নিচের কোনটি চর্চা ব্যতীত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়?
A
মূল্যবোধ শিক্ষা
B
সামাজিক প্রথা
C
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
D
ধর্ম
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্যবোধ শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে সঠিক নৈতিক ভিত্তি থাকা জরুরি, আর তা অর্জিত হয় সুশিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে।
-
স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা, জবাবদিহিতা, মানবিকতা ও নৈতিকতা সুশাসনের মূল উপাদান এবং এগুলো মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে, যা ন্যায়পরায়ণ ও জবাবদিহিতামূলক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।
-
এই শিক্ষার নিয়মিত চর্চা ছাড়া প্রকৃত সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
ধর্ম মানুষের নৈতিকতা গঠনে সহায়তা করতে পারে, তবে সুশাসনের একমাত্র শর্ত নয়।
-
কিছু সামাজিক প্রথা সুশাসনের জন্য সহায়ক হলেও, অনেক সময় এগুলো বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে।
-
প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়ায়, কিন্তু নৈতিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা ছাড়া সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না।

0
Updated: 21 hours ago
'Greatest Happiness Principle’-এই নীতির প্রবক্তা কে?
Created: 21 hours ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
রুশোঁ
C
সক্রেটিস
D
জেরেমি বেন্থাম
গ্রেটেস্ট হ্যাপিনেস প্রিন্সিপল এমন এক নৈতিক দর্শন যা সমাজের সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সর্বাধিক সুখ নিশ্চিত করাকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ধরে। এই তত্ত্বের সূত্রপাত করেন জেরেমি বেন্থাম, পরে জন স্টুয়ার্ট মিল একে আরও পরিমার্জিত করেন। নীতিটি মূলত মানব নৈতিকতা ও আইনকে এমনভাবে পরিচালিত করার পরামর্শ দেয় যাতে ব্যক্তিগত নয়, সামষ্টিক মঙ্গলই প্রধান বিবেচ্য হয়। এই ধারণা উপযোগবাদ (Utilitarianism) নামেও পরিচিত।
-
জেরেমি বেন্থাম ও নীতি
-
ব্রিটিশ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, আইনবিদ ও আইন সংস্কারক হিসেবে তিনি আধুনিক উপযোগবাদের প্রতিষ্ঠাতা।
-
তাঁর প্রচারিত সুখবাদকে বলা হয় অসংযত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদ (Gross Utilitarianism)।
-
তিনি মনস্তাত্ত্বিক সুখবাদ (Psychological Hedonism) ও আত্মসুখবাদ (Egoism) সমর্থন করলেও শেষ পর্যন্ত পরসুখবাদ বা উপযোগবাদের দিকেই গুরুত্ব দেন।
-
সুখের গুণগত পার্থক্য তিনি স্বীকার করেননি, তাই তাঁর মতে “Quantity of pleasures being equal, pushpin is as good as poetry”, অর্থাৎ পরিমাণ সমান হলে শারীরিক খেলার আনন্দ ও কবিতা পাঠের আনন্দ সমান।
-
সুখের মাত্রা নির্ধারণে তিনি সাতটি মানদণ্ডের কথা বলেন: তীব্রতা, স্থায়িত্ব, নৈকট্য, নিশ্চয়তা, বিশুদ্ধি, উর্বরতা ও বিস্তৃতি।
-
-
জন স্টুয়ার্ট মিলের অবদান
-
পিতা জেমস মিল ও বেন্থামের ধারণাকে ভিত্তি করে তিনি নীতি পুনর্লিখন করেন।
-
মিল বলেন, মূর্খের সহজ আনন্দের চেয়ে সক্রেটিসের মতো জ্ঞানীর উচ্চতর সুখ অধিক মূল্যবান।
-
তিনি সুখের গুণগত পার্থক্যকে গুরুত্ব দেন এবং বৌদ্ধিক উন্নয়ন, নৈতিকতা ও সমাজের সামগ্রিক মঙ্গলকে প্রাধান্য দেন।
-

0
Updated: 21 hours ago
'মত প্রকাশের স্বাধীনতা' কোনো ব্যক্তির কোন ধরনের স্বাধীনতার?
Created: 21 hours ago
A
জাতীয় স্বাধীনতা
B
সামাজিক স্বাধীনতা
C
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা
D
রাজনৈতিক স্বাধীনতা
একটি রাষ্ট্রে নাগরিকরা নানা ধরনের স্বাধীনতা উপভোগ করে, যা সময়, স্থান ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এই স্বাধীনতাগুলো মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা: ধর্ম পালন ও মত প্রকাশের অধিকার এর অন্তর্ভুক্ত।
-
সামাজিক স্বাধীনতা: জীবনধারণ, সম্পত্তি ভোগ এবং সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ।
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতা: ভোটার হওয়ার অধিকার, ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ।
-
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: পেশা নির্বাচন ও জীবিকা নির্বাহের অধিকার।
-
জাতীয় স্বাধীনতা: একটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ও স্বতন্ত্র অবস্থান প্রতিষ্ঠার সক্ষমতা।
-
পৌর স্বাধীনতা: জীবনের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার এবং ধর্ম পালনের অধিকার।

0
Updated: 21 hours ago
নৈতিকতার মূল লক্ষ্য কী?
Created: 1 week ago
A
মানুষের কল্যাণ সাধন
B
স্বাধীনতা অর্জন
C
আইন প্রতিষ্ঠা
D
ধর্মীয় বিধান প্রতিষ্ঠা
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তরর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি
-
নৈতিকতার উদ্ভব মানুষের বিবেকবোধ থেকে
-
এটি একটি মানসিক বিষয়
-
নৈতিকতার উপর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব আরোপিত নয়, অর্থাৎ নৈতিকতা লঙ্ঘনকারীকে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় আইন শাস্তি প্রদান করতে পারে না
-
বিবেকের দংশনই নৈতিকতার সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ
-
মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার লক্ষ্য
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 week ago