যুগসন্ধিকালের ব্যাপ্তি ছিল-
A
১৩৬০ সাল থেকে ১৮৬০
B
১৭৪০ সাল থেকে ১৮৬০
C
১৭৪০ সাল থেকে ১৮০০
D
১৭৬০ সাল থেকে ১৮৬০
উত্তরের বিবরণ
যুগসন্ধিক্ষণ বলতে ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে বোঝানো হয়। এ সময়কে অবক্ষয়ের যুগ নামেও ডাকা হয়। আবার ১৭৬০ থেকে ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে দ্বিতীয় অন্ধকার যুগ বলা হয়ে থাকে। বাংলা সাহিত্যে এই যুগসন্ধিকালের অন্যতম কবি ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের মৃত্যুর (১৮৬০ খ্রিঃ) পর বাংলা সাহিত্যে কবিওয়ালা ও শায়েরদের আবির্ভাব ঘটে, যা এই যুগের বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত।
0
Updated: 1 month ago
যুগ সন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে পরিচিত কে?
Created: 5 months ago
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত
C
ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর
D
আলাওল
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯): কবি, সাংবাদিক। ‘ক্রমবর্ধমান যুগ’ ও ‘আধুনিক যুগের মিলনকারী’ কবি হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও তাঁর ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ছিলো মধ্যযুগীয়। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপই ছিল তাঁর রচনার বিশেষত্ব।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন। তিনি ১৮৩১ সালে সংবাদ প্রভাকর (সাপ্তাহিক) পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। এবং ১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
- তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার করে প্রকাশ করা।
- ঈশ্বরচন্দ্র সংবাদ প্রভাকর ছাড়াও সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন ও সংবাদ সাধুরঞ্জন পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া; লাইব্রেরি এশিয়াটিক সোসাইটি। (Slight correction of the source, "লাইব্রেরি এশিয়াটিক সোসাইটি" seems more appropriate than "লাইভ এশিয়াটিক লেকচার")
0
Updated: 5 months ago
যুগ সন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে পরিচিত কে?
Created: 5 months ago
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত
C
ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর
D
আলাওল
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯): কবি, সাংবাদিক। ‘ক্রমবর্ধমান যুগ’ ও ‘আধুনিক যুগের মিলনকারী’ কবি হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি সমকালের সামাজিক ও ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করলেও তাঁর ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ছিলো মধ্যযুগীয়। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপই ছিল তাঁর রচনার বিশেষত্ব।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ সম্পাদনা করেন। তিনি ১৮৩১ সালে সংবাদ প্রভাকর (সাপ্তাহিক) পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। এবং ১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
- তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো কবিয়ালদের লুপ্তপ্রায় জীবনী উদ্ধার করে প্রকাশ করা।
- ঈশ্বরচন্দ্র সংবাদ প্রভাকর ছাড়াও সংবাদ রত্নাবলী, পাষণ্ডপীড়ন ও সংবাদ সাধুরঞ্জন পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া; লাইব্রেরি এশিয়াটিক সোসাইটি। (Slight correction of the source, "লাইব্রেরি এশিয়াটিক সোসাইটি" seems more appropriate than "লাইভ এশিয়াটিক লেকচার")
0
Updated: 5 months ago
মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি কাকে বলা হয়?
Created: 5 days ago
A
ভরত চন্দ্র রায়কে
B
বিহারীলাল চক্রবর্তীকে
C
ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্তকে
D
মধূসূদন দত্তকে
বাংলা সাহিত্যে “মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি” বলতে সেই কবিকে বোঝায়, যিনি মধ্যযুগীয় সাহিত্যধারা থেকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের দিকে ধীরপন্থী পরিবর্তনের সূচনা করেন। এই সময়ে বাংলা সাহিত্যে ধারা, ভাষা ও বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন দেখা দেয়। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত এই পর্যায়ের প্রধান প্রতিনিধি, যিনি মধ্যযুগীয় ধ্রুপদী ও কাব্যধারার সঙ্গে আধুনিক চিন্তাভাবনা এবং ভাষার সহজতা ও প্রাঞ্জলতা যুক্ত করেছেন।
এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা যায়:
-
মধ্যযুগীয় প্রভাব: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের রচনায় মধ্যযুগের কাব্যধারা, ধর্মীয় আখ্যান ও রীতিনীতির ছাপ দেখা যায়। তিনি পূর্বের কাব্যধারার সৌন্দর্য ও নৈতিকতা বজায় রেখে লিখেছেন।
-
আধুনিকতার ছোঁয়া: একই সঙ্গে তার সাহিত্য আধুনিক চিন্তাভাবনা, বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও মানবিক অনুভূতির প্রতিফলন ধারণ করে। এটি তাকে মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সংযোগকারী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
ভাষার সরলীকরণ: পূর্বের কাব্যের তুলনায় ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ভাষা আরও সরল, প্রাঞ্জল এবং সহজবোধ্য। এটি সাধারণ পাঠকের কাছে সাহিত্যকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলে।
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: তার রচনায় নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক সচেতনতা প্রতিফলিত হয়েছে। এছাড়াও, তার কবিতা এবং নাটকগুলোতে সংলাপ, চরিত্রায়ন এবং ঘটনার তীব্রতা মধ্যযুগীয় রীতিকে আধুনিক রূপে উপস্থাপন করেছে।
-
সাহিত্য ইতিহাসে স্থান: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে, কারণ তিনি পুরোনো ও নতুন ধারা সংযুক্ত করে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেছেন।
সারসংক্ষেপে, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত এমন একজন কবি যিনি মধ্যযুগীয় কাব্যধারার নৈতিকতা ও রীতিনীতির সঙ্গে আধুনিক চিন্তাভাবনা, মানবিকতা এবং ভাষার সরলতা মেলাতে সক্ষম হয়েছেন। এই কারণে তাকে বাংলার সাহিত্য ইতিহাসে মধ্যযুগ-আধুনিক যুগের সন্ধিক্ষণের কবি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তার সাহিত্য পাঠককে অতীত ও বর্তমানের সংযোগ বোঝায় এবং বাংলা সাহিত্যের পরিবর্তন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
0
Updated: 5 days ago