পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মূলত কোন প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়?
A
পারমাণবিক সংযোজন
B
পারমাণবিক বিভাজন
C
তেজস্ক্রিয় ক্ষয়
D
আয়নীকরণ
উত্তরের বিবরণ
পারমাণবিক বিভাজন (Nuclear Fission) হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস (যেমন ইউরেনিয়াম-235 বা প্লুটোনিয়াম-239) ভেঙে দুটি বা ততোধিক হালকা নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়। এই শক্তি সাধারণত পানিকে বাষ্পে রূপান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয়, যা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক।
নিউক্লিয়ার ফিশন সম্পর্কিত তথ্য:
-
এটি একটি পারমাণবিক প্রক্রিয়া যেখানে ভারী নিউক্লিয়াস ভেঙে হালকা নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়।
-
একে বিয়োজন বিক্রিয়া নামেও ডাকা হয়।
-
এই বিক্রিয়ার ফলে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়, যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পারমাণবিক অস্ত্র, বিশেষ করে পারমাণবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়া:
-
পারমাণবিক সংযোজন (Nuclear Fusion): হালকা পরমাণু মিলিয়ে ভারী পরমাণু তৈরি করে, যা সূর্যের শক্তির উৎস, তবে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখনো ব্যবহারযোগ্য নয়।
-
তেজস্ক্রিয় ক্ষয় (Radioactive Decay): স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিউক্লিয়াস থেকে কণা বা বিকিরণ নির্গমন করে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল প্রক্রিয়া নয়।
-
আয়নীকরণ (Ionization): ইলেকট্রন যোগ-বিয়োগ করে আয়ন তৈরি করে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান প্রক্রিয়া নয়।
0
Updated: 1 month ago
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের একটি উদাহরণ হলো-
Created: 5 months ago
A
পারমাণবিক জ্বালানি
B
পীট কয়লা
C
ফুয়েল সেল
D
সূর্য
- 'সূর্য তথা সৌর শক্তি' একটি নবায়নযোগ্য শক্তি এবং বাকিগুলো অনবায়নযোগ্য শক্তি।
শক্তির উৎস:
- শক্তির উৎস প্রধানত দুই প্রকার।
যথা -
১। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
- নবায়নযোগ্য শক্তিকে বারবার ব্যবহার করা যায়।
- নবায়নযোগ্য শক্তি পরিবেশ বান্ধব এবং এই শক্তিকে গ্রীন শক্তিও বলা হয়।
- নবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ হচ্ছে-
• সৌর শক্তি,
• জলবিদ্যুৎ,
• বায়ু বিদ্যুৎ,
• বায়োগ্যাস,
• ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি।
২। অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
- অনবায়নযোগ্য শক্তিকে পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
- প্রকৃতিতে অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস সীমিত।
- অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদনের খরচ বেশি এবং এটি অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব নয়।
- অনবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ হচ্ছে-
• কয়লা,
• খনিজ তেল,
• প্রাকৃতিক গ্যাস,
• নিউক্লিয় শক্তি বা পারমাণবিক শক্তি ইত্যাদি।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 5 months ago
বিদ্যুৎ বিল নিচের কোন এককে হিসাব করা হয়?
Created: 1 month ago
A
কিলােওয়াট-ঘণ্টা
B
ওয়াট-ঘণ্টা
C
ওয়াট-কেলভিন
D
ওয়াট
ওয়াট-ঘণ্টা হলো শক্তির একটি একক, যা নির্দেশ করে যে এক ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো তড়িৎ যন্ত্র এক ঘণ্টা ধরে কাজ করলে কত পরিমাণ তড়িৎ শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যেমন বাতি জ্বলে আলোক শক্তি উৎপন্ন হওয়া বা পাখা ঘুরে যান্ত্রিক শক্তি প্রাপ্তি।
-
১ ওয়াট-ঘণ্টা = ১ ওয়াট × ১ ঘণ্টা
-
শক্তি পরিমাপের জন্য প্রায়শই কিলোওয়াট-ঘণ্টাও ব্যবহার করা হয়।
-
১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা = ১০০০ ওয়াট × ৩৬০০ সেকেন্ড = ৩,৬,০০,০০০ ওয়াট-সেকেন্ড = ৩,৬,০০,০০০ জুল ≈ ৩.৬ মেগা জুল
-
-
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিলোওয়াট-ঘণ্টা এককে পরিমাপ করা হয়।
-
এটি বোঝায় ১ কিলোওয়াট শক্তি ১ ঘণ্টা ধরে ব্যবহৃত হলে মোট শক্তি খরচ।
-
এই একককে বোর্ড অব ট্রেড (BOT) ইউনিট বা সংক্ষেপে ইউনিট বলা হয়।
-
বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য কিলোওয়াট-ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
দূরের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে হলে হাইভোল্টেজ ব্যবহার করার কারণ -
Created: 5 months ago
A
এতে বিদ্যুতের অপচয় কম হয়
B
এতে কমে গিয়েও প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ বজায় থাকে
C
অধিক বিদ্যুৎ প্রবাহ পাওয়া যায়
D
প্রয়োজনমতো ভোল্টেজ কমিয়ে ব্যবহার করা যায়
- বৈদ্যুতিক তারের রোধ থাকে, যার ফলে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে বিদ্যুৎ সবটুকু না গিয়ে কিছু অংশ অপচয় হয়।
- ফলে দুরত্ব যত বেশি হয় রোধ তত বেশি হয়।
- ফলে বিদ্যুতের অপচয় কমানোর জন্য দূরের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে হলে হাইভোল্টেজ ব্যবহার করা হয়।
উৎস: পদার্থ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 5 months ago