যে নারীর হাসি পবিত্র তাকে কী বলে?
A
সুচিস্মিতা
B
শুচিস্মিতা
C
সুহাসিনী
D
সুহাস্য
উত্তরের বিবরণ
যে নারী প্রিয় কথা বলে = প্রিয়ংবদা। যে নারী (মেয়ের) বিয়ে হয়নি = কুমারী। যে নারীর বিয়ে হয় না = অনূঢ়া। যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে = নবোঢ়া। যে নারীর কোন সন্তান হয় না = বন্ধ্যা। যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে = কাকবন্ধ্যা। যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা। যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত = অবীরা। যে নারী বীর = বীরাঙ্গনা। যে নারী অন্য কারও প্রতি আসক্ত হয়না = অনন্যা। যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা। যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত = শুচিস্মিতা। যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে = প্রোষিতভর্তৃকা।
0
Updated: 1 month ago
'অতি উচ্চ ধ্বনি' এর এক কথায় প্রকাশ কী হবে?
Created: 4 weeks ago
A
অত্যাসন্ন
B
উতরোল
C
মহানাদ
D
অট্টহাস্য
‘অতি উচ্চ ধ্বনি’-এর এক কথায় প্রকাশ হলো মহানাদ। এই শব্দ দ্বারা অত্যন্ত জোরালো বা তীব্র শব্দ বা ধ্বনিকে বোঝানো হয়, যা সাধারণত দূর পর্যন্ত শোনা যায়।
অন্যদিকে—
-
অতি উচ্চ বিকট হাসি — অট্টহাস্য
-
অতি উচ্চ রোল — উতরোল
-
অতি আসন্ন — অত্যাসন্ন
0
Updated: 4 weeks ago
যা স্থায়ী নয়-
Created: 1 week ago
A
অস্থায়ী
B
ক্ষণস্থায়ী
C
ক্ষণিক
D
নশ্বর
যে জিনিস স্থায়ী নয়, অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী নয় বা সাময়িক সময়ের জন্য থাকে, তাকে বলা হয় অস্থায়ী। শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় এমন কোনো কিছু যা কিছু সময় পর পরিবর্তিত হয়, নষ্ট হয়ে যায় বা আর থাকে না। এটি এমন এক অবস্থা বা অবয়বের প্রতীক, যা স্থায়িত্ব লাভ করে না এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর বিলুপ্ত হয়ে যায়।
‘অস্থায়ী’ শব্দটি গঠিত হয়েছে ‘অ’ উপসর্গ ও ‘স্থায়ী’ শব্দের সমন্বয়ে। এখানে ‘অ’ উপসর্গটি ‘না’ বা ‘অভাব’ অর্থে ব্যবহৃত, ফলে শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ‘যা স্থায়ী নয়’। বাংলা ভাষায় এটি সাধারণত বস্তু, অবস্থা, সম্পর্ক বা জীবনের বিভিন্ন দিক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে স্থায়িত্বের অভাব থাকে।
বাংলা সাহিত্যে ও দৈনন্দিন জীবনে এই শব্দের ব্যবহার বেশ সাধারণ। যেমন— অস্থায়ী বাড়ি, অস্থায়ী চাকরি, অস্থায়ী সমাধান ইত্যাদি ক্ষেত্রে বোঝানো হয় এমন কিছু যা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কার্যকর, কিন্তু স্থায়ী নয়। এই ব্যবহার সমাজের বাস্তব অবস্থা, পরিবর্তনশীলতা ও সময়ের প্রভাবকে প্রকাশ করে।
এই ধারণাটি মানবজীবনের পরিবর্তনশীল প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। জীবনের সুখ-দুঃখ, সম্পর্ক কিংবা অর্জন—সবকিছুই কোনো না কোনোভাবে অস্থায়ী। সাহিত্যিকেরা এই শব্দের মাধ্যমে জীবনের ক্ষণস্থায়ী রূপ, অনিত্যতা ও পরিবর্তনের দর্শন প্রকাশ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অনেক কবিতায় জীবনের অস্থায়িত্বকে চিরন্তন সত্য হিসেবে তুলে ধরেছেন।
অস্থায়ী শব্দটি কেবল দার্শনিক বা আবেগগত নয়, বরং প্রশাসনিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। যেমন অস্থায়ী নিয়োগ, অস্থায়ী অনুমতি, বা অস্থায়ী সরকার— এসবের মাধ্যমে বোঝানো হয় সীমিত মেয়াদের জন্য কোনো ব্যবস্থা বা দায়িত্ব।
এ শব্দটির বিপরীতার্থক হলো স্থায়ী, যার অর্থ চিরস্থায়ী, স্থির বা পরিবর্তনহীন। ফলে দুটি শব্দই একে অপরের পরিপূরক অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং ভাষার অর্থবোধকে সমৃদ্ধ করে।
অতএব, ‘যা স্থায়ী নয়’— এর সঠিক একক শব্দ হলো অস্থায়ী, কারণ এটি সময়সাপেক্ষ ও পরিবর্তনশীল বস্তুর প্রকৃতিকে যথাযথভাবে প্রকাশ করে। সুতরাং প্রশ্নের সঠিক উত্তর — ক) অস্থায়ী।
0
Updated: 1 week ago
‘শত্রুকে দমন করে যে’ এক কথায় প্রকাশ –
Created: 4 weeks ago
A
শত্রুঘ্ন
B
অরিন্দম
C
শত্রু হত্যা
D
কৃতঘ্ন
অরিন্দম (অ + রিন্দম) শব্দটি সংস্কৃত উৎস থেকে এসেছে।
-
অরিন = শত্রু
-
দম = দমন করা বা পরাস্ত করা
👉 অর্থাৎ যে শত্রুকে দমন করে, তাকে অরিন্দম বলে।
-
-
শত্রুঘ্ন মানে হচ্ছে শত্রুহন্তা বা যে শত্রুকে হত্যা করে। এটি "দমন" নয়, বরং "ঘাত/হত্যা" বোঝায়।
-
শত্রু হত্যা একটি বাক্যবাগীশ শব্দ, একক শব্দ নয়।
-
কৃতঘ্ন মানে অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি, অর্থাৎ উপকার ভুলে যায় যে। শত্রু দমন অর্থে নয়।
সুতরাং সঠিক একক শব্দ হবে অরিন্দম।
0
Updated: 4 weeks ago