'মত প্রকাশের স্বাধীনতা' কোনো ব্যক্তির কোন ধরনের স্বাধীনতার?
A
জাতীয় স্বাধীনতা
B
সামাজিক স্বাধীনতা
C
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা
D
রাজনৈতিক স্বাধীনতা
উত্তরের বিবরণ
একটি রাষ্ট্রে নাগরিকরা নানা ধরনের স্বাধীনতা উপভোগ করে, যা সময়, স্থান ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এই স্বাধীনতাগুলো মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা: ধর্ম পালন ও মত প্রকাশের অধিকার এর অন্তর্ভুক্ত।
-
সামাজিক স্বাধীনতা: জীবনধারণ, সম্পত্তি ভোগ এবং সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ।
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতা: ভোটার হওয়ার অধিকার, ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ।
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: পেশা নির্বাচন ও জীবিকা নির্বাহের অধিকার।
-
জাতীয় স্বাধীনতা: একটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ও স্বতন্ত্র অবস্থান প্রতিষ্ঠার সক্ষমতা।
-
পৌর স্বাধীনতা: জীবনের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার এবং ধর্ম পালনের অধিকার।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন নিয়ে 'White paper' বা 'শ্বেতপত্র' প্রকাশ করে-
Created: 1 month ago
A
World Bank
B
International Monetary Fund
C
Islamic Development Bank
D
European Economic Community
শ্বেতপত্র (White paper)
-
কোন একটি দেশের পার্লামেন্ট বা জাতীয় পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত দলিলকে শ্বেতপত্র বলা হয়
-
এটি কোনো বিশেষ বিষয়ে জনগণ বা পার্লামেন্টকে অবহিত করার জন্য সরকারি বিবরণী হিসেবে প্রকাশিত হয়
-
একই ধরনের প্রথা অন্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমন অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায়ও প্রচলিত রয়েছে
-
নতুন আইন প্রণয়ন বা কোনো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ চূড়ান্ত করার পূর্বেও শ্বেতপত্র জারী করা হতে পারে
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিভিন্ন বিষয়ে শ্বেতপত্র জারী করে
-
শ্বেতপত্র জারী করার প্রথা বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেও দেখা গেছে
সুশাসন ও শ্বেতপত্র:
-
সুশাসন সংক্রান্ত বিষয়ে White paper বা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে European Economic Community
উৎস: European Economic Community
0
Updated: 1 month ago
ম্যাককরনী সুশাসন বলতে কোন সম্পর্ককে বোঝান নি?
Created: 1 month ago
A
সরকারের সাথে বিরোধীদলের
B
শাসকের সাথে শাসিতের
C
রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের
D
সরকারের সাথে শাসিত জনগণের
সুশাসন হলো একটি বহুমাত্রিক ধারণা, যা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শাসনের কার্যকরী ব্যবস্থা বোঝায়। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ, ক্ষেত্র ও প্রেক্ষাপট থেকে গভর্নেন্স শব্দের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 'সুশাসন' ধারণার মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্র ও জনগণ, সরকার ও বিরোধী পক্ষ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্কের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করা।
-
ম্যাককরনী (Mac Corney) বলেছেন, সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে শাসিত জনগণের, শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়, তবে তিনি সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলের সম্পর্ককে সুশাসনের অংশ হিসেবে দেখাননি।
-
'গভর্নেন্স' বা 'শাসন ব্যবস্থা'-এর সাথে 'সু' প্রত্যয় যোগ করে গঠিত হয়েছে সুশাসন (Good Governance) শব্দটি। এর অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
সুশাসনকে একক কোনো ধারণার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, কারণ এটি বহুমাত্রিক। বিভিন্ন তাত্ত্বিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা সংস্থা সুশাসনের সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
-
সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত এবং ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার Good Governance শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
সমীক্ষায় বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়নের কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
মোটকথা, যদি প্রশাসনে জবাবদিহিতা (Accountability), বৈধতা (Legitimacy), স্বচ্ছতা (Transparency) থাকে, অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে, বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বজায় থাকে, আইনের শাসন (Rule of law) এবং আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের দায়িত্বশীলতা কার্যকর থাকে, তাহলে সেই শাসনকে সুশাসন (Good Governance) বলা যায়।
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক পরানীতিবিদ্যার (Meta-Ethics) প্রবর্তক বলা হয় কাকে?
Created: 1 month ago
A
হল্যান্ড
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
ডব্লিউ ডি হার্ডসন
D
জি. ই. ম্যুর
পরানীতিবিদ্যা (Meta-Ethics) হলো নৈতিক পদ, নৈতিক অবধারণ ও নৈতিক ভাষার অর্থ ও যৌক্তিকতা সংক্রান্ত আলোচনা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন নৈতিক মতবাদ গড়ে ওঠে। এটি নৈতিক উক্তি, পদ বা অবধারণ, এবং নৈতিক পদ ও অবধারণের যৌক্তিকতা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
পরানীতিবিদ্যার অর্থ: ‘Meta Ethics’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো পরানীতিবিদ্যা।
-
ভিন্ন নীতিবিদ্যার সঙ্গে তুলনা:
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা: আচরণের ভাল-মন্দ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন মানদন্ড বা আদর্শ ব্যবহার করে।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা: বাস্তব জীবনের চলতি সমস্যাকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা: অভিজ্ঞতানির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত; এর উদাহরণ হলো বিবর্তনবাদী নীতিবিদ্যা।
-
-
উদ্ভাবক ও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:
-
ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর (G. E. Moore) আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক।
-
১৯০৩ সালে তার বই ‘Principia Ethica’ এই ধরনের আলোচনার সূত্রপাত করে।
-
জি. ই. ম্যূর বলেন, “শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগ হলো নৈতিকতা।”
-
0
Updated: 1 month ago