A
মুনীর চৌধুরী
B
শহীদুল্লাহ কায়সার
C
জহির রায়হান
D
শওকত ওসমান
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য উচ্চতায় স্থান পেয়েছে শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত উপন্যাস ‘সংশপ্তক’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। উপন্যাসটির নামের মধ্যেই রয়েছে এর মূল দর্শন—“সংশপ্তক”
অর্থাৎ এমন যোদ্ধা যারা জীবন-মরণের শপথে অবিচল থেকে লড়াই চালিয়ে যায়। এই শব্দার্থকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এক বিশাল পরিসরের কাহিনি।
সংশপ্তক উপন্যাসটি মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগের সময় থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলনের পূর্ব পর্যন্ত পূর্ববাংলার সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে উপজীব্য করে রচিত। বাংলার মানুষের জীবনে ঘটতে থাকা রূপান্তর, সংগ্রাম, সংকট, আশা ও অস্থিরতা—সবকিছুরই এক বাস্তব ও প্রাণবন্ত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসে। এজন্যই একে যথার্থভাবে একটি “মহাকাব্যিক উপন্যাস” বলা হয়ে থাকে।
এই উপন্যাসে উঠে এসেছে হিন্দু-মুসলমানের সম্মিলিত জীবনধারা, অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চিন্তাধারা, আর সেই সঙ্গে দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব—সবকিছুই নিপুণভাবে আঁকা হয়েছে।
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ
-
রাবেয়া খাতুন (রাবু) – উপন্যাসের প্রধান নারীচরিত্র, সংগ্রামী চেতনাধারার প্রতীক।
-
জাহেদ – রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতীক এক যুবক।
-
সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল – এই সব চরিত্রগুলো উপন্যাসে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে উঠে এসেছে।
শহীদুল্লাহ কায়সার ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রভাবশালী ঔপন্যাসিক। তাঁর লেখায় যেমন রয়েছে বাস্তবতা, তেমনি রয়েছে ইতিহাস, সমাজ ও মানবচেতনার গভীর অনুসন্ধান। তিনি সমাজের নানা সংকট, সংগ্রাম ও পরিবর্তনের চিত্র সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 4 weeks ago
'সংস্কৃতির ভাঙা সেতু' গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
Created: 4 weeks ago
A
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
B
বিনয় ঘোষ
C
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
D
রাধারমণ মিত্র
‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’
রচয়িতা: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
পূর্ণনাম: আখতারুজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস
জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩, গোটিয়া গ্রাম, গাইবান্ধা (মাতুলালয়)
পৈতৃক নিবাস: চেলোপাড়া, বগুড়া
বাংলা কথাসাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী নাম। তাঁর লেখালেখিতে যেমন সমাজবাস্তবতা গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে, তেমনি কালচেতনার ধারাবাহিকতায় ফুটে উঠেছে সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব।
তাঁর বর্ণনাশৈলী এবং সংলাপভাষায় যে স্বতন্ত্রতা ও কথ্যরীতির মুন্সিয়ানা দেখা যায়, তা বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে নতুন মাত্রা ও গতি।
বিশিষ্ট রচনাসমূহ:
-
অন্যঘরে অন্যস্বর
-
দোজখের ওম
-
খোয়াবনামা
-
সংস্কৃতির ভাঙা সেতু
এই গ্রন্থগুলোর প্রতিটিতেই রয়েছে সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতির অন্তর্নিহিত টানাপোড়েনের সূক্ষ্ম বর্ণনা।
প্রাসঙ্গিক আরও কিছু গ্রন্থ ও লেখক
-
‘সংস্কৃতি কথা’ – মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
‘সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই’ – শওকত ওসমান
-
‘সভ্যতার সংকট’ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 4 weeks ago
'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
নীহাররঞ্জন রায়
B
আর সি মজুমদার
C
অধ্যাপক আব্দুল করিম
D
অধ্যাপক সুনীতিকুমার সেন
• 'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক - নীহাররঞ্জন রায়।
নীহাররঞ্জন রায়:
- তিনি ভারতের শেষ বহুশাস্ত্রজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম একজন।
- মানব অভিজ্ঞতার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিকগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনে নীহাররঞ্জন রায় এর প্রয়াস পরিণতি লাভ করেছে তাঁর প্রধান সাহিত্যকর্ম বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
- Maurya and Sunga Art,
- বাঙ্গালীর ইতিহাস,
- Nationalism in India,
- Idea and Image of Indian Art.
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা হচ্ছে:
- Mughal Court Painting,
- The Sikh Gurus and the Sikh Society,
- Dutch Activities in the East,
- An Approach to Indian Art.
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল'- পংক্তির রচয়িতা কে?
Created: 1 week ago
A
মদনমোহন তর্কালংকার
B
রামনারায়ণ তর্করত্ন
C
বিহারীলাল চক্রবর্তী
D
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
• 'পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল' - পঙ্ক্তিটির রচয়িতা মদনমোহন তর্কালঙ্কার ।
------------------------------
• মদনমোহন তর্কালঙ্কার:
- কবি, সমাজসেবক মদনমোহন তর্কালঙ্কার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিল্বগ্রামে ১৮১৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর পারিবারিক উপাধি ‘চট্টোপাধ্যায়’ হলেও প্রাপ্ত উপাধি ‘তর্কালঙ্কার’ হিসেবেই তিনি সুপরিচিত।
- মদনমোহন বিদ্যাসাগরের সহযোগিতায় ‘সংস্কৃত-যন্ত্র’ (১৮৪৭) নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখান থেকে ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যটি সর্বপ্রথম গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হয়।
- বিদ্যাসাগরের বিধবাবিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় সহযোগিতা দান করেন।
মদনমোহনের মৌলিক কাব্যগ্রন্থ
- রসতরঙ্গিণী (১৮৩৪) ও
- বাসবদত্তা (১৮৩৬) ।
- তিন খণ্ডে প্রকাশিত তাঁর শিশু শিক্ষা (১৮৪৯ ও ১৮৫৩) শিশুদের উপযোগী একটি অনন্যসাধারণ গ্রন্থ; ‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল’ শিশুপাঠ্য এই বিখ্যাত কবিতাটি তাঁরই রচনা।
- মদনমোহন সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেশ কয়েকখানি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। সেগুলির মধ্যে সংবাদতত্ত্বকৌমুদী, চিন্তামণিদীধিতি, বেদান্তপরিভাষা, কাদম্বরী, কুমারসম্ভব ও মেঘদূত প্রধান।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago