সুশাসন একটি জাতির রাজনেতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিক নির্দেশ করে এবং জনপ্রশাসন এবং আইনী কাঠামোর মধ্যে এটি কিভাবে কাজ করে তা জানায়। - সুশাসন সম্পর্কে এই অভিমত প্রকাশ করেন -
A
মারটিন মিনোগ
B
মিশেল ক্যামডেসাস
C
ল্যান্ডেল মিল
D
উপরের কেউ নন
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম "সুশাসন (Good Governance)" শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।
-
ল্যান্ডেল মিল (Landell Mill) এর মতে, সুশাসন একটি জাতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিকনির্দেশ করে এবং জনপ্রশাসন ও আইনী কাঠামোর মধ্যে এটি কিভাবে কাজ করে তা জানায়।
-
মিশেল ক্যামডেসাস বলেন, “রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।”
-
মারটিন মিনোগ (Martin Minogue) এর মতে, “ব্যাপক অর্থে সুশাসন হচ্ছে কতগুলো উদ্যোগের সমষ্টি এবং একটি সংস্কার কৌশল, যা সরকারকে অধিকতর গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করে তোলে।”
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
স্বেচ্ছাচারিতা
D
আইনের শাসন
সুশাসন অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। এটি মূলত একটি উন্নয়নমূলক ধারণা, যা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। সুশাসন ধারণাটি উদ্ভাবন ও গুরুত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম Good Governance শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
বিশ্বব্যাংক সুশাসন ধারণার উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথমবারের মতো সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।
-
সুশাসনের ধারণা আপেক্ষিক এবং বহুমাত্রিক, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য যে, ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ সুশাসনের বৈশিষ্ট্য নয়।
সুশাসনের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো—
→ অংশগ্রহণ
→ স্বচ্ছতা
→ জবাবদিহিতা
→ সংবেদনশীলতা
→ আইনের শাসন
→ ঐকমত্য
0
Updated: 1 month ago
E-Governance কে 'SMART Government' বলে অভিহিত করেছেন কে?
Created: 1 month ago
A
বারবার কোনাবল
B
আব্রাহাম লিংকন
C
কফি আনান
D
চন্দ্রবাবু নাইডু
E-Governance (Electronic Governance)
-
E-Governance-এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Governance।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার আধুনিকতম উদ্যোগগুলির একটি হলো ই-গভর্নেন্স।
-
ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হলো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা সমাজের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
-
ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থায় নাগরিকরা স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে, সপ্তাহে সাত দিন, দিনে চব্বিশ ঘণ্টা সরকারি সেবা পেতে পারে।
-
এর ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসে, দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং কার্যত সুশাসন নিশ্চিত হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
-
সরকারের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি।
-
সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি।
-
সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি।
চন্দ্রবাবু নাইডুর SMART Government ধারণা:
-
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু E-Governance-কে SMART Government বলে অভিহিত করেন।
-
তাঁর মতে, SMART এর পূর্ণরূপ হলো:
-
S = Simple (সহজ সরল)
-
M = Moral (নৈতিক আদর্শপূর্ণ)
-
A = Accountable (জবাবদিহিমূলক)
-
R = Responsive (সংবেদনশীল/দ্রুত সাড়া প্রদানকারী)
-
T = Transparent (স্বচ্ছ)
-
0
Updated: 1 month ago
নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
শুদ্ধাচার
B
মূল্যবোধ
C
সুশাসন
D
কোনটি নয়
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণ ও চরিত্রকে নিয়ন্ত্রণকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা বিবেক ও মূল্যবোধের দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের কল্যাণ সাধনে ভূমিকা রাখে।
-
নৈতিকতার প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো বিবেক ও মূল্যবোধ।
-
নৈতিক শিক্ষা শুরু হয় পরিবারে।
-
নৈতিকতার রক্ষাকবচ হলো বিবেকের দংশন।
-
নৈতিকতার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের কল্যাণ সাধন।
-
নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান হলো সততা ও নিষ্ঠা।
-
নীতির বিপরীত হলো দুর্নীতি।
-
নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে বলা হয় শুদ্ধাচার।
0
Updated: 1 month ago