যাযাবর’ কোন লেখকের ছদ্মনাম?
A
বিমল ঘোষ
B
বালাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
C
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
D
বিমল মিত্র
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যে অনেক লেখক ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—
-
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় – ছদ্মনাম: যাযাবর
-
বিমল ঘোষ – ছদ্মনাম: মৌমাছি
-
বালাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় – ছদ্মনাম: বনফুল
-
বিমল মিত্র – ছদ্মনাম: জাবালি
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছদ্মনাম
-
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় – হাবু শর্মা
-
সমরেশ বসু – কালকূট
-
সতীনাথ ভাদুড়ী – চিত্রগুপ্ত
-
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত – নীহারিকা দেবী
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
কোনটি বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 4 weeks ago
A
যোগ্যতা
B
আকাঙ্ক্ষা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
• আদর্শ সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়- আসক্তি।
ভাষার বিচারে একটি আদর্শ সার্থক বাক্যে ৩টি গুণ থাকা আবশ্যক।
যথা-
১. আকাঙ্ক্ষা,
২. আসত্তি এবং
৩. যোগ্যতা।
• আকাঙ্ক্ষা:
বাক্যের অর্থ স্পষ্টকরণে এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা বা প্রয়াস তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
উদাহরণ- কাজল নিয়মিত লেখাপড়া।
- উপরের বাক্যটি অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ বাক্যে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি।
- বাক্যটিকে এভাবে পরিপূর্ণ করা যায়- কাজল নিয়মিত লেখাপড়া করে।
• আসত্তি:
- বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষায় সুনির্দিষ্ট পদবিন্যাসই হলো আসত্তি।
উদাহরণ: নিয়মিত করে হাসান লেখাপড়া।
- বাক্যটির পদগুলো সন্নিবেশ না হওয়ায় অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ হয়নি। তাই এটি আদর্শ বাক্য নয়।
- পরিপূর্ণ বাক্য গঠনে বাক্যের পদ্গুলো সাজাতে হবে- হাসান নিয়মিত লেখাপড়া করে।
• যোগ্যতা:
- বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহের বিশ্বাসযোগ্য ভাবসম্মিলনের নাম হল যোগ্যতা।
উদাহরণ: বর্ষার রৌদ্র প্লাবনের সৃষ্টি করে।
- বাক্যটি ভাব প্রকাশের যোগ্যতা হারিয়েছে। কেননা রোদ কখনো প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে না।
- তাই যোগ্যতাসম্পন্ন বাক্যটি হবে- ‘বর্ষার বৃষ্টি প্লাবনের সৃষ্টি করে’।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 4 weeks ago
ব্রাহ্মসমাজের সভার মুখপত্র ছিলো-
Created: 1 week ago
A
সংবাদ প্রভাকর
B
তত্ত্ববোধিনী
C
কল্লোল
D
বঙ্গদর্শন
‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা
-
প্রকাশনা: ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট, অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায়।
-
উদ্দেশ্য: ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে ব্রাহ্মধর্মের প্রচার ও সভ্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা।
-
তত্ত্বাবধান: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
লেখকরা: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজনারায়ণ বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ।
-
বিষয়বস্তু: প্রধানত বেদান্ত ও ব্রহ্মবিদ্যা, এছাড়া জ্ঞানবিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব ও দর্শন।
-
প্রকাশকাল: ১৮৪৩–১৯৩২।
-
পরবর্তী সম্পাদকরা: নবীনচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অযোধ্যানাথ পাকড়াশী, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক পত্রিকা
-
‘সংবাদ প্রভাকর’: বাংলা ভাষায় প্রথম দৈনিক পত্রিকা, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদনায় ১৮৩৯ সালে দৈনিক রূপে প্রকাশিত।
-
‘কল্লোল’: ১৯২৩ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা। সম্পাদক: দীনেশরঞ্জন দাস। আধুনিক সাহিত্যের সূচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
-
‘বঙ্গদর্শন’: বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদনায়, ১৮৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা। বাংলা গদ্যের উন্নতি ও লেখকগোষ্ঠী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
'সকলের তরে সকলে আমরা/প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।' - কার রচিত পংক্তি?
Created: 13 hours ago
A
রজনীকান্ত সেন
B
ইসমাইল হােসেন সিরাজী
C
কামিনী রায়
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
প্রদত্ত লাইন দুটি কবি কামিনী রায় রচিত "পরার্থে" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কামিনী রায় (১৮৬৪-১৯৩৩) ছিলেন একজন উজ্জ্বল কবি এবং সমাজকর্মী, যিনি সাহিত্য ও জনকল্যাণে সমানভাবে অবদান রেখেছেন।
তিনি নারীর উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
-
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন: কামিনী রায় জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর বাকেরগঞ্জের বাসন্ডা গ্রামে। মাত্র আট বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।
-
সাহিত্যকর্ম: তিনি 'জনৈক বঙ্গ মহিলা' নামে কাব্যচর্চা করতেন এবং সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও জনহিতকর কাজে নিবেদিত ছিলেন।
-
সামাজিক অবদান: নারীশ্রমিক তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য (১৯২২-২৩), বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে সাহিত্য শাখার সভানেত্রী (১৯৩০), এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর সহসভাপতি (১৯৩২-৩৩) ছিলেন।
-
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ:
-
আলো ও ছায়া (১৮৮৯) – ভূমিকা লিখেছেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
-
নির্মাল্য (১৮৯১)
-
পৌরাণিকী (১৮৯৭)
-
গুঞ্জন (শিশুকাব্য, ১৯০৫)
-
ধর্ম্মপুত্র (অনুবাদ, ১৯০৭)
-
মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)
-
অশোকসঙ্গীত (সনেট, ১৯১৪)
-
অম্বা (নাটক, ১৯১৫)
-
বালিকা শিক্ষার আদর্শ (১৯১৮)
-
ঠাকুরমার চিঠি (১৯২৪)
-
দীপ ও ধূপ (১৯২৯)
-
জীবনপথে (সনেট, ১৯৩০)
-
উল্লেখযোগ্য যে, "পরার্থে" কবিতার উদ্ধৃত লাইনগুলোতে কামিনী রায় মানুষের পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববোধ ও অন্যের কল্যাণে জীবন যাপনের মূল্য ফুটিয়ে তুলেছেন:
"আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।"

0
Updated: 13 hours ago