বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের কতটি স্তম্ভ?
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন আজকের বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ধারণা, যা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মূলত সরকার বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর, ন্যায়সংগত ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনার প্রক্রিয়া বোঝায়।
-
সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Good Governance’।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুশাসন।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সুশাসন সম্পর্কিত ধারণা ব্যবহৃত হয়।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি মূল স্তম্ভ ঘোষণা করে, যা হলো:
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনী কাঠামো
-
অংশগ্রহণ
-

0
Updated: 21 hours ago
সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক কারা ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
প্লেটো, এরিস্টটল, সিসারো
B
মেকিয়াভেলি, মন্টেস্কু, কান্ট
C
সক্রেটিস, এরিস্টটল, সেন্ট অগাস্টিন
D
হবস্, লক ও রুশো
সামাজিক চুক্তি মতবাদ
-
এ মতবাদের মূলকথা হলো—সমাজে বসবাসকারী জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।
-
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদার্শনিক টমাস হবস্ ও জন লক এবং ফরাসি দার্শনিক জ্যাঁ জ্যাক রুশো সামাজিক চুক্তি মতবাদের প্রবর্তক ছিলেন।
-
এ মতবাদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বসবাস করত।
-
তারা প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলত এবং প্রাকৃতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত।
-
কিন্তু প্রকৃতির রাজ্যে আইন অমান্য করলে শাস্তি দেওয়ার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না।
-
ফলে সামাজিক জীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
-
মানুষ হয়ে উঠে স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক; দুর্বলের উপর চলে সবলের অত্যাচার।
-
এ কারণে মানুষের জীবন কষ্টকর ও দুর্বিষহ হয়ে উঠে।
-
এছাড়া, প্রকৃতির রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তির আকাঙ্ক্ষা ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
-
প্রকৃতির রাজ্যের এ অরাজকতাপূর্ণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি করে এবং নিরাপত্তার বিনিময়ে নিজেদের উপর শাসন করার জন্য স্থায়ীভাবে শাসকের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
নৈতিকতার মূল লক্ষ্য কী?
Created: 1 week ago
A
মানুষের কল্যাণ সাধন
B
স্বাধীনতা অর্জন
C
আইন প্রতিষ্ঠা
D
ধর্মীয় বিধান প্রতিষ্ঠা
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তরর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি
-
নৈতিকতার উদ্ভব মানুষের বিবেকবোধ থেকে
-
এটি একটি মানসিক বিষয়
-
নৈতিকতার উপর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব আরোপিত নয়, অর্থাৎ নৈতিকতা লঙ্ঘনকারীকে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় আইন শাস্তি প্রদান করতে পারে না
-
বিবেকের দংশনই নৈতিকতার সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ
-
মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার লক্ষ্য
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago
‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’ ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 1 week ago
A
জন স্টুয়ার্ট মিল
B
প্লেটো
C
ইমানুয়েল কান্ট
D
এরিস্টটল
নীতিবিদ্যা:
-
‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’ ধারণাটির প্রবর্তক ইমানুয়েল কান্ট।
-
ইমানুয়েল কান্ট জার্মান নীতিবিজ্ঞানী।
-
তাঁর নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি:
-
সৎ ইচ্ছা
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য
-
শর্তহীন আদেশ
-
-
‘কর্তব্যমুখী নৈতিকতা’ বা ‘কর্তব্যের নৈতিকতার’ দর্শন কোনো কর্মের ফল বা পরিণতির বদলে কর্মের ধরনকেই গুরুত্ব দেয়।
-
ইমানুয়েল কান্টকে কর্তব্যমুখী নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago