কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
A
চিলেকোঠার সেপাই
B
আগুনের পরশমণি
C
একাত্তরের দিনগুলি
D
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
উত্তরের বিবরণ
আগুনের পরশমণি' উপন্যাস
- হুমায়ূন আহমেদ রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস - আগুনের পরশমণি।
- উপন্যাসে ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে অবরুদ্ধ ঢাকা শহরের সামগ্রিক চালচ্চিত্র অংকিত হয়েছে।
- উপন্যাসটি ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
- এই উপন্যাসে অপরিচিত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমকে আশ্রয় দেয় মতিন সাহেব নামে একজন ভদ্রলোক। এভাবেই এই উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে,
- ঊনসত্তরের গণ-অভ্যত্থান নিয়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের উপন্যাস - চিলেকোঠার সেপাই।
- একাত্তরের দিনগুলি জাহানারা ইমাম রচিত মুক্তিযুদ্ধকালীন দিনলিপি।
- পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় - সৈয়দ শামসুল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যনাটক।
--------------------------
হুমায়ূন আহমেদ
- তিনি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, শিক্ষক ছিলেন।
- হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে।
- তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম।
- তাঁর পিতা ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন (বর্তমানে আয়েশা ফয়েজ নামে পরিচিত)।
- তিনি ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
হুমায়ূন আহমেদ রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস:
- জোছনা ও জননীর গল্প,
- আগুনের পরশমণি,
- শ্যামল ছায়া,
- সৌরভ,
- অনীল বাগচীর একদিন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
কত সালে 'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 3 days ago
A
১৮৬০
B
১৮৬১
C
১৮৬৫
D
১৮৬৭
‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা এবং ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের শিরোনাম ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র হলো তিলোত্তমা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, এবং বিমলা।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে।
-
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক। তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য ও রচনা সংক্রান্ত মূল তথ্য:
-
প্রথম উপন্যাস: রাজমোহনস ওয়াইফ (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম বাংলা সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ

0
Updated: 3 days ago
'কপালকুণ্ডলা' কোন প্রকৃতির রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
রোমান্সমূলক উপন্যাস
B
বিয়োগান্তক নাটক
C
ঐতিহাসিক উপন্যাস
D
সামাজিক উপন্যাস
কপালকুণ্ডলা উপন্যাস
-
প্রকাশকাল: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
ধরন: উপন্যাসটিকে নিগূঢ় ভাবধারার জন্য রোমান্টিক বা রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা হয়।
-
কাহিনি: অরণ্যের মধ্যে এক কাপালিকের পালিতা রহস্যময়ী নারী কপালকুণ্ডলাকে ঘিরে কাহিনি গড়ে ওঠে।
-
সামাজিক সংস্কারের অচেনা পৃথিবীতে প্রবেশ করে সে নবকুমারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
-
কিন্তু সমাজের নিয়ম-কানুনের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব এবং নিজের রহস্যময় জীবনই কাহিনির মূল সংঘাত।
-
-
প্রেক্ষাপট: কাহিনিতে একদিকে সম্রাট জাহাঙ্গির আমলের আগ্রা শহরের স্থাপত্য, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের রোমাঞ্চময় পরিবেশ চিত্রিত হয়েছে।
-
বিশেষত্ব: প্রকৃতির সৌন্দর্য, কপালকুণ্ডলার চরিত্রচিত্রণ ও কাহিনির করুণ সমাপ্তি—এই তিন কারণে উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় হয়ে আছে।
-
গ্রহণযোগ্যতা: লেখকের জীবদ্দশাতেই এর আটবার সংস্করণ প্রকাশিত হয়। অনেকের মতে, এটি বঙ্কিমের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
-
রোমান্টিক সংলাপ: নায়িকা কপালকুণ্ডলার বলা “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ?”—বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোম্যান্টিক সংলাপ হিসেবে বিখ্যাত।
-
প্রধান চরিত্র: কপালকুণ্ডলা, নবকুমার, কাপালিক প্রমুখ।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে, চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
তিনি ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান পুরুষ।
-
তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস।
-
প্রথম উপন্যাস ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী।
বঙ্কিমচন্দ্রের ত্রয়ী উপন্যাস
১. আনন্দমঠ
২. দেবী চৌধুরানী
৩. সীতারাম
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 weeks ago
’বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন’ কিশোর উপন্যাসটি কে রচনা করেন?
Created: 4 weeks ago
A
মাহমুদুল হক
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
D
শওকত আলী
নির্মলেন্দু গুণ
-
জন্ম: ১৯৪৫, নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে।
-
সম্পূর্ণ নাম: নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী।
-
বাংলাদেশের কবিদের কবি বলা হয় তাঁকে।
-
১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
-
এছাড়া ১৯৮২ সালে আলোল সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০০১ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
তাঁর রচিত কিশোর উপন্যাস
-
কালো মেলা
-
বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন
নির্মলেন্দু গুণের রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
প্রেমাংশুর রক্ত চাই
-
না প্রেমিক না বিপ্লবী
-
পৃথিবীজোড়া গান
-
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী
-
চাষাভুষার কাব্য
-
নিশি কাব্য
-
কামকানন
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 weeks ago