A
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
B
বিনয় ঘোষ
C
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
D
রাধারমণ মিত্র
উত্তরের বিবরণ
‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’
রচয়িতা: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
পূর্ণনাম: আখতারুজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস
জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩, গোটিয়া গ্রাম, গাইবান্ধা (মাতুলালয়)
পৈতৃক নিবাস: চেলোপাড়া, বগুড়া
বাংলা কথাসাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী নাম। তাঁর লেখালেখিতে যেমন সমাজবাস্তবতা গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে, তেমনি কালচেতনার ধারাবাহিকতায় ফুটে উঠেছে সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব।
তাঁর বর্ণনাশৈলী এবং সংলাপভাষায় যে স্বতন্ত্রতা ও কথ্যরীতির মুন্সিয়ানা দেখা যায়, তা বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে নতুন মাত্রা ও গতি।
বিশিষ্ট রচনাসমূহ:
-
অন্যঘরে অন্যস্বর
-
দোজখের ওম
-
খোয়াবনামা
-
সংস্কৃতির ভাঙা সেতু
এই গ্রন্থগুলোর প্রতিটিতেই রয়েছে সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতির অন্তর্নিহিত টানাপোড়েনের সূক্ষ্ম বর্ণনা।
প্রাসঙ্গিক আরও কিছু গ্রন্থ ও লেখক
-
‘সংস্কৃতি কথা’ – মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
‘সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই’ – শওকত ওসমান
-
‘সভ্যতার সংকট’ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 4 weeks ago
'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর প্রধান লেখক ছিলেন-
Created: 2 months ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
B
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
C
মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
D
কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ছিল একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা গঠিত হয়েছিল ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রগতিশীল ও যুক্তিবাদী শিক্ষক ও ছাত্রদের উদ্যোগে।
১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়নের কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম. আবদুল হক এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির। এঁরাই প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ এবং যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
প্রকাশনা ও সাহিত্যচর্চা
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের বার্ষিক মুখপত্র শিখা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে। মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
-
প্রথম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল হুসেন,
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যা কাজী মোতাহার হোসেন,
-
চতুর্থ সংখ্যা মোহাম্মদ আবদুর রশিদ এবং
-
পঞ্চম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল ফজল।
শিখা পত্রিকার মুখবাণী ছিল —
"জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।"
প্রধান লেখকবৃন্দ:
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের উল্লেখযোগ্য লেখকরা হলেন —
-
আবুল হুসেন
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
কাজী আবদুল ওদুদ
-
আবদুল কাদির
-
আবুল ফজল
-
আনোয়ারুল কাদির প্রমুখ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
কোনটি কাজী নজরুল ইসলাম রচতি গ্রন্থ?
Created: 3 weeks ago
A
বিষের বাঁশী
B
বন্দীর বন্দনা
C
সন্দ্বীপের চর
D
রূপসী বাংলা
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘বিষের বাঁশী’ বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী সংযোজন। ১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে (আগস্ট, ১৯২৪) এই কাব্যগ্রন্থটি কবি নিজ উদ্যোগে প্রকাশ করেন।
প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে—এই কাব্যই নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধকৃত রচনা। দীর্ঘ ২১ বছর পর, ১৯৪৫ সালের ২৭ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
এই কাব্যে নজরুলের কাব্যিক বলিষ্ঠতা, উদ্দাম যৌবনের শক্তি, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক প্রতিচিন্তা ও গীতিময় প্রতিভার পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে। ‘বিষের বাঁশী’-র কবিতাগুলোর অন্তর্নিহিত ভাবধারা মূলত উদারনৈতিক চেতনায় গঠিত।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ও কবি:
-
‘বন্দীর বন্দনা’ রচনা করেছেন বুদ্ধদেব বসু।
-
‘সন্দ্বীপের চর’ কাব্যগ্রন্থের কবি হলেন বিষ্ণু দে।
-
আর ‘রূপসী বাংলা’ রচনা করেছেন স্বনামধন্য কবি জীবনানন্দ দাশ।
কাজী নজরুল ইসলাম: এক বিদ্রোহী আত্মার নাম
বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে খ্যাত কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ চেতনার এক অগ্রদূত। তাঁর জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, অর্থাৎ ২৪ মে ১৮৯৯ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। শৈশবে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘দুখু মিয়া’ নামে।
বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে, যিনি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কলমের মাধ্যমে রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি আধুনিক বাংলা গানের ভুবনে তাঁর অবদান তাঁকে এনে দিয়েছে ‘বুলবুল’ উপাধি।
উৎস: বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা (সৌমিত্র শেখর) এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago
'সংশপ্তক' কার রচনা?
Created: 4 weeks ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
শহীদুল্লাহ কায়সার
C
জহির রায়হান
D
শওকত ওসমান
বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য উচ্চতায় স্থান পেয়েছে শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত উপন্যাস ‘সংশপ্তক’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। উপন্যাসটির নামের মধ্যেই রয়েছে এর মূল দর্শন—“সংশপ্তক”
অর্থাৎ এমন যোদ্ধা যারা জীবন-মরণের শপথে অবিচল থেকে লড়াই চালিয়ে যায়। এই শব্দার্থকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এক বিশাল পরিসরের কাহিনি।
সংশপ্তক উপন্যাসটি মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগের সময় থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলনের পূর্ব পর্যন্ত পূর্ববাংলার সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে উপজীব্য করে রচিত। বাংলার মানুষের জীবনে ঘটতে থাকা রূপান্তর, সংগ্রাম, সংকট, আশা ও অস্থিরতা—সবকিছুরই এক বাস্তব ও প্রাণবন্ত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসে। এজন্যই একে যথার্থভাবে একটি “মহাকাব্যিক উপন্যাস” বলা হয়ে থাকে।
এই উপন্যাসে উঠে এসেছে হিন্দু-মুসলমানের সম্মিলিত জীবনধারা, অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চিন্তাধারা, আর সেই সঙ্গে দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব—সবকিছুই নিপুণভাবে আঁকা হয়েছে।
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ
-
রাবেয়া খাতুন (রাবু) – উপন্যাসের প্রধান নারীচরিত্র, সংগ্রামী চেতনাধারার প্রতীক।
-
জাহেদ – রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতীক এক যুবক।
-
সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল – এই সব চরিত্রগুলো উপন্যাসে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে উঠে এসেছে।
শহীদুল্লাহ কায়সার ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রভাবশালী ঔপন্যাসিক। তাঁর লেখায় যেমন রয়েছে বাস্তবতা, তেমনি রয়েছে ইতিহাস, সমাজ ও মানবচেতনার গভীর অনুসন্ধান। তিনি সমাজের নানা সংকট, সংগ্রাম ও পরিবর্তনের চিত্র সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 4 weeks ago