মাতৃপ্রধান পরিবার ব্যবস্থার প্রচলন কোন জাতিসত্তায় রয়েছে?
A
চাকমা
B
মারমা
C
বম
D
গারো
উত্তরের বিবরণ
গারো একটি আদিবাসী সম্প্রদায়, যারা ভারত ও বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা অনন্য বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা এদের বড় বৈশিষ্ট্য।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
গারোরা মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করে।
-
ভাষাগতভাবে তারা বোডো-মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারো নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেন।
-
তাদের সমাজে প্রচলিত পরিবার কাঠামো হলো মাতৃতান্ত্রিক, অর্থাৎ বংশ ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার নারীর দিক থেকে নির্ধারিত হয়।
-
গারোদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম ওয়ানগালা, যা মূলত ধান কাটার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব।
-
এই উৎসব সাধারণত আশ্বিন মাসে পালিত হয় এবং সামর্থ্যানুযায়ী কোনো গ্রামে তিন দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
-
তাদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক, যদিও বর্তমানে অনেক গারো খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করে।

0
Updated: 15 hours ago
জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্তম্ভগুলো দ্বারা কোন সময়কালকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
১৯৪৭-১৯৭১
B
১৯৫২-১৯৭১
C
১৯৫০-১৯৭১
D
১৯৬২-১৯৭১
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
-
জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কি. মি. দূরে, সাভার থানার নবীনগরে।
-
এটি নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য।
-
স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ১৫০ ফুট।
-
নির্মাণ কাজ ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে সম্পন্ন হয়।
-
মূল কাঠামোর নকশা তৈরি করেন স্থপতি মইনুল হোসেন।
-
মূল সৌধ গঠিত কংক্রিট নির্মিত ৭ টি ত্রিভূজাকৃতির স্তম্ভ দিয়ে।
-
স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
-
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
-
১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন
-
১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন
-
১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন
-
১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যূত্থান
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
-

0
Updated: 1 week ago
'দানসাগর' ও 'অদ্ভুতসাগর' গ্রন্থ দুটি কে রচনা করেন?
Created: 3 days ago
A
বিজয়সেন
B
বল্লালসেন
C
লক্ষ্মণসেন
D
জয়দেব সেন
সেন রাজা বল্লালসেন একজন সুপণ্ডিত রাজা ছিলেন এবং তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ নামক দুটি বিখ্যাত স্মৃতিশাস্ত্র গ্রন্থ রচনা করেন।
বল্লাল সেন:
-
বিজয় সেনের মৃত্যুর পর আনুমানিক ১১৬০ সালে তার পুত্র বল্লাল সেন সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তিনি রাজ্য জয়ের চেয়ে দেশের ভেতরে উন্নয়ন, নতুন প্রথা চালু এবং সংস্কারের কাজে বেশি মনোযোগী ছিলেন।
-
গোবিন্দপালকে পরাজিত করে মগধের পূর্বাঞ্চল অধিকার করেন।
-
কথিত আছে যে, তিনি তাঁর পিতার রাজত্বকালে মিথিলা জয় করেন।
-
বল্লাল সেন ছিলেন বিদ্যান ও বিদ্যোৎসাহী রাজা।
-
তিনি ব্রতসাগর, আচারসাগর, প্রতিষ্ঠাসাগর, দানসাগর, অদ্ভুতসাগর নামে পাঁচটি গ্রন্থ রচনা করেন।
-
কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে পরিচিত।
-
পিতার ন্যায় তিনি শৈব ধর্মের অনুগামী ছিলেন।
-
ধর্মপ্রচারে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল।
-
তিনি তার পিতার অন্যান্য উপাধির সঙ্গে ‘অরিরাজ নিঃশঙ্কর’ উপাধি গ্রহণ করেন।
-
আনুমানিক ১৮ বছর রাজত্ব করার পর বৃদ্ধ বয়সে পুত্র লক্ষণ সেনের হাতে রাজ্যভার হস্তান্তর করেন এবং সস্ত্রীক ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গাতীরে বাণপ্রস্থ অবলম্বন করে শেষ জীবন অতিবাহিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 3 days ago
কোন নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 15 hours ago
A
কোচ
B
ডালু
C
চাক
D
নাগা
নাগা, কোচ, ডালু এবং চাক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, যারা নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা ধরে রেখেছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
নাগা:
-
নাগা নৃগোষ্ঠী মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে।
-
-
কোচ:
-
কোচ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার অঞ্চলের একটি প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ জেলার শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবর্দী উপজেলায় বসবাস করছে।
-
তাদের বিস্তৃতি মূলত আদিভূমি কোচবিহার থেকে এসেছে।
-
-
ডালু:
-
ডালু জাতি বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মূলত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে।
-
অনেকের ধারণা, তাদের আসল ভাষা হলো মণিপুরি।
-
-
চাক:
-
চাক বাংলাদেশের একটি উপজাতি, যারা বান্দরবান, চট্টগ্রামের চাক পাহাড় ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে।
-
তারা নিজেদের ভাষা চাক ভাষা বলে পরিচিত।
-
চাক ভাষায় ‘চক’ শব্দের অর্থ হলো ‘দাঁড়ানো’।
-

0
Updated: 15 hours ago