রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত হওয়া উচিত?
A
৮–১০ গ্রাম/ডেসিলিটার
B
১২–১৬ গ্রাম/ডেসিলিটার
C
২৫–৩০ গ্রাম/ডেসিলিটার
D
১৮–২২ গ্রাম/ডেসিলিটার
উত্তরের বিবরণ
হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin):
হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকার (RBC) ভেতরে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন, যা শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে অক্সিজেন পরিবহনের কাজ করে। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে হলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। সাধারণত হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার (g/dl) এককে প্রকাশ করা হয়।
স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন মাত্রা:
-
পুরুষ: ১৪–১৮ g/dl
-
মহিলা: ১২–১৬ g/dl
অস্বাভাবিক অবস্থাসমূহ:
-
স্বাভাবিকের চেয়ে কম হিমোগ্লোবিন থাকলে তাকে অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা) বলা হয়। এ অবস্থায় শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং টিস্যুগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না।
-
রক্তে লাল কণিকার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে তাকে এরিথ্রোসাইটোসিস (Erythrocytosis) বলা হয়, যার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়।

0
Updated: 23 hours ago
রক্তের অণুচক্রিকা কী কাজ করে?
Created: 1 week ago
A
রক্তক্ষরণ বন্ধ
B
রোগ প্রতিরোধ
C
অক্সিজেন পরিবহন
D
হরমোন নিঃসরণ
প্রাণিটিস্যু (Animal Tissue):
-
বহুকোষী প্রাণির দেহে অনেক কোষ একত্রে কোনো বিশেষ কাজে নিয়োজিত থাকে।
-
একই ভ্রূণীয় কোষ থেকে উৎপন্ন কিছু সংখ্যক কোষ যদি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সমষ্টিগতভাবে কাজ করে, তখন এই কোষগুলোকে টিস্যু (Tissue) বা তন্ত্র বলা হয়।
-
একটি টিস্যুর কোষগুলোর উৎপত্তি, কাজ ও গঠন একই ধরনের হয়।
-
টিস্যু নিয়ে অধ্যয়নকে টিস্যুতত্ত্ব (Histology) বলা হয়।
কোষ ও টিস্যুর পার্থক্য:
-
কোষ: টিস্যুর গঠনগত ও কার্যকরী একক। উদাহরণ: লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, অণুচক্রিকা।
-
টিস্যু: একই ধরনের কোষের সমষ্টি যা নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। উদাহরণ: তরল যোজক টিস্যু, যা রক্তের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেয়।
রক্তকোষের ভূমিকা:
-
লোহিত রক্তকণিকা: ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে ধমনির মাধ্যমে দেহের প্রতিটি কোষে সরবরাহ করে।
-
শ্বেত রক্তকণিকা: দেহকে রোগ ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
-
অণুচক্রিকা (Platelets): কেটে যাওয়া অংশ থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।
শারীরিক কোষ ও তাদের কার্যক্রম:
-
স্নায়ুকোষ: দেহের উদ্দীপনা গ্রহণ করে মস্তিষ্কে প্রেরণ করে এবং মস্তিষ্কের বার্তা দেহের নির্দিষ্ট অংশে পৌঁছে দেয়।
-
চোখের স্নায়ুকোষ → দেখার কাজ
-
কানের স্নায়ুকোষ → শোনার কাজ
-
-
পেশিকোষ: হাঁটা-চলা, নড়াচড়া, এবং দৈহিক ক্রিয়ায় অংশ নেয়।
-
ত্বকীয় কোষ: দেহকে আবরণ দেওয়া এবং শারীরিক অবস্থান অনুযায়ী কাজ করা।
-
চুলের বৃদ্ধি
-
ঘাম নির্গমন
-
-
অস্থিকোষ: অস্থি বা কোমলস্থি তৈরি করে, দেহকে দৃঢ়তা প্রদান করে, অস্থির বৃদ্ধি ও আকারের গঠনে অবদান রাখে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago