’গীতাঞ্জলি’ কী ধরনের রচনা?
A
নাট্যগ্রন্থ
B
কাব্যগ্রন্থ
C
প্রবন্ধগ্রন্থ
D
উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
গীতাঞ্জলি:
-
গীতাঞ্জলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত অন্যতম কাব্যগ্রন্থ।
-
বাংলা গীতাঞ্জলি (রচনাকাল: ১৯০৮–১৯০৯) কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ হলো The Song Offerings।
-
ইংরেজি ভাষায় গদ্যে প্রকাশিত এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম সংকলনগ্রন্থ।
-
১৯১২ সালের শেষ দিকে, লন্ডনের ইন্ডিয়া সোসাইটি কর্তৃক প্রথমবার ‘Gitanjali / The Song Offerings’ প্রকাশিত হয়।
-
১৯১৩ সালের ১০ নভেম্বর গীতাঞ্জলির জন্য রবীন্দ্রনাথকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
-
এই স্বীকৃতির ফলে রবীন্দ্রনাথের কবিপ্রতিভা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করে।
-
The Song Offerings গ্রন্থের আন্তরিক ও প্রশস্তিপূর্ণ ভূমিকা লিখেছেন খ্যাতনামা আইরিশ কবি ডব্লিউ. বি. ইয়েটস (William Butler Yeats)।
-
ভূমিকার পাশাপাশি তিনি রথেনস্টেইন অঙ্কিত কবির একটি পেন্সিল স্কেচও সংযোজন করেন।
-
রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি / The Song Offerings গ্রন্থটি ডব্লিউ. বি. ইয়েটসকে উৎসর্গ করেন।

0
Updated: 23 hours ago
“সততা হে নদ তুমি পড় মোর মনে” পঙক্তিটির রচিতা কে?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
অমিয় চক্রবর্তী
কবিতা: কপোতাক্ষ নদ
-
রচয়িতা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
অন্তর্গত: চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-
ধরণ: সনেট
-
উল্লেখযোগ্য পঙক্তি: "সততা হে নদ তুমি পড় মোর মনে"
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
মহাকবি, নাট্যকার
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ নদ, যশোর
-
বাংলা ভাষায় সনেটের ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক
রচিত কাব্য:
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী

0
Updated: 1 month ago
জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
Created: 3 months ago
A
ঝরা পালক
B
বেলা অবেলা কালবেলা
C
বাংলার রূপ
D
মহাপৃথিবী
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতা কুসুমকুমারী দাশ ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’ কবিতার জন্য আজও সমাদৃত, যা শিশুদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত।
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৫ সালে কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হন এবং পরে, ২২ অক্টোবর, মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ‘ব্রহ্মবাদী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক।
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরা পালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা (মরণোত্তর প্রকাশিত)
-
রূপসী বাংলা (মরণোত্তর প্রকাশিত)
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ বাংলার রূপ নয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর.

0
Updated: 3 months ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
B
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন
C
কাশীরাম দাস
D
বড়ু চণ্ডীদাস
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
-
মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন স্বীকৃত।
-
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের শ্ৰী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় পুঁথিটি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
পুঁথির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় এর নাম ও কবির নাম স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
-
আবিষ্কারক ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় প্রাচীন বৈষ্ণব লেখকদের ইঙ্গিত অনুসারে গ্রন্থটির নামকরণ করেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
-
এই কাব্যকে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস।
-
কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র হলো কৃষ্ণ, রাধা ও বড়াই।
-
এতে মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে।
অন্য তথ্য
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর → মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদক।
-
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন → মহাভারতের রচয়িতা।
-
কাশীরাম দাস → মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 3 weeks ago