কোনটি শামসুর রাহমানের রচনা?
A
নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি
B
নির্জন স্বাক্ষর
C
নিরালোকে দিব্যরথ
D
নির্বাণ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা কবিতার আধুনিক ধারায় যাঁরা গভীর প্রভাব ফেলেছেন, শামসুর রাহমান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা কাব্যসাহিত্যে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনন্য নাম।
কবি শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
নিরালোকে দিব্যরথ (প্রকাশকাল: ১৯৬৮)
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
-
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
-
রৌদ্র করোটিতে
-
বিধ্বস্ত নীলিমা
-
নিজ বাসভূমে
-
বন্দী শিবির থেকে
-
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
-
আমি অনাহারী
-
প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
-
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
-
হরিণের হাড়
-
তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন ইত্যাদি
📖 শামসুর রাহমানের উপন্যাসসমূহ:
-
অক্টোপাস
-
নিয়ত মন্তাজ
-
এলো সে অবেলায়
অন্যান্য সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনা:
-
সেলিনা হোসেন – বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক; তাঁর রচিত ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ একটি প্রভাবশালী উপন্যাস।
-
জীবনানন্দ দাশ – আধুনিক বাংলা কবিতার এক নিভৃতচারী কবি; তাঁর লেখা ‘নির্জন স্বাক্ষর’ একটি চমৎকার কবিতা যা কাব্যিক নিঃসঙ্গতার প্রতিচ্ছবি বহন করে।
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'চকচক' কোন ধরনের দ্বিরুক্ত শব্দ?
Created: 1 week ago
A
পুনরাবৃত্ত
B
পদাত্মক
C
ধ্বন্যাত্মক
D
অনুকার
ধ্বন্যাত্মক শব্দ
-
সংজ্ঞা: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যে শব্দগুলো তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়।
-
পুনরাবৃত্তি: ধ্বন্যাত্মক শব্দের পুনরাবৃত্তিকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ:
-
কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক, টুং টুং, ঠুক ঠুক, ধুপ ধুপ, দুম দুম, ঢং ঢং, চকচক, টসটস, থকথকে, ভটভট, হিস হিস
মধ্যবর্তী স্বরধ্বনিসহ উদাহরণ:
-
খপাখপ, গবাগব, ঝটাঝট, ফটাফট, দমাদম, পটাপট
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
“সততা হে নদ তুমি পড় মোর মনে” পঙক্তিটির রচিতা কে?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
অমিয় চক্রবর্তী
কবিতা: কপোতাক্ষ নদ
-
রচয়িতা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
অন্তর্গত: চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-
ধরণ: সনেট
-
উল্লেখযোগ্য পঙক্তি: "সততা হে নদ তুমি পড় মোর মনে"
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
মহাকবি, নাট্যকার
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ নদ, যশোর
-
বাংলা ভাষায় সনেটের ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক
রচিত কাব্য:
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী

0
Updated: 1 month ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
ফররুখ আহমদ
C
আব্দুল কাদির
D
বন্দে আলী মিয়া
‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থ
কবি ফররুখ আহমদের সাহিত্যিক জীবনের সূচনাপর্বে প্রকাশিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সাত সাগরের মাঝি’, যা ১৯৪৪ সালে প্রথমবারের মতো পাঠকের সামনে আসে। এটি তাঁর প্রথম ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। এই গ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গ্রন্থটির শেষ কবিতার নামও ‘সাত সাগরের মাঝি’, যা শিরোনামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বইটিতে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য কবিতা রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সিন্দাবাদ, পাঞ্জেরি, লাশ, আউলাদ, এবং দরিয়ার শেষরাত্রি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ফররুখ আহমদ: একজন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ই জুন জন্মগ্রহণ করেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে। বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত মুসলিম পুনর্জাগরণের কবি হিসেবে। তাঁর কবিতায় ইসলামী ভাবধারা, সমাজসচেতনতা এবং সংস্কৃতির গভীর প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে রচিত ‘লাশ’ কবিতা তাঁকে সাহিত্যিক খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
তিনি কাহিনিনির্ভর কবিতার ক্ষেত্রেও অনন্য। তাঁর লেখা ‘হাতেমতায়ী’ কাব্যের জন্য তিনি ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছরে তাঁর ‘পাখির বাসা’ নামক শিশুতোষ রচনার জন্য তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
ফররুখ আহমদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
ফররুখ আহমদের সাহিত্যকর্মে যে কাব্যগ্রন্থগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তার মধ্যে রয়েছে:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুরকাহিনী
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago