পুরুষ বা স্ত্রী নির্দেশক সূত্রকে ব্যাকরণে কী বলে?
A
বচন
B
লিঙ্গ
C
বাক্য
D
বাগর্থ
উত্তরের বিবরণ
যে সকল শব্দ দ্বারা পুরুষ, স্ত্রী ও অচেতন বস্তুকে চিহ্নিত করা যায়, তাকে লিঙ্গ বলে। লিঙ্গ চার প্রকার যথা- 1. পুংলিঙ্গ 2. স্ত্রীলিঙ্গ 3. ক্লীবলিঙ্গ 4. উভয় লিঙ্গ লিঙ্গ প্রসঙ্গে আর একটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে—কেবলমাত্র প্রাণীবাচক শব্দগুলি পুংলিঙ্গ অথবা স্ত্রীলিঙ্গের পর্যায়ে পড়ে।
অপ্রাণীবাচক শব্দ ক্লীবলিগের অন্তর্গত। সংস্কৃত ব্যাকরণে উভয় লিঙ্গ বলে কোন কিছু নেই; কিন্তু ইংরেজি ব্যাকরণে Common Gender অর্থাৎ উভয় লিঙ্গ আছে।
0
Updated: 1 month ago
'পাতিস নে শিলাতলে পদ্মপাতা।'- কী অর্থে অনুজ্ঞার ব্যবহার হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
আদেশ
B
উপদেশ
C
অনুরোধ
D
প্রার্থনা
বর্তমান কালের অনুজ্ঞা হলো এমন ধরনের ক্রিয়ার রূপ যা বক্তার উদ্দেশ্য বা ভাব প্রকাশ করে এবং সাধারণত মধ্যম পুরুষে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, প্রার্থনা বা অভিশাপ।
-
আদেশ: কাজটি করে ফেল। তোমরা এখন যাও।
-
উপদেশ:
-
সত্য গোপন করো না।
-
কড়া রোদে ঘোরাফেরা করিস না।
-
'পাতিস নে শিলাতলে পদ্মপাতা।'
-
-
অনুরোধ: আমার কাজটা এখন কর। অঙ্কটা বুঝিয়ে দাও না।
-
প্রার্থনা: আমার দরখাস্তটা পড়ুন।
-
অভিশাপ: মর, পাপিষ্ঠ।
উল্লেখ্য, আদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, প্রার্থনা, অনুনয় প্রভৃতি অর্থে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কালে মধ্যম পুরুষে যে ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়, তাকে অনুজ্ঞা পদ বলা হয়।
0
Updated: 1 week ago
ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়-
Created: 2 months ago
A
চলিত ভাষারীতিতে
B
সাধু ভাষারীতিতে
C
সমাজ উপভাষায়
D
আঞ্চলিক উপভাষায়
সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধুরীতি ব্যাকরণের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত। এ রীতিতে সর্বনাম, ক্রিয়া, ও অনুসর্গে র পূর্ণ রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন: আসিয়া (সাধু > এস (চলিত); তাহাকে (সাধু) তাকে (চলিত); অপেক্ষা (সাধু) > চেয়ে (চলিত)।
0
Updated: 2 months ago
‘চন্দ্রাবতী' কাব্যের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
দ্বিজ কানাই
B
চন্দ্রাবতী
C
কেরেশী মাগন ঠাকুর
D
নয়ানচাঁদ ঘোষ
চন্দ্রাবতী কাব্য বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম, যা কাব্যরচনার ক্ষেত্রে প্রাচীন ধারার পরিচয় বহন করে। এর রচয়িতা ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কিছু তথ্য নীচে দেওয়া হলো।
-
কাব্যের একমাত্র রচয়িতা: কেরেশী মাগন ঠাকুর
-
কাব্যের একটি খণ্ডিত পুথি পাওয়া গেছে।
-
রচনাকাল নিয়ে সংশয় আছে, তবে ধারণা করা হয় এটি সতের শতকের।
-
মাগন ঠাকুর আরাকান রাজ্যের মন্ত্রী এবং আলাওলের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
-
কাব্যের প্রাচীন উৎস জানা যায় না; মনে করা হয় এটি কবির স্বাধীন কল্পনা।
অতিরিক্ত তথ্য
-
ময়মনসিংহের এক মহিলা গীতিকারও ছিলেন চন্দ্রাবতী, যিনি প্রথম রামায়ণ বাংলা অনুবাদ করেছিলেন।
-
চন্দ্রাবতীকে নিয়ে মৈমনসিংহ-গীতিকায় নয়ানচাঁদ ঘোষ নামের একজন কবির পালা রচিত হয়েছে।
-
এই পালাটি বিভিন্ন নামে পরিচিত: ‘জয়-চন্দ্রাবতী’, ‘চন্দ্রাবতী চরিত’, ‘চন্দ্রাবতী উপাখ্যান’।
0
Updated: 1 month ago