’উজবুক’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
A
আরবি ভাষা
B
ফার্সি ভাষা
C
হিন্দি ভাষা
D
তুর্কি ভাষা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি প্রণীত আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে, ‘উজবুক’ শব্দটি তুর্কি ভাষা থেকে গৃহীত এবং এটি একটি বিশেষণ পদ। শব্দটির অর্থ হলো—
-
আহাম্মক
-
বোকা
-
নির্বোধ
তুর্কি ভাষা থেকে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দ
-
সওগাত
-
বাবুর্চি
-
বেগম
-
কাবু
-
কাঁচি
-
তোপ
-
কুর্নিশ
-
কোর্মা
-
চাকু
-
চোগা
-
তকমা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছে কোন প্রাচীন লিপি থেকে?
Created: 20 hours ago
A
সংস্কৃত লিপি
B
চীনা লিপি
C
আরবি লিপি
D
ব্রাহ্মী লিপি
বাংলা লিপির উৎপত্তি একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক বিকাশের ফল, যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন লিপির ধারার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। গবেষণা অনুযায়ী, বাংলা লিপির মূল উৎস হলো ব্রাহ্মী লিপি। তাই সঠিক উত্তর ব্রাহ্মী লিপি।
প্রথমে জানা দরকার, ব্রাহ্মী লিপি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম লিপি, যার সূচনা হয়েছিল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে, সম্রাট অশোকের সময়। অশোকের শিলালিপি বা "অশোকের ফরমান" এই লিপিতে উৎকীর্ণ ছিল। পরবর্তীকালে ব্রাহ্মী লিপি থেকেই ভারতবর্ষের প্রায় সব আঞ্চলিক লিপির উদ্ভব ঘটে—দেবনাগরী, গুজরাটি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, ওডিয়া এবং বাংলা—সবই এই লিপির উত্তরসূরি।
বাংলা লিপির বিকাশ প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে ঘটেছে। প্রথমে ব্রাহ্মী লিপি থেকে উৎপন্ন হয় গুপ্ত লিপি, যা গুপ্ত সাম্রাজ্যের (চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতক) শাসনামলে ব্যবহৃত হতো। গুপ্ত লিপি থেকে পরে বিকশিত হয় সিদ্ধমাত্রিকা লিপি, যা বাংলার পাশাপাশি বিহার ও অসম অঞ্চলেও প্রচলিত ছিল। এই সিদ্ধমাত্রিকা লিপিই ক্রমে রূপ নেয় গৌড়ীয় লিপিতে, যা মধ্যযুগে বাংলা ভাষা লেখার প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে।
বাংলা লিপি মূলত এই গৌড়ীয় লিপির পরিণত রূপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অক্ষরের গঠন, উচ্চারণ ও লেখনরীতিতে পরিবর্তন আসতে থাকে, এবং ধীরে ধীরে আজকের আধুনিক বাংলা লিপির রূপটি গড়ে ওঠে। এই রূপান্তর প্রক্রিয়া প্রায় এক হাজার বছরের দীর্ঘ বিবর্তনের ফল।
বাংলা লিপির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো—এটি স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সম্মিলনে গঠিত একটি ধ্বনিমূলক লিপি, যেখানে প্রতিটি অক্ষর একটি নির্দিষ্ট ধ্বনিকে নির্দেশ করে। এছাড়া যুক্তাক্ষর, মাত্রা, কারচিহ্ন ও বিশেষ স্বরচিহ্নের ব্যবহারে এটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও জটিল লিপি হিসেবে পরিচিত।
বাংলা লিপির ইতিহাসে মধ্যযুগীয় শিলালিপি, তাম্রলিপি ও পুঁথি সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। যেমন—বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন ‘চর্যাপদ’, যা সিদ্ধাচার্যদের রচিত, সেটি বাংলা লিপির প্রাথমিক রূপের সাক্ষ্য দেয়। সেখানে দেখা যায়, লিপি এখনো সিদ্ধমাত্রিকার কাছাকাছি হলেও বাংলা ভাষার নিজস্ব ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে উপস্থিত।
পরবর্তীকালে মুদ্রণযন্ত্রের আগমন ও সাহিত্যচর্চার প্রসারে বাংলা লিপি আরও মান্য ও একরূপ হয়। বিশেষ করে ঊনবিংশ শতকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা বর্ণমালাকে সংস্কার করেন এবং বর্তমানে ব্যবহৃত ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণের রূপটি প্রচলিত করেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলা লিপি কোনো হঠাৎ উদ্ভাবিত পদ্ধতি নয়; বরং এটি ভারতীয় লিপির এক ধারাবাহিক বিবর্তনের ফল, যার মূল শিকড় প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপিতে প্রোথিত। এই ব্রাহ্মী লিপি থেকেই বহু শতাব্দী ধরে রূপান্তরিত হয়ে আজকের আধুনিক বাংলা লিপি গড়ে উঠেছে, যা শুধু লেখার মাধ্যম নয়, বরং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির গভীর ঐতিহ্যের প্রতীক।
0
Updated: 20 hours ago
কোনটি জাতি বিশেষ্য?
Created: 1 month ago
A
পদ্মা
B
ফুল
C
হিমালয়
D
গীতাঞ্জলি
বাংলা ব্যাকরণে জাতি-বিশেষ্য হলো এমন বিশেষ্য যা কোনো নির্দিষ্ট নামকে নির্দেশ না করে, প্রাণী বা অপ্রাণীর সাধারণ নাম বোঝায়। এটি সাধারণ-বিশেষ্য নামেও পরিচিত।
-
জাতি-বিশেষ্যের উদাহরণ:
-
মানুষ, গরু, ছাগল
-
ফুল, ফল
-
নদী, সাগর, পর্বত
-
-
নাম-বিশেষ্যের উদাহরণ (নির্দিষ্ট নাম):
-
পদ্মা, হিমালয়, গীতাঞ্জলি
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'এ মাটি সোনার বাড়া'-এ উদ্ধৃতিতে 'সোনা' কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
Created: 3 months ago
A
বিশেষণের অতিশায়ন
B
রূপবাচক বিশেষণ
C
উপাদান বাচক বিশেষণ
D
বিধেয় বিশেষণ
বিশেষণের অতিশয়ন
যখন একটি বিশেষণ পদ একাধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা বা পরিমাণের পার্থক্য তুলে ধরে এবং তন্মধ্যে একটি বিশেষ্যের উৎকর্ষতা বা নিকৃষ্টতা বোঝায়, তখন তাকে বিশেষণের অতিশয়ন বলা হয়।
বাংলা ভাষায় অতিশয়নের প্রয়োগ
দুটি বস্তুর মধ্যে তুলনামূলক অতিশয়ন:
বাংলায় যখন দুটি বস্তুর মধ্যে গুণ বা অবস্থা তুলনা করা হয়, তখন চাইতে, চেয়ে, হইতে, হতে, অপেক্ষা, থেকে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। এই ক্ষেত্রে তুলনার প্রথম উপাদানটি সাধারণত ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত থাকে এবং বিশেষণের গঠনে কোনো পরিবর্তন হয় না।
উদাহরণ:
-
ঘোড়ার দাম গরুর থেকে বেশি।
-
সিংহ বাঘের চেয়ে বলবান।
বহুবচনের মধ্যে অতিশয়ন:
একাধিকের মধ্যে যখন একটি বিশেষ্যের গুণ বা দোষ সবচেয়ে বেশি বা কম বোঝাতে হয়, তখন সবচেয়ে, সবচাইতে, সর্বাধিক, সর্বাপেক্ষা প্রভৃতি শব্দ বিশেষণের আগে বসে। এখানে বিশেষণের রূপ অপরিবর্তিত থাকে।
উদাহরণ:
-
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে করিম সবচেয়ে বুদ্ধিমান।
-
ভাইদের মাঝে বিমলই সবচাইতে বিচক্ষণ।
-
পশুর মধ্যে সিংহ সর্বাপেক্ষা বলবান।
দুটি বস্তুর মধ্যে অতিশয়নে জোর বোঝাতে:
কখনো তুলনায় জোর দিতে হলে, মূল বিশেষণের আগে অধিক, বেশি, অনেক, অল্প, কম, অধিকতর ইত্যাদি শব্দ যোগ করা হয়।
উদাহরণ:
-
গোলাপের চাইতে পদ্মফুল অনেক সুন্দর।
-
দুধ ঘিয়ের থেকে বেশি উপকারী।
-
পাতিলেবু কমলার চাইতে অল্প ছোট।
ষষ্ঠী বিভক্তি দ্বারাই অতিশয়নের কাজ:
কখনো কখনো কোনো অতিরিক্ত তুলনামূলক শব্দ না ব্যবহার করেও ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দ নিজেই তুলনার কাজ করে ফেলে।
উদাহরণ:
-
এ মাটি সোনার বাড়া। (অর্থাৎ সোনার তুলনায় বেশি মূল্যবান)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 3 months ago