'Greatest Happiness Principle’-এই নীতির প্রবক্তা কে?
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
রুশোঁ
C
সক্রেটিস
D
জেরেমি বেন্থাম
উত্তরের বিবরণ
গ্রেটেস্ট হ্যাপিনেস প্রিন্সিপল এমন এক নৈতিক দর্শন যা সমাজের সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সর্বাধিক সুখ নিশ্চিত করাকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ধরে। এই তত্ত্বের সূত্রপাত করেন জেরেমি বেন্থাম, পরে জন স্টুয়ার্ট মিল একে আরও পরিমার্জিত করেন। নীতিটি মূলত মানব নৈতিকতা ও আইনকে এমনভাবে পরিচালিত করার পরামর্শ দেয় যাতে ব্যক্তিগত নয়, সামষ্টিক মঙ্গলই প্রধান বিবেচ্য হয়। এই ধারণা উপযোগবাদ (Utilitarianism) নামেও পরিচিত।
-
জেরেমি বেন্থাম ও নীতি
-
ব্রিটিশ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, আইনবিদ ও আইন সংস্কারক হিসেবে তিনি আধুনিক উপযোগবাদের প্রতিষ্ঠাতা।
-
তাঁর প্রচারিত সুখবাদকে বলা হয় অসংযত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদ (Gross Utilitarianism)।
-
তিনি মনস্তাত্ত্বিক সুখবাদ (Psychological Hedonism) ও আত্মসুখবাদ (Egoism) সমর্থন করলেও শেষ পর্যন্ত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদের দিকেই গুরুত্ব দেন।
-
সুখের গুণগত পার্থক্য তিনি স্বীকার করেননি, তাই তাঁর মতে “Quantity of pleasures being equal, pushpin is as good as poetry”, অর্থাৎ পরিমাণ সমান হলে শারীরিক খেলার আনন্দ ও কবিতা পাঠের আনন্দ সমান।
-
সুখের মাত্রা নির্ধারণে তিনি সাতটি মানদণ্ডের কথা বলেন: তীব্রতা, স্থায়িত্ব, নৈকট্য, নিশ্চয়তা, বিশুদ্ধি, উর্বরতা ও বিস্তৃতি।
-
-
জন স্টুয়ার্ট মিলের অবদান
-
পিতা জেমস মিল ও বেন্থামের ধারণাকে ভিত্তি করে তিনি নীতি পুনর্লিখন করেন।
-
মিল বলেন, মূর্খের সহজ আনন্দের চেয়ে সক্রেটিসের মতো জ্ঞানীর উচ্চতর সুখ অধিক মূল্যবান।
-
তিনি সুখের গুণগত পার্থক্যকে গুরুত্ব দেন এবং বৌদ্ধিক উন্নয়ন, নৈতিকতা ও সমাজের সামগ্রিক মঙ্গলকে প্রাধান্য দেন।
-

0
Updated: 21 hours ago
বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের কতটি স্তম্ভ?
Created: 21 hours ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
সুশাসন আজকের বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ধারণা, যা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মূলত সরকার বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর, ন্যায়সংগত ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনার প্রক্রিয়া বোঝায়।
-
সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Good Governance’।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সুশাসন।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সুশাসন সম্পর্কিত ধারণা ব্যবহৃত হয়।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি মূল স্তম্ভ ঘোষণা করে, যা হলো:
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনী কাঠামো
-
অংশগ্রহণ
-

0
Updated: 21 hours ago
বিশ্বব্যাংক কবে প্রথম ‘সুশাসন’ শব্দটি ব্যবহার করে?
Created: 21 hours ago
A
১৯৭৫ সালে
B
১৯৭৯ সালে
C
১৯৮৯ সালে
D
১৯৯১ সালে
সুশাসন বলতে এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বোঝায় যা দক্ষ, নির্ভুল এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো এই শব্দটির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার দেখা যায় এবং পরবর্তীতে এটি উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে।
মূল তথ্যগুলো হলো
-
সুশাসন শব্দের উৎস: ইংরেজি Governance শব্দের সাথে বাংলা সু প্রত্যয় যোগ করে এ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে, যা শাসনের নৈতিক বা মানদণ্ডভিত্তিক দিককে প্রকাশ করে।
-
ধারণার বিকাশ: সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংক উদ্ভাবিত এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বব্যাংকই প্রথম উন্নয়ন প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব তুলে ধরে।
-
প্রথম ব্যবহার: ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় সর্বপ্রথম ‘সুশাসন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
-
সংজ্ঞা: সুশাসনের অর্থ দাঁড়ায় নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
প্রধান স্তম্ভ: ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক জানায় যে সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত—
-
দায়িত্বশীলতা
-
স্বচ্ছতা
-
আইনি কাঠামো
-
অংশগ্রহণ
-

0
Updated: 21 hours ago
নৈতিকতা কী ধরনের বিষয়?
Created: 1 week ago
A
শারীরিক বিষয়
B
অর্থনৈতিক বিষয়
C
মানসিক বিষয়
D
রাজনৈতিক বিষয়
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি।
-
নৈতিকতার উদ্ভব মানুষের বিবেকবোধ থেকে।
-
এটি একটি মানসিক বিষয়।
-
নৈতিকতার উপর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব আরোপিত নয়। অর্থাৎ নৈতিকতা লঙ্ঘনকারীকে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় আইন শাস্তি প্রদান করতে পারে না।
-
বিবেকের দংশনই নৈতিকতার সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।
-
মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার লক্ষ্য।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago