BCG টিকা মূলত কোন রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়?
A
হাম
B
পোলিও
C
হুপিং কাশি
D
যক্ষ্মা
উত্তরের বিবরণ
BCG (Bacille Calmette–Guérin) ভ্যাকসিন হলো একটি জীবিত দুর্বলকৃত ব্যাকটেরিয়া-ভিত্তিক টিকা, যা Mycobacterium tuberculosis দ্বারা সৃষ্ট যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।
ভ্যাকসিনের প্রকারভেদ:
১. নিষ্ক্রিয়কৃত জীবাণু জীবন্ত টিকা (Attenuated live vaccine):
-
কালচার করা জীবাণুর ক্ষতিকর বৈশিষ্ট্য দূর্বল বা নিষ্ক্রিয় করে তৈরি।
-
উদাহরণ: BCG, হাম, মাম্পস, পোলিও, জলাতঙ্ক, যক্ষ্মা, গুটিবসন্ত, প্লেগ, টাইফয়েড প্রভৃতি।
২. মৃত জীবাণুভিত্তিক নিষ্প্রাণ টিকা (Killed vaccine):
-
মৃত জীবাণু ব্যবহার করে তৈরি।
-
উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা, কলেরা ইত্যাদি।
৩. নিষ্ক্রিয় বিষভিত্তিক টিকা (Toxoid vaccine):
-
জীবাণু দ্বারা নিঃসৃত টক্সয়েড ব্যবহার করে তৈরি।
-
উদাহরণ: ডিপথেরিয়া, টিটেনাস (ধনুষ্টংকার) ইত্যাদি।
৪. দেহ তলের রাসায়নিক উপাদান ভিত্তিক টিকা (Surface chemical molecule):
-
সংক্রমণকারী জীবাণুর দেহ তল থেকে নির্দিষ্ট রাসায়নিক উপাদান বা প্রোটিনের অংশ আলাদা করে তৈরি।
-
উদাহরণ: হেপাটাইটিস-B ভ্যাকসিন, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) ভ্যাকসিন।
৫. ডিএনএ টিকা (DNA vaccine):
-
রিকমবিন্যান্ট DNA পদ্ধতিতে তৈরি।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ভেক্টর বাহিত রোগ নয়?
Created: 19 hours ago
A
ম্যালেরিয়া
B
কালাজ্বর
C
ইনফ্লুয়েঞ্জা
D
ডেঙ্গু জ্বর
ইনফ্লুয়েঞ্জা হলো একটি ভাইরাসজনিত শ্বাসযন্ত্রের রোগ যা সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি বা সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি কোনো ভেক্টর বা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায় না। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভেক্টর বাহিত নয় এমন রোগ। অন্যদিকে ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর এবং ডেঙ্গু—সবগুলোই বিভিন্ন প্রকারের বাহকের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
• ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ, যা মূলত মানবদেহের শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে।
• এই ভাইরাসটি মূলত বাতাসে ভেসে থাকা ফোঁটার মাধ্যমে ছড়ায় যখন কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচে বা কাশে।
• সাধারণ উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, ক্লান্তি এবং কাশি দেখা যায়।
• ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণত মৌসুমি বা ঋতুভিত্তিক প্রকৃতির হয়, বিশেষ করে শীতকালে এর প্রকোপ বেশি থাকে।
• এটি A, B ও C টাইপ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা হতে পারে, যার মধ্যে টাইপ A সবচেয়ে বিপজ্জনক।
• রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা (Influenza Vaccine) গ্রহণ করা কার্যকর একটি উপায়।
• এই রোগে মশা, মাছি বা অন্য কোনো বাহকের ভূমিকা নেই, তাই একে ভেক্টর বাহিত রোগ বলা যায় না।
অন্যদিকে, যেসব রোগ ভেক্টর দ্বারা ছড়ায়—
• ম্যালেরিয়া: প্লাজমোডিয়াম নামক পরজীবীর কারণে হয় যা অ্যানোফিলিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
• কালাজ্বর: লিশম্যানিয়া ডোনোভানি নামক পরজীবী দ্বারা হয় এবং এটি স্যান্ড ফ্লাই (বালি মাছি) দ্বারা সংক্রমিত হয়।
• ডেঙ্গু জ্বর: ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
এই তিনটি রোগে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো—এগুলোতে জীবিত বাহক বা ভেক্টর অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে কোনো ভেক্টরের প্রয়োজন হয় না; বরং এটি সরাসরি সংস্পর্শ বা বায়ুবাহিত ফোঁটার মাধ্যমে ছড়ায়।
সবশেষে বলা যায়, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমন একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মানুষ থেকে মানুষে সরাসরি সংক্রমিত হয়। কোনো কীটপতঙ্গ বা প্রাণী এখানে বাহক হিসেবে কাজ করে না। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা-ই একমাত্র ভেক্টর বাহিত নয় এমন রোগ, আর এই কারণেই এটি সঠিক উত্তর।
0
Updated: 19 hours ago
জিকা ভাইরাস ছড়ায় কিসের মাধ্যমে ?
Created: 1 week ago
A
মশা
B
মাছি
C
পানি
D
বাতাস
জিকা ভাইরাস একটি সংক্রামক ভাইরাস যা মানুষের দেহে মশার মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এটি মূলত ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং বিশ্বব্যাপী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়।
-
জিকা ভাইরাস (Zika virus) ফ্ল্যাভিভাইরিডি (Flaviviridae) পরিবারের ফ্ল্যাভিভাইরাস (Flavivirus) গণের অন্তর্গত।
-
এর নামকরণ হয়েছে উগান্ডার “জিকা” গ্রাম থেকে, যেখানে প্রথমবার বানরের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল।
-
স্থানীয় ভাষায় ‘জিকা’ শব্দের অর্থ ‘বাড়ন্ত’, যা ভাইরাসটির দ্রুত বিস্তার বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে।
-
ভাইরাসটি প্রধানত দুই প্রজাতির এডিস মশা— Aedes aegypti এবং Aedes albopictus—এর মাধ্যমে ছড়ায়।
-
Aedes aegypti মশা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকে, কারণ শীতপ্রধান অঞ্চলে তারা টিকে থাকতে পারে না।
-
সংক্রমিত মশা যখন কাউকে কামড়ায়, তখন তার শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করে এবং পরে রক্তের মাধ্যমে অন্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ে।
-
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত জ্বর, র্যাশ, মাথাব্যথা, সন্ধিব্যথা ও চোখ লাল হওয়া (কনজাংকটিভাইটিস)-এর মতো উপসর্গে ভোগে।
-
এটি গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এটি নবজাতকের মাইক্রোসেফালি (মস্তিষ্কের আকার ছোট হওয়া) রোগের কারণ হতে পারে।
-
ভাইরাসটির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই, তাই প্রতিরোধই মূল উপায় — যেমন মশার কামড় থেকে সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা।
0
Updated: 1 week ago
এইচআইভি ভাইরাস প্রধানত কোন কোষকে আক্রমণ করে?
Created: 1 month ago
A
বি-লসিকা কোষ
B
অণুচক্রিকা
C
বেসোফিল
D
T4 লসিকা কোষ
এইচআইভি (HIV) এবং AIDS সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
এইচআইভি (Human Immunodeficiency Virus):
-
মূলত CD4+ T lymphocytes (T4 লসিকা কোষ)-কে আক্রমণ করে।
-
এই কোষগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অন্যান্য প্রতিরক্ষা কোষকে সক্রিয় করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
ভাইরাসের আক্রমণে T4 লিম্ফোসাইট ও ম্যাক্রোফেজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।
-
-
AIDS (Acquired Immune Deficiency Syndrome):
-
HIV ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ।
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়াকে AIDS বলা হয়।
-
এতে সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হতে পারে।
-
বিশ্বব্যাপী এটি একটি মারাত্মক যৌন রোগ হিসেবে বিবেচিত।
-
-
HIV আক্রমণের ধাপ:
-
ভাইরাসের gp120 প্রোটিন CD4 রিসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
কোষে প্রবেশের পর ভাইরাস নিজের প্রতিলিপন করে।
-
ধীরে ধীরে T4 লিম্ফোসাইট ধ্বংস হয়।
-
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে সাধারণ রোগেও মৃত্যু হতে পারে।
-
-
প্রতিরোধ ও সতর্কতা:
-
নিরাপদ যৌনমিলন এবং ধর্মীয় ও সামাজিক বিধি অনুসরণ করা।
-
যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার।
-
অস্বাভাবিক যৌনমিলন, বহুগামিতা, সহকামিতা ও পতিতাগামিতা পরিহার।
-
যৌনসঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক থাকা।
-
HIV আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকা।
-
AIDS আক্রান্ত মায়ের সন্তান ধারণ বা বুকের দুধ পান করানো এড়িয়ে চলা।
-
রক্ত গ্রহণের আগে HIV পরীক্ষা করা।
-
ইনজেকশন নেওয়ার সময় নতুন বা পরিশোধিত সিরিঞ্জ ও সুঁই ব্যবহার করা।
-
0
Updated: 1 month ago