নিচের কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
A
মূল্যবোধ শিক্ষা
B
সামাজিক প্রথা
C
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
D
ধর্ম
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্যবোধ শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে সঠিক নৈতিক ভিত্তি থাকা জরুরি, আর তা অর্জিত হয় সুশিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে।
-
স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা সুশাসনের মূল উপাদান এবং এগুলো মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে, যা ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।
-
এই শিক্ষার নিয়মিত চর্চা ছাড়া প্রকৃত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সহায়তা করতে পারে, তবে সুশাসনের একমাত্র শর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের জন্য সহায়ক হলেও, অনেক সময় এগুলো বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়ায়, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ছাড়া সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না।
0
Updated: 1 month ago
'সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা' কোন ধরনের মূল্যবোধের মধ্যে পড়ে?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
C
নৈতিক মূল্যবোধ
D
পারিবারিক মূল্যবোধ
নৈতিক মূল্যবোধ এমন এক মানসিক শক্তি যা মানুষের সঠিক-ভুল, উচিত-অনুচিত এবং ন্যায়-অন্যায় বোধকে গড়ে তোলে। এটি ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের কল্যাণে প্রয়োজনীয় আচরণ ও মনোভাবের বিকাশ ঘটায় এবং মানুষকে মানসিকভাবে তৃপ্তি দেয়।
-
নীতি ও উচিত-অনুচিত বোধ নৈতিক মূল্যবোধের মূল উৎস।
-
নৈতিক মূল্যবোধ হলো সেই মনোভাব ও আচরণ, যেগুলো মানুষ সর্বদা ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য হিসেবে বিবেচনা করে।
-
নৈতিক মূল্যবোধের প্রথম পাঠের স্থান হলো পরিবার।
-
শিশু প্রথম নৈতিক শিক্ষা পায় পরিবার থেকেই, যা তার চরিত্র গঠনের ভিত্তি তৈরি করে।
-
অন্যায় থেকে বিরত থাকা, সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা, দুঃস্থকে সহায়তা করা ইত্যাদি নৈতিক মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ দিক।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
২০০৮ সালে
B
২০১০ সালে
C
২০১২ সালে
D
২০১৩ সালে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো এমন একটি নীতি ও পরিকল্পনা যা সমাজ ও রাষ্ট্রে নৈতিকতা ও সততা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয় পর্যায়ে শুদ্ধাচারের মানদণ্ড প্রচলনের জন্য প্রণীত।
-
শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝানো হয়। এটি সমাজের প্রথা, নীতি ও মানদণ্ডের প্রতি আনুগত্যকেও নির্দেশ করে। ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ হল কর্তব্যনিষ্ঠা ও চরিত্রনিষ্ঠা। এই দলিলে শুদ্ধাচারের এই সংজ্ঞা গ্রহণ করা হয়েছে।
-
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে।
-
কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
কৌশলে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাষ্ট্র ও সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত স্থায়ী দায়িত্ব, এবং সরকারকে অব্যাহতভাবে এই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
রূপকল্প: সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা
-
অভিলক্ষ্য: রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা
0
Updated: 1 month ago
মানুষ জন্মের পর থেকেই কী শিখতে শুরু করে?
Created: 1 month ago
A
নৈতিকতা
B
সংস্কৃতি
C
মূল্যবোধ
D
নীতি
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে। অর্থাৎ মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ ভুল ও শুদ্ধ, ভালো ও মন্দ পার্থক্য করতে পারে।
-
এটি হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী মানদণ্ড ও নীতি।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে আরও সুদৃঢ় করা যায়।
-
মানুষ জন্মের পর থেকেই মূল্যবোধ শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, যা আমৃত্যু অব্যাহত থাকে।
-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরণ ও প্রভাবেও পরিবর্তন আসে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথমপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago