বাংলাদেশ সংবিধান হাতে লেখার দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত ছিল?
A
হাশেম খান
B
এ.কে.এম আব্দুর রউফ
C
কামরুল ইসলাম
D
সমরজিৎ রায় চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান হাতে লেখা ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এ.কে.এম. আব্দুর রউফ, যার নিকট সংবিধানের মূল রচনা তৈরি হয়।
-
১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে গণপরিষদের সদস্যরা হাতে লেখা সংবিধানের কপিতে স্বাক্ষর প্রদান করেন।
-
বাংলাদেশ সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ থেকে।
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।
-
হস্তলিখিত সংবিধানে মোট ৩৯৯ জন গণপরিষদ সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে।
-
হস্তলিখিত সংবিধানের মূল লেখক হলেন এ.কে.এম. আব্দুর রউফ।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
হাশেম খান বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী, যিনি ১৯৯২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
-
কামরুল হাসান "পটুয়া" হিসাবেও পরিচিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন -
Created: 1 month ago
A
আবুল মনসুর আহমদ
B
মাওলানা আতাহার আলী
C
আবুল কালাম শামসুদ্দিন
D
আবুল কাশেম
যুক্তফ্রন্ট:
- ১৯৫৩ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল।
- যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক ছিলো 'নৌকা'।
- ২১ ফেব্রুয়ারিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার করা হয় ২১ দফা।
- ২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ।
- যুক্তফ্রন্ট তাদের ঐতিহাসিক ২১ দফা দাবিতে গণমানুষের অধিকারের কথা তুলে ধরে।
- এই দফাগুলো সংক্ষেপে বর্ণিত হলো:
১. বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
২. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ করা এবং ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে উদ্বৃত্ত জমি বিতরণ।
৩. পাটের ব্যবসায় জাতীয়করণ করা।
৪. সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
৫. পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প প্রতিষ্ঠা করা।
৬. কারিগর মুহাজিরদের কাজের ব্যবস্থা করা।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষ রোধের জন্য খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা করা।
৮. শিল্প ও খাদ্যে দেশকে স্বাবলম্বী করা।
৯. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তন করা।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা।
১১. ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
১২. শাসন ব্যয় হ্রাস করা ও মন্ত্রীদের বেতন এক হাজার টাকার বেশি না করা।
১৩. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৪. জন নিরাপত্তা আইন ও অর্ডিন্যান্স প্রভৃতি বাতিল করা।
১৫. বিচার ও শাসন বিভাগ পৃথকীকরণ করা।
১৬. মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন 'বর্ধমান হাউস'কে বাংলা ভাষা গবেষণাগারে পরিণত করা।
১৭. বাংলা ভাষা করার দাবিতে নিহত শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা।
১৮. একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা।
১৯. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান।
২০. আইন পরিষদের মেয়াদ কোনোভাবেই বৃদ্ধি না করা।
২১. আইন পরিষদের আসন শূন্য হলে তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচন দিয়ে তা পূরণ করা।
তথ্যসূত্র - ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
ফরায়েজি আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন -
Created: 1 month ago
A
মজনু শাহ
B
সৈয়দ আহমদ
C
দুদু মিয়া
D
তিতুমীর
ফরায়েজি আন্দোলন ছিল উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতীয় মুসলিম সমাজে উদ্ভূত একটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আন্দোলন। এটি মূলত ইসলামের মৌলিক নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমে ধর্মীয় জীবন এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়।
-
ফরায়েজি আন্দোলনের সূত্রপাত করেন হাজী শরীয়তুল্লাহ, যিনি ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে বৃহত্তর ফরিদপুরের মাদারীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
ফরায়েজি শব্দটি এসেছে আরবি ‘ফরজ’ (অবশ্য কর্তব্য) থেকে; যারা ফরজ পালন করে, তারাই ফরায়েজি।
-
হাজী শরীয়তুল্লাহ পবিত্র কুরআনে বর্ণিত পাঁচটি ফরজ মৌলনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
-
তিনি ভারতবর্ষকে ‘দারুল হারব’, অর্থাৎ বিধর্মীর রাজ্য, বলে ঘোষণা করেন।
-
জমিদার শ্রেণি ফরায়েজি প্রজাদের উপর নানা অত্যাচার চালালে, হাজী শরীয়তুল্লাহ প্রজাদের রক্ষার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করেন।
-
১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে তার উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
-
১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে হাজী শরীয়তুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন।
-
তাঁর মৃত্যুর পর ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন আহমদ বা দুদু মিয়া, যিনি ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
-
দুদু মিয়া ফরায়েজি আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দেন।
-
১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে দুদু মিয়া মৃত্যুবরণ করলে যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ফরায়েজি আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।
0
Updated: 1 month ago
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন -
Created: 1 month ago
A
স্যার সৈয়দ আহমেদ
B
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ
C
নওয়াব আবদুল লতিফ
D
উপরের কেউ নন
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রমনা এলাকায় নিজের জমি দান করেন।
-
বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাকে আরও জোরদার করে।
-
১৯০৫ সাল থেকে নওয়াব সলিমুল্লাহ সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য।
-
১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় এসে তিন দিন অবস্থান করেন।
-
৩১ জানুয়ারি, নওয়াব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য মানপত্র প্রদান করে।
-
১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার একটি ইশতেহার জারি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ ঘোষণা করে।
-
১৯২১ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান শুরু হয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago