নিম্নের কোন রোগ নির্ণয়ে এমআরআই (MRI) সবচেয়ে কার্যকর?
A
হাড় ভাঙা
B
ফুসফুসের সংক্রমণ
C
কিডনি স্টোন
D
মস্তিষ্কের টিউমার
উত্তরের বিবরণ
এম.আর.আই (MRI) অর্থাৎ Magnetic Resonance Imaging হলো একটি আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি, যেখানে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র ও রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের অভ্যন্তরের নরম টিস্যুর স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছবি তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতি বিশেষভাবে মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, মেরুদণ্ড, পেশী ও লিগামেন্টের রোগ নির্ণয়ে কার্যকর।
এম.আর.আই (MRI):
-
এম.আর.আই এর পূর্ণরূপ Magnetic Resonance Imaging।
-
এতে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র ও রেডিও তরঙ্গের সাহায্যে শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গ বা স্থানের বিস্তারিত ছবি তৈরি করা হয়।
-
এর কাজ নিউক্লিয়ার চৌম্বক অনুনাদের ভৌত ও রাসায়নিক নীতির উপর নির্ভর করে।
-
এটি এমন একটি কৌশল যা শরীরের নরম টিস্যুর পরিষ্কার ও উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি প্রদর্শন করতে সক্ষম।
-
এম.আর.আই প্রায় সব অঙ্গ পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হলেও মস্তিষ্ক, স্নায়ু, পেশী এবং টিউমার শনাক্তকরণে বেশি কার্যকর।
অন্যান্য অপশনসমূহ:
-
হাড় ভাঙা (Bone Fracture): হাড়ের গঠন দেখতে X-ray বা CT scan বেশি উপযোগী।
-
ফুসফুসের সংক্রমণ (Lung Infection): নিউমোনিয়া বা যক্ষ্মার মতো রোগ নির্ণয়ে X-ray বা CT scan বেশি কার্যকর।
-
কিডনিতে পাথর (Kidney Stone): কিডনি স্টোন সনাক্ত করার জন্য Ultrasound বা CT scan বেশি নির্ভরযোগ্য।
0
Updated: 1 month ago
ইসিজির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়-
Created: 1 week ago
A
ফুসফুসের
B
চর্মের
C
হার্টের
D
মস্তিস্কের
ইসিজি বা Electrocardiogram হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক ক্রিয়া রেকর্ড করা হয়। এটি হার্টের কার্যক্ষমতা ও তাল নির্ধারণে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন হৃদরোগ শনাক্তে অত্যন্ত কার্যকর। ইসিজির মাধ্যমে ডাক্তাররা সহজেই হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করতে পারেন।
ইসিজির কার্যপ্রণালী ও গুরুত্ব:
ইসিজি হৃদপিণ্ডের প্রতিটি স্পন্দনের সময় উৎপন্ন বৈদ্যুতিক তরঙ্গগুলো রেকর্ড করে, যা মনিটর বা কাগজে তরঙ্গরেখা হিসেবে প্রদর্শিত হয়।
এই তরঙ্গরেখার ওঠানামা দেখে বোঝা যায় হৃদযন্ত্রের কোন অংশ কতটা সক্রিয়, কোথাও ব্লক বা অস্বাভাবিক ছন্দ আছে কি না।
ইসিজি পরীক্ষার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক, অ্যারিদমিয়া (হৃদস্পন্দনের অনিয়ম), করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হার্ট ব্লক ইত্যাদি সমস্যাগুলো শনাক্ত করা যায়।
রোগীর বুকের নির্দিষ্ট স্থানে ইলেকট্রোড লাগিয়ে হৃদয়ের বৈদ্যুতিক সংকেত সংগ্রহ করা হয়, যা কোনো ব্যথা বা ক্ষতির কারণ হয় না।
চিকিৎসকরা ইসিজির রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করতে পারেন হৃদয়ের কোনো অংশ পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন পাচ্ছে কি না।
এই পরীক্ষাটি দ্রুত, সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় এটি বিশ্বজুড়ে প্রাথমিক হার্ট পরীক্ষার অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ফুসফুস, চর্ম বা মস্তিষ্কের রোগ ইসিজির মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় না, কারণ এটি শুধু হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে।
সুতরাং, ইসিজির মাধ্যমে মূলত হার্টের রোগ নির্ণয় করা হয় এবং এটি হৃদরোগ শনাক্তকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
উ. গ) হার্টের
0
Updated: 1 week ago