ভুল বানান কোনটি?
A
নতিপত্র
B
মুহূর্ত
C
সর্বস্বান্ত
D
ত্রিনয়ন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি প্রণীত আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে, ’নতিপত্র’ শব্দটি অশুদ্ধ এবং এর শুদ্ধ রূপ হলো নথিপত্র।
অর্থ:
-
কোনো বিষয়ে একসঙ্গে সংরক্ষিত কাগজপত্র; দলিল বা দস্তাবেজ।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বানানটি ভুল?
Created: 3 weeks ago
A
গার্হস্থ্য
B
অধঃগতি
C
স্তূপ
D
পিপীলিকা
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘অধঃগতি’ শব্দটির শুদ্ধ রূপ হলো ‘অধোগতি’। এটি একটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ, যার অর্থ নিম্নগতি বা দুর্দশা। শব্দটি এমন অবস্থাকে নির্দেশ করে, যেখানে কোনো ব্যক্তি, সমাজ বা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে বা নীচে নেমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, নিম্নোক্ত শব্দগুলোর বানানও শুদ্ধ বলে অভিধানে নির্দিষ্ট করা হয়েছে—
-
স্তূপ
-
পিপীলিকা
-
গার্হস্থ্য
এসব শব্দের ক্ষেত্রে বানানে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন নেই, কারণ এগুলো প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে লেখা।
0
Updated: 3 weeks ago
’চারি >চাইর- কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
অন্ত্যস্বরাগম
B
অসমীকরণ
C
অপিনিহিতি
D
স্বরসঙ্গতি
বাংলা ভাষায় ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখা যায়। এর মধ্যে অপিনিহিতি, অন্ত্যস্বরাগম, অসমীকরণ এবং স্বরসঙ্গতি গুরুত্বপূর্ণ। এদের ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো—
-
অপিনিহিতি
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলা হয়।
উদাহরণ: আজি → আইজ, সাধু → সাউধ, রাখিয়া → রাইখ্যা, বাক্য → বাইক্য, সত্য → সইত্য, চারি → চাইর, মারি → মাইর। -
অন্ত্যস্বরাগম
কোনো শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অন্ত্যস্বরাগম বলে।
উদাহরণ: দিশ্ → দিশা, পোখত্ → পোক্ত, বেঞ্চ → বেঞ্চি, সত্য → সত্যি। -
অসমীকরণ
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি এড়াতে মাঝখানে নতুন স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলা হয়।
উদাহরণ: ধপ ধপ → ধপাধপ, টপ টপ → টপাটপ। -
স্বরসঙ্গতি
একটি স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন হলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলা হয়।
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'বাড়ি' শব্দের 'ড়' কোন ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনি?
Created: 1 month ago
A
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি
B
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি
C
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি
D
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি
তাড়িত, দন্তমূলীয়, দন্ত্য এবং তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য উচ্চারণ পদ্ধতির ওপর দৃষ্টি দেওয়া হয়।
-
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি
তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের সামনের অংশ মূর্ধায় বা দন্তমূলের একটু উপরে একবার ছোঁয়ায় হয়।-
উদাহরণ: বাড়ি, মূঢ় – ড়, ঢ়
-
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: নানা, রাত, লাল, সালাম – ন, র, ল, স
-
-
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের সাথে লাগিয়ে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: তাল, থালা, দাদা, ধান – ত, থ, দ, ধ
-
-
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।-
উদাহরণ: চাচা, ছাগল, জাল, ঝড়, শসা – চ, ছ, জ, ঝ, শ
-
এই ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোর পার্থক্য মূলত উচ্চারণের স্থল এবং জিভের অবস্থানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
0
Updated: 1 month ago