কে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
A
ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
B
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
C
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু বর্ণিত আছে।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
‘কিয়ৎক্ষন’ শব্দের সঠিক চলিতরূপ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
কিছুক্ষণ
B
কিছু সময়ে
C
কয়েকক্ষণে
D
কয়েক মুহুর্তে
‘কিয়ৎ’ শব্দের অর্থ কিছু এবং ‘ক্ষণ’ মানে অল্প সময়।
তাহলে কিয়ৎক্ষণ = কিছু সময় / অল্প সময়।
বাংলা চলিত রূপে একে কিছুক্ষণ বলা হয়।
অন্য বিকল্পগুলো –
-
কিছু সময়ে → আলাদা রূপ, ‘ক্ষণ’-এর সমার্থক নয়।
-
কয়েকক্ষণে → কিছুটা কাছাকাছি হলেও প্রমিত চলিত রূপ নয়।
-
কয়েক মুহূর্তে → এটি কিয়ৎক্ষণের চলিত রূপ নয়, কেবল প্রায় সমার্থক।
তাই সঠিক উত্তর: ক) কিছুক্ষণ
0
Updated: 2 months ago
'রাশি' শব্দযোগে গঠিত সঠিক বহুবচন শব্দ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
বৃক্ষরাশি
B
কদমরাশি
C
বালিরাশি
D
কুসুমরাশি
‘বালি’ শব্দের সঙ্গে ‘রাশি’ যুক্ত হওয়াই সবচেয়ে মানানসই ও শুদ্ধ রূপ, কারণ এখানে ‘রাশি’ অপ্রাণিবাচক পদে ব্যবহৃত একটি বহুবচনবোধক শব্দ।
অপ্রাণিবাচক শব্দে ব্যবহৃত বহুবচনবোধক শব্দগুলো হলো:
আবলি, গুচ্ছ, দাম, নিকর, পুঞ্জ, মালা, রাজি, রাশি।
উদাহরণসমূহ:
-
গ্রন্থাগারে রক্ষিত পুস্তকাবলি
-
কবিতাগুচ্ছ
-
কুসুমদাম
-
কমলনিকর
-
মেঘকুঞ্জ
-
পর্বতমালা
-
তারকারাজি
-
জলরাশি
-
বালিরাশি
-
কুসুমনিচয় ইত্যাদি।
অন্যদিকে, অন্যান্য অপশনের সঠিক বহুবচন রূপ হলো—
-
কুসুমনিচয় বা কুসুমদাম
-
বৃক্ষরাজি বা বৃক্ষসমূহ
0
Updated: 3 weeks ago
আবু জাফর শামসুদ্দীনের সম্পাদনায় কোন পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়?
Created: 2 months ago
A
নয়া সড়ক
B
ক্রান্তি
C
কণ্ঠস্বর
D
অগত্যা
'নয়া সড়ক' পত্রিকা
-
ধরণ: বার্ষিক সাহিত্যপত্র
-
প্রকাশের সাল: ১৯৪৮
-
প্রথম সম্পাদক: আবু জাফর শামসুদ্দীন ও মোহাম্মদ নাসির আলি
-
বিশেষত্ব:
-
১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের পর স্বাধীন পূর্ববাংলার প্রথম বাংলা সাহিত্যপত্র হিসেবে বিবেচিত।
-
মূলত মুসলিম লেখকদের লেখা প্রকাশিত হত।
-
আজ ‘দুষ্প্রাপ্য’ হিসেবে বাংলা একাডেমীতে সংরক্ষিত।
-
-
নামকরণের তাৎপর্য: নতুনের দিকে যাত্রার প্রত্যাশা প্রকাশ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago