নিচের কোনটি বাগযন্ত্রের অংশ?
A
স্বরযন্ত্র
B
ফুসফুস
C
আলজিভ
D
সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
বাগ্যন্ত্র হলো ধ্বনি উচ্চারণে ব্যবহৃত প্রত্যঙ্গগুলির সমষ্টি। মানবদেহের উপরিভাগে, ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোঁট পর্যন্ত যে প্রত্যঙ্গগুলো ধ্বনি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো বাগ্যন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত।
বাগ্যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ:
-
ফুসফুস: ধ্বনি সৃষ্টিকারী বায়ুপ্রবাহের উৎস।
-
শ্বাসনালি: ফুসফুস থেকে বাতাস শ্বাসনালির মাধ্যমে মুখবিবর ও নাসারন্ধ্র দিয়ে বের হয়।
-
স্বরযন্ত্র: শ্বাসনালির উপরের অংশে অবস্থান।
-
জিভ: মুখগহ্বরের নিচের অংশে অবস্থিত।
-
আলজিভ: মুখগহ্বরের কোমল তালুর পিছনে ঝুলন্ত মাংসপিণ্ড।
-
তালু: মুখবিবরের ছাদ।
-
মূর্ধা: শক্ত তালু ও উপরের পাটির দাঁতের মধ্যবর্তী উত্তল অংশ।
-
দন্তমূল ও দন্ত: দাঁতের গোড়ার অংশকে দন্তমূল বলে।
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
'আরণ্যক' উপন্যাসের লেখক কে?
Created: 3 weeks ago
A
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
B
অদ্বৈত মল্লবর্মণ
C
গোবিন্দচন্দ্র দাস
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
✦ আরণ্যক (উপন্যাস)
-
লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
-
বিষয়: ভাগলপুরের নিকটবর্তী বনাঞ্চলের নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনচিত্র।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ: ভানুমতী, বনোয়ারী, দোবরু, বুদ্ধু সিংহ।
-
বিশেষত্ব: প্রকৃতি ও মানুষের নিবিড় সম্পর্ক, বনাঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও সংগ্রাম এই উপন্যাসে জীবন্তভাবে ফুটে উঠেছে।
✦ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪–১৯৫০)
-
জন্ম: ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার ঘোষপাড়া-মুরারিপুর গ্রামে মাতুলালয়ে।
-
সাহিত্যজীবন শুরু: ১৩২৮ বঙ্গাব্দের (১৯২১ খ্রিস্টাব্দে) প্রবাসী পত্রিকায় “উপেক্ষিতা” গল্প প্রকাশের মাধ্যমে।
-
মর্যাদা: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পর বাংলা কথাসাহিত্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় সাহিত্যিক।
-
সাংবাদিকতা: হেমন্তকুমার গুপ্তের সঙ্গে যৌথভাবে দীপক (১৯৩২) পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
✦ বিভূতিভূষণের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
পথের পাঁচালী
-
অপরাজিত
-
অশনি সংকেত
-
আরণ্যক
-
আদর্শ হিন্দু হোটেল
-
দেবযান
-
ইছামতী
-
দৃষ্টি প্রদীপ ইত্যাদি

0
Updated: 3 weeks ago
‘গিন্নি’ কোন শব্দ?
Created: 2 weeks ago
A
তৎসম
B
অর্ধতৎসম
C
তদ্ভব
D
বিদেশী
বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলে অর্ধ - তৎসম শব্দ। তৎসম মানে সংস্কৃত । আর অর্ধ - তৎসম মানে আধা সংস্কৃত। উদাহরণ: জ্যোছনা, ছেনাদ্দ, গিন্নী, বোষ্টম, কুচ্ছিত - এ শব্দগুলো যথাক্রমে সংস্কৃত জ্যোৎস্না, শ্রাদ্ধ, গৃহিণী, বৈষ্ণব, কুৎসিত শব্দ থেকে আগত।

0
Updated: 2 weeks ago
অপত্নীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ননদ
B
তেজস্বিনী
C
জেলেনি
D
দাদি
সাধারণ নারীবাচক শব্দ দুই ধরনের:
- পত্নীবাচক,
- অপত্নীবাচক।
পত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বোঝালে পত্নীবাচক হয়।
যেমন: পিতা - মাতা, চাচা - চাচি, দাদা - দাদি, জেলে - জেলেনি, গুরু - গুরুপত্নী, নন্দাই - ননদ ইত্যাদি।
অপত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক না বোঝালে অপত্নীবাচক হয়।
যেমন:
খোকা - খুকি, ছাত্র - ছাত্রী, শিক্ষক - শিক্ষিকা, নেতা - নেত্রী, পাগল - পাগলি, তেজস্ব - তেজস্বিনী, বালক - বালিকা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২-সংস্করণ)।

0
Updated: 1 week ago