জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল নীতিমালা কত সালে পাশ হয়?
A
২০১১ সালে
B
২০১২ সালে
C
২০১০ সালে
D
২০১৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (২০১২)
-
দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করে।
-
এতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারদের ভূমিকা বর্ণনা করা হয়েছে।
-
এই কৌশলে শুদ্ধাচার বলতে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতাকে বোঝানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য দিক
-
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো দুর্নীতি ঠেকাতে নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সততা নিশ্চিতকরণে সরকার প্রণীত একটি সুশাসন কৌশল।
0
Updated: 1 month ago
বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে পরিচিত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নৈতিকতা
B
মূল্যবোধ
C
সুশাসন
D
কোনটিই নয়
সুশাসন হলো একটি কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন, যা ন্যায়নীতি অনুসারে উত্তম, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে রাষ্ট্র শাসন বোঝায়। অন্যভাবে, সুশাসন বলতে রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজের, সরকার ও শাসিত জনগণের, শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়। এটি একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থা, যা আইনের শাসন নিশ্চিত করে এবং সরকারের উচ্চতর দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের উদ্ভব ও ইতিহাস:
-
ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতার ফলে ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের ধারণা উদ্ভব করে।
-
এটি পরিচিত হয় বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে।
-
১৯৮০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে উন্নয়নের এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করে।
-
সুশাসন সরকার ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা উভয়ের জন্য লাভজনক হওয়ায় এটিকে ‘Win Win Game’ বলা হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অগ্রগতির প্রধান সোপান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আত্মসংযম
B
শৃঙ্খলাবোধ
C
দায়িত্বশীলতা
D
ন্যায়বিচার
শৃঙ্খলাবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উন্নতি ও অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি। এটি শুধু সামাজিক স্থিতিশীলতাই নিশ্চিত করে না, বরং জাতীয় উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য।
-
সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অগ্রগতির প্রধান সোপান হলো শৃঙ্খলাবোধ।
-
যে জাতি যত বেশি সুশৃঙ্খল, সেই জাতি তত বেশি উন্নত।
-
সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে ব্যক্তির নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পায় এবং সামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়।
-
পরিবার থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত ও কলকারখানাসহ সর্বত্র শৃঙ্খলার প্রয়োজন।
-
শৃঙ্খলা মানুষের মানবিক মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করে এবং সমাজজীবনকে উন্নতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।
0
Updated: 1 month ago
দেশে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় _________ প্রতিষ্ঠার ফলে।
Created: 1 month ago
A
সুশাসন
B
সামাজিক ন্যায়বিচার
C
অর্থনৈতিক প্রবাহ
D
কোনোটিই নয়
সুষম ও টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন
-
দেশে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় সুষম উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, যেখানে অর্থনীতি, পরিবেশ ও সমাজের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হয়।
সুশাসন:
-
সুশাসন বলতে এমন এক অবস্থাকে বোঝায় যেখানে:
-
শাসনের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত থাকে।
-
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সম্পদ ও সেবা বিতরণের ফলে দরিদ্রতম ও দরিদ্র নাগরিকেরা মর্যাদাপূর্ণ জীবন-যাপন করার সুযোগ পায়।
-
-
সুশাসন কেবল নৈতিক বা দর্শনগত ধারণা নয়; এটি একটি কার্যকরী প্রক্রিয়া।
-
যখন সুশাসন পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন সমগ্র রাজনৈতিক ব্যবস্থা টেকসই উন্নয়ন ও পরিবর্তনের দিকে ধাবিত হয়।
-
শাসন তখনই ভালো বা সুশাসন হয় যখন তা নিঃস্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ নিশ্চিত করে।
0
Updated: 1 month ago