BCG টিকা মূলত কোন রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়?
A
হাম
B
পোলিও
C
হুপিং কাশি
D
যক্ষ্মা
উত্তরের বিবরণ
BCG (Bacille Calmette–Guérin) ভ্যাকসিন হলো একটি জীবিত দুর্বলকৃত ব্যাকটেরিয়া-ভিত্তিক টিকা, যা Mycobacterium tuberculosis দ্বারা সৃষ্ট যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।
ভ্যাকসিনের প্রকারভেদ:
১. নিষ্ক্রিয়কৃত জীবাণু জীবন্ত টিকা (Attenuated live vaccine):
-
কালচার করা জীবাণুর ক্ষতিকর বৈশিষ্ট্য দূর্বল বা নিষ্ক্রিয় করে তৈরি।
-
উদাহরণ: BCG, হাম, মাম্পস, পোলিও, জলাতঙ্ক, যক্ষ্মা, গুটিবসন্ত, প্লেগ, টাইফয়েড প্রভৃতি।
২. মৃত জীবাণুভিত্তিক নিষ্প্রাণ টিকা (Killed vaccine):
-
মৃত জীবাণু ব্যবহার করে তৈরি।
-
উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা, কলেরা ইত্যাদি।
৩. নিষ্ক্রিয় বিষভিত্তিক টিকা (Toxoid vaccine):
-
জীবাণু দ্বারা নিঃসৃত টক্সয়েড ব্যবহার করে তৈরি।
-
উদাহরণ: ডিপথেরিয়া, টিটেনাস (ধনুষ্টংকার) ইত্যাদি।
৪. দেহ তলের রাসায়নিক উপাদান ভিত্তিক টিকা (Surface chemical molecule):
-
সংক্রমণকারী জীবাণুর দেহ তল থেকে নির্দিষ্ট রাসায়নিক উপাদান বা প্রোটিনের অংশ আলাদা করে তৈরি।
-
উদাহরণ: হেপাটাইটিস-B ভ্যাকসিন, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) ভ্যাকসিন।
৫. ডিএনএ টিকা (DNA vaccine):
-
রিকমবিন্যান্ট DNA পদ্ধতিতে তৈরি।

0
Updated: 23 hours ago
DNA ভাইরাসঘটিত রোগ কোনটি?
Created: 17 hours ago
A
রুবেলা
B
ভেরিওলা
C
মাম্পস
D
ইনফ্লুয়েঞ্জা বি
ভাইরাসকে নিউক্লিক অ্যাসিডের প্রকারভেদ অনুযায়ী DNA ভাইরাস এবং RNA ভাইরাস এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ভাগে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে এমন ভাইরাসের উদাহরণ রয়েছে।
-
DNA ভাইরাস:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে DNA থাকে, তাদের DNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
মানব: হার্পিস সিমপ্লেক্স, ভেরিওলা, প্যাপিলোমা
-
প্রাণি: Rabbitpox, Vaccinia (bovine), Pustular dermatitis (Sheep)
-
অন্যান্য: Tipula irridescent, এডেনা গ্রুপ, পলিওমা, ΦX174 কলিফাজ, Cauliflower mosaic, Adenoassociated ইত্যাদি
-
-
-
RNA ভাইরাস:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে RNA থাকে, তাদের RNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
মানব: ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, পোলিও, রুবেলা, পীতজ্বর, ডেঙ্গু, Encephalitis, মাম্পস, Measles, Cold
-
প্রাণি: Newcastle disease (fowl), Rous sarcoma (bird), Rabies (dog), Vesicular stomatitis (cattle)
-
উদ্ভিদ ও অন্যান্য: Potato yellow dwarf, Tobacco mosaic, Sugarcane mosaic, Cucumber mosaic, fd (Pseudomonas), f2, fr1, R17 কলিফাজ ইত্যাদি
-
-
উৎস:

0
Updated: 17 hours ago
কোন রোগের কারণে মস্তিষ্কে ডোপামিন তৈরির কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়?
Created: 2 weeks ago
A
পারকিনসন
B
এপিলেপসি
C
থ্রম্বোসিন
D
ডায়াবেটিস
পারকিনসন রোগ (Parkinson's Disease):
পারকিনসন রোগ হলো মস্তিষ্কের এমন অবস্থা, যেখানে হাতে ও পায়ে কাঁপুনি হয় এবং আক্রান্ত রোগীর নড়াচড়া ও হাঁটাহাঁটি করা কষ্টকর হয়।
সাধারণত এটি ৫০ বছর বয়সের পরে দেখা দেয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে যুবক-যুবতীর মধ্যেও হতে পারে (বংশগত কারণে)।
মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ ডোপামিন নামে রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে, যা পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে।
পারকিনসন রোগে ডোপামিন উৎপাদনকারী কোষ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়, ফলে পেশি কোষগুলো কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে না।
বয়স বৃদ্ধির সাথে রোগীর মাংসপেশি আরও অকার্যকর হয়ে ওঠে, ফলে চলাফেরা, লেখালেখি ইত্যাদি কাজ করা কষ্টকর হয়।
রোগের প্রাথমিক ও অন্যান্য উপসর্গ:
হাত বা পায়ের হালকা কাঁপুনি
চোখের পাতার কাঁপুনি
কোষ্ঠকাঠিন্য
খাবার গিলতে কষ্ট
সোজাসুজি হাঁটার সমস্যা
মুখের বাচনভঙ্গি অনড় থাকা (মুখে টান বা ব্যথা)
চেয়ার থেকে ওঠা বা হাঁটতে শুরু করার সময় অসুবিধা
চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ:
নিয়মিত ফিজিওথেরাপি
পরিমিত খাদ্য গ্রহণ
সুশৃঙ্খল জীবনযাপন
উপযুক্ত যত্ন ও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী অনেকটা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 weeks ago
ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
জন্ডিস
B
এইডস
C
নিউমোনিয়া
D
চোখ ওঠা
ভাইরাসজনিত রোগ
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাসজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু ভাইরাসজনিত রোগ হলো: এইডস, জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জলাতঙ্ক, ডেঙ্গু, ইবোলা ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলা হয়।
-
এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ মন্তব্য
নিউমোনিয়া শুধু ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব দিয়েও হতে পারে। তাই অপশনভিত্তিক প্রশ্নে এটি কখনো ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে পড়লেও, মূলত এটি বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণে ঘটতে পারে। সুতরাং পরীক্ষায় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে।
চোখ ওঠা রোগ (Conjunctivitis)
-
চোখ ওঠা রোগের বৈজ্ঞানিক নাম কনজাংটিভাইটিস।
-
এটি চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত অসুখ।
-
এ রোগ সাধারণত ভাইরাস দ্বারা হয় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক উদ্ভিদবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক

0
Updated: 3 weeks ago