'শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা' হলো বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনার -
A
নীতি
B
বিধি
C
ঘোষণা
D
অঙ্গীকার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ আইন, যেখানে রাষ্ট্রের কাঠামো, মূলনীতি, নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধান বিভক্ত হয়েছে ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে।
-
এতে মোট ৭টি তফসিল রয়েছে।
-
৪টি মূলনীতি সংবিধানে স্থান পেয়েছে।
-
সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে ১টি প্রস্তাবনা।
-
প্রস্তাবনাটি আবার ৫টি ভাগে বিভক্ত:
-
১ম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
-
২য়: মূলনীতি গ্রহণ (অঙ্গীকার)
-
৩য়: শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা (অঙ্গীকার)
-
৪র্থ: সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা (ঘোষণা)
-
৫ম: গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার নিশ্চয়তা
-

0
Updated: 15 hours ago
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন?
Created: 3 days ago
A
লর্ড কর্নওয়ালিস
B
ওয়ারেন হেস্টিংস
C
রবার্ট ক্লাইভ
D
লর্ড কার্জন
১৭৬৫ সালে দেওয়ানি লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যেখানে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা কোম্পানির হাতে এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব নবাবের হাতে রাখা হয়।
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা:
-
১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলার গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
-
এই ব্যবস্থায় রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে, আর নিয়ামত বা প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের হাতে অর্পিত ছিল।
-
দ্বৈত শাসনের কারণে দায়িত্বহীনতা ও অরাজকতা বাংলার জনজীবনে নেমে আসে।
-
অবাধ লুন্ঠন ও যথেচ্ছভাবে রাজস্ব আদায় গ্রাম্যজীবন ধ্বংস করে।
-
নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা দেখা দেয়।
-
সারাদেশে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
-
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 3 days ago
‘ভোটার-তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা’ সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ কোনটি?
Created: 8 hours ago
A
অনুচ্ছেদ - ১২৪
B
অনুচ্ছেদ - ১২১
C
অনুচ্ছেদ - ১২৩
D
অনুচ্ছেদ - ১২২
বাংলাদেশের সংবিধান ভোটার-তালিকায় নামভুক্তি ও নির্বাচনী যোগ্যতার জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করে। এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জনগণের নির্বাচনী অধিকার নিশ্চিত করা হয়।
-
অনুচ্ছেদ ১২২: ভোটার-তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা
-
সংসদের নির্বাচন প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে।
-
কোন ব্যক্তি ভোটার-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন যদি:
-
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন,
-
(খ) তাঁর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হয়,
-
(গ) কোন যোগ্য আদালত তাঁকে অপ্রকৃতিস্থ হিসেবে ঘোষণা না করে,
-
(ঘ) তিনি নির্বাচনী এলাকার অধিবাসী বা আইনের দ্বারা সেই এলাকার অধিবাসী বিবেচিত হন,
-
(ঙ) তিনি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ (দালাল আইন) অনুযায়ী কোনো অপরাধে দণ্ডিত না হন।
-
-
-
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ১২১: প্রতি এলাকার জন্য একটিমাত্র ভোটার তালিকা।
-
অনুচ্ছেদ ১২৩: নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ।
-
অনুচ্ছেদ ১২৪: নির্বাচন সম্পর্কিত সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা।
-

0
Updated: 8 hours ago
প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ কার নামে পরিচালিত হয়?
Created: 1 week ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
মন্ত্রিপরিষদ
D
জাতীয় সংসদ
রাষ্ট্রপতি
-
সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান।
-
প্রজাতন্ত্রের সকল কাজ তার নামে পরিচালিত হয়।
-
কোনো নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে নেই।
-
রাষ্ট্রপতি দেশের সরকার গঠন, শাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন এবং অর্থ, বিচার, প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করেন।
-
সংসদ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের আস্থাভাজন নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।
-
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন।
-
এছাড়া রাষ্ট্রপতি অ্যাটর্নি জেনারেল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারদের নিয়োগ দেন।

0
Updated: 1 week ago