 15 hours ago