কে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
A
ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
B
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
C
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু বর্ণিত আছে।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
১৮) আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত?
Created: 4 weeks ago
A
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
B
স্বরবৃত্ত ছন্দ
C
পদ্যছন্দ
D
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
চর্যাপদের ছন্দ
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
তবে প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে।
ছন্দের প্রভাব ও মিল:
-
সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব:
-
প্রতিটি চরণ ষোল মাত্রার
-
চরণে চার পর্ব, প্রতিটি পর্বে চার মাত্রা
-
-
শৌরসেনী প্রাকৃত প্রভাবিত পাদাকুলক ছন্দের সঙ্গেও মিল
-
পাদাকুলক ছন্দের চরণও ষোল মাত্রার, প্রতিটি চরণে চার পর্ব, প্রতি পর্বে চার মাত্রা
-
মন্তব্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত হলেও বর্তমান সুনির্দিষ্ট মাত্রাবৃত্ত গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।
-
আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত।

0
Updated: 4 weeks ago
'ভিমরুলের চাকে ঢিল মারা' প্রবাদটির অর্থ-
Created: 2 days ago
A
অহেতুক দুর্ভাবনা পোহানো
B
সামান্য লাভের জন্যে অসম্মানের ভাগি হওয়া
C
অপরের ক্ষতি করার অভিপ্রায়ে নিজের ক্ষতি সাধন
D
নির্বুদ্ধিতায় শত্রুদের সজাগ করা
বাংলা বাগ্ধারা সাধারণ অভিজ্ঞতা ও বাস্তব জীবনের ঘটনাকে রূপকভাবে প্রকাশ করে। এগুলো সংক্ষিপ্ত হলেও অর্থে সমৃদ্ধ। নিচে কয়েকটি বাগ্ধারার ব্যাখ্যা দেওয়া হলো—
-
ভিমরুলের চাকে ঢিল মারা অর্থ নির্বুদ্ধিতার কারণে শত্রু বা প্রতিপক্ষকে সজাগ করে তোলা।
-
মাথা নেই তার মাথাব্যথা অর্থ অহেতুক দুর্ভাবনা বা অকারণে দুশ্চিন্তা করা।
-
মাছি মেরে হাত কালো করা অর্থ সামান্য লাভের জন্য অপমান বা অসম্মানের ভাগী হওয়া।
-
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ অর্থ অন্যকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নিজের ক্ষতি করে ফেলা।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
'মৈমনসিংহ গীতিকা' সম্পাদনা করেন কে?
Created: 1 week ago
A
দীনেশচন্দ্র সেন
B
বসন্তরঞ্জন রায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
চন্দ্রকুমার দে
✦ মৈমনসিংহ গীতিকা
সংজ্ঞা:
-
ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত লোকগান ও পালাগানের সমষ্টিকে মৈমনসিংহ গীতিকা বলা হয়।
সংগ্রাহক:
-
চন্দ্রকুমার দে (ময়মনসিংহ নিবাসী)
-
উদ্যোগ: অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)
প্রকাশনা:
-
সম্পাদনা: দীনেশচন্দ্র সেন
-
প্রকাশকাল: ১৯২৩ সাল
-
প্রকাশক: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বজনীনতা:
-
মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত ও মুদ্রিত হয়েছে।
অন্তর্ভুক্ত গীতিকা ও রূপকথা (মোট ১০টি):
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা (রূপকথা)
-
দেওয়ান মদিনা

0
Updated: 1 week ago