রাজনৈতিক ঐকমত্য ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবে ব্যাহত হয় কোনটি?
A
দুর্নীতি
B
স্বজনপ্রীতি
C
সুশাসন
D
উপরের সবকটি
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐক্যমত ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা অপরিহার্য। এই দুটি উপাদান অনুপস্থিত হলে সুশাসন ব্যাহত হয় এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। একটি কার্যকর গণতন্ত্রে নাগরিক ও সরকারের যৌথ প্রচেষ্টা ছাড়া স্থায়ী সুশাসন সম্ভব নয়।
-
সুশাসন
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকরা অধিকার ভোগের পাশাপাশি নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠা শুধুমাত্র সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়; নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণও প্রয়োজন।
-
যে জাতি নিজের কর্তব্য থেকে বিমুখ, তারা কখনো উন্নতি করতে পারে না এবং প্রকৃত সুশাসন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়।
-
-
পশ্চিমা দৃষ্টিতে সুশাসনের মূল বৈশিষ্ট্য
-
জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা।
-
রাষ্ট্রব্যবস্থা অবশ্যই আইনের শাসন বা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য আইনের ওপর ভিত্তি করে চলা।
-
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
প্রশাসনিক দক্ষতা ও গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোর শক্তিশালীকরণ।
-
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অংশগ্রহণ
B
স্বচ্ছতা
C
স্বেচ্ছাচারিতা
D
আইনের শাসন
সুশাসন অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। এটি মূলত একটি উন্নয়নমূলক ধারণা, যা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। সুশাসন ধারণাটি উদ্ভাবন ও গুরুত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম Good Governance শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
বিশ্বব্যাংক সুশাসন ধারণার উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথমবারের মতো সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।
-
সুশাসনের ধারণা আপেক্ষিক এবং বহুমাত্রিক, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য যে, ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ সুশাসনের বৈশিষ্ট্য নয়।
সুশাসনের বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো—
→ অংশগ্রহণ
→ স্বচ্ছতা
→ জবাবদিহিতা
→ সংবেদনশীলতা
→ আইনের শাসন
→ ঐকমত্য
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল অনুসারে ‘শুদ্ধাচার’ বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
শুদ্ধভাবে কার্যসম্পাদনের কৌশল
B
সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণের মানদণ্ড
C
দৈনন্দিন কার্যক্রমে অনুসৃতব্য মানদণ্ড
D
সততা ও নৈতিকতা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (National Integrity Strategy):
-
শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততার দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝায়।
-
এটি একটি সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদণ্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্যকেও নির্দেশ করে।
-
ব্যক্তি-পর্যায়ে শুদ্ধাচারের অর্থ হলো কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা, অর্থাৎ চরিত্রনিষ্ঠা।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে।
কৌশলের মূল লক্ষ্য:
-
শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
রাষ্ট্র ও সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত স্থায়ী দায়িত্ব, এবং সরকারের অবশ্যই অব্যাহতভাবে এই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
শুদ্ধাচারের গুরুত্ব:
-
শুদ্ধাচারের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে উদ্ভূত সমস্যা দূর করা যায়।
-
এটি সামাজিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নৈতিকতা ও সততার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 1 month ago
ইউএনডিপি ও এডিবির মতে সুশাসনের উপাদান কতটি?
Created: 1 month ago
A
৯টি ও ৮টি
B
৯টি ও ৪টি
C
৭টি ও ৬টি
D
৮টি ও ৭টি
সুশাসনের ধারণা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছে। ফলে সুশাসনের উপাদানের সংখ্যা ও গুরুত্ব প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হলেও মূল উদ্দেশ্য একই—রাষ্ট্র ও সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায়সঙ্গত শাসন নিশ্চিত করা।
-
ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসনের ৯টি উপাদান নির্ধারণ করেছে।
-
জাতিসংঘ (United Nations) সুশাসনের ৮টি উপাদান উল্লেখ করেছে।
-
বিশ্বব্যাংক (World Bank) সুশাসনের ৬টি উপাদান তুলে ধরেছে।
-
আইডিএ (IDA) সুশাসনের ৪টি উপাদান ব্যাখ্যা করেছে।
-
এডিবি (ADB) সুশাসনের ৪টি উপাদান নির্ধারণ করেছে।
-
ইউএনএইচসিআর (UNHCR) সুশাসনের ৫টি উপাদান উল্লেখ করেছে।
0
Updated: 1 month ago