স্কার্ভি রোগ মূলত কোন ভিটামিনের অভাবে হয়?
A
ভিটামিন A
B
ভিটামিন B
C
ভিটামিন C
D
ভিটামিন D
উত্তরের বিবরণ
স্কার্ভি (Scurvy) হলো ভিটামিন সি (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড) এর ঘাটতির কারণে সৃষ্ট রোগ। এ রোগে কোলাজেন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে দাঁত, মাড়ি, হাড় ও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ভিটামিন সি:
-
ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
-
ভিটামিন সি-এর অপর নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড।
-
এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
-
আমলকি, কমলালেবু, লেবু, আনারস ইত্যাদি ফল ভিটামিন সি-এর প্রধান উৎস।
অন্যান্য ভিটামিন ও তাদের অভাবজনিত রোগ:
-
ভিটামিন A: ঘাটতিজনিত রোগ হলো রাতকানা (Night Blindness)।
-
ভিটামিন B কমপ্লেক্স: বিভিন্ন ভিটামিন বি-এর অভাবে বেরিবেরি, পেলাগ্রা, ওয়ার্নিকি সিনড্রোম প্রভৃতি রোগ হয়।
-
ভিটামিন D: এর ঘাটতিতে রিকেটস (Rickets) ও অস্টিওমালাসিয়া (Osteomalacia) দেখা দেয়।

0
Updated: 23 hours ago
জন্ডিসের প্রধান কারণ কী?
Created: 5 days ago
A
প্লীহার ক্ষয়
B
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা কমে যাওয়া
C
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
D
রক্তে লাল কণিকার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া
বিলিরুবিন হলো একটি হলুদ রঙের পদার্থ যা মূলত যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং প্লীহাতে সংরক্ষিত থাকে। এটি রক্তে থাকা লাল রক্ত কণিকার ১২০ দিনের চক্র শেষ হওয়ার পর ভেঙে তৈরি হয় এবং লিভারে মিলিত হয়ে পাচক তরল পদার্থ হিসেবে গলব্লাডারে জমে থাকে। বিলিরুবিন খাদ্য হজমে সহায়ক এবং মল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উৎপাদন ও সংরক্ষণ: যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়, প্লীহাতে জমা থাকে।
-
রঙ ও উৎস: হলুদ রঙের, লাল রক্ত কণিকা ভেঙে তৈরি।
-
লিভারের ভূমিকা: বিলি নামে পরিচিত পাচক তরল পদার্থে পরিণত হয় এবং গলব্লাডারে সংরক্ষিত থাকে।
-
হজম ও মল প্রস্তুতি: খাবার হজমে সাহায্য করে এবং মল তৈরি করতে সহায়তা করে।
-
জন্ডিসের কারণ: রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে জন্ডিস হয়।
-
রক্তে স্তরের বৃদ্ধি: যদি বিলিরুবিন বিলির সাথে মিশতে না পারে অথবা লাল রক্ত কণিকা কম পরিমাণে ভাঙতে শুরু করে, রক্তে বিলিরুবিনের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা অন্য অঙ্গে পৌঁছে হলুদ ভাবের সৃষ্টি করে।

0
Updated: 5 days ago
অগ্ন্যাশয়রসে কোন উৎসেচক থাকে না?
Created: 1 week ago
A
পেপসিন
B
লাইপেজ
C
ট্রিপসিন
D
অ্যামাইলেজ
অগ্ন্যাশয় (Pancreas):
অগ্ন্যাশয় পাকস্থলীর পিছনে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশ্রগ্রন্থি।
এটি একদিকে পরিপাকে অংশগ্রহণকারী এনজাইম উৎপন্ন করে, অন্যদিকে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন নিঃসৃত করে।
তাই অগ্ন্যাশয় বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি উভয়ের কাজ করে।
অগ্ন্যাশয়রস অগ্ন্যাশয় নালির মাধ্যমে যকৃত-অগ্ন্যাশয়নালি দিয়ে ডিওডেনামে প্রবেশ করে।
অগ্ন্যাশয়রসে প্রধানত ট্রিপসিন, লাইপেজ ও অ্যামাইলেজ এনজাইম থাকে।
এসব এনজাইম শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিপাকে সাহায্য করে।
এছাড়া এটি দেহের অম্ল-ক্ষারের সাম্যতা, পানির সাম্যতা ও দেহতাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে অগ্ন্যাশয় গ্লুকাগন ও ইনসুলিন হরমোন নিঃসৃত করে।
এই হরমোন দুটি রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
ORS সাধারণত কোন রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 day ago
A
জ্বর
B
ডায়রিয়া
C
ডায়াবেটিস
D
কাশি
ORS (Oral Rehydration Solution) হলো একটি মৌখিক দ্রবণ, যা ডায়রিয়া, কলেরা বা অতিরিক্ত বমির কারণে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিশূন্যতা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর ও সহজলভ্য একটি উপায়।
ORS সম্পর্কিত তথ্য:
-
এটি এক ধরনের দানাদার মিশ্রণ, যা পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।
-
শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যাওয়ার সময় এটি পানিশূন্যতা (Dehydration) প্রতিরোধে সাহায্য করে।
-
সাধারণত ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়।
-
এটি শরীরে লবণ-পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং জীবন রক্ষাকারী সমাধান হিসেবে বিবেচিত হয়।
ORS-এ উপস্থিত উপাদানসমূহ:
-
সোডিয়াম ক্লোরাইড (লবণ)
-
গ্লুকোজ
-
পটাশিয়াম ক্লোরাইড
-
সোডিয়াম বাইকার্বনেট বা সাইট্রেট

0
Updated: 1 day ago