'অনাথ' এর স্ত্রীলিঙ্গ কী?
A
অনার্থীনি
B
অনাথিনী
C
অনাথি
D
নাথবর্তী
উত্তরের বিবরণ
'অনাথ' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ অনাথিনী বা অনাথা।
0
Updated: 1 month ago
আ - প্রত্যয় যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
কনিষ্ঠা
B
পাঠিকা
C
লেখিকা
D
গায়িকা
আ - প্রত্যয় যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ = কনিষ্ঠা।
• আ প্রত্যয় যোগে অন্য শব্দসমূহ:
- বৃদ্ধ - বৃদ্ধা,
- প্রিয় - প্রিয়া,
- কনিষ্ঠ - কনিষ্ঠা।
অন্যদিকে,
• -ইকা' প্রত্যয় যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ:
যেমন –
- পাঠক-পাঠিকা,
- লেখক-লেখিকা,
- গায়ক-গায়িকা।
0
Updated: 2 months ago
'গণক' শব্দটির স্ত্রীলিঙ্গ কোনটি ?
Created: 5 days ago
A
গণকা
B
গমকিনী
C
গণকী
D
গণিকা
‘গণক’ শব্দটি এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায়, যিনি গণনা করেন বা ভবিষ্যৎ গণনা করেন, অর্থাৎ জ্যোতিষী বা ভাগ্য গণনাকারী। এর স্ত্রীলিঙ্গ গঠনের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যাকরণে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
পুরুষবাচক শব্দ থেকে স্ত্রীলিঙ্গ গঠনের সময় সাধারণত “-ক” প্রত্যয়ের পরিবর্তে “-কী”, “-কা”, বা “-কিনী” যোগ করা হয়, তবে শব্দের প্রকৃতি অনুযায়ী এর রূপ নির্ধারিত হয়।
‘গণক’ শব্দটি সংস্কৃতজাত। এটি থেকে স্ত্রীলিঙ্গ গঠনের নিয়ম অনুযায়ী ‘গণকী’ হয়।
-
‘গণকী’ অর্থ এমন একজন নারী, যিনি গণনা করেন বা ভাগ্য গণনা করেন; অর্থাৎ মহিলা জ্যোতিষী।
-
এখানে “-কী” প্রত্যয় যোগের মাধ্যমে স্ত্রীলিঙ্গ গঠিত হয়েছে, যা ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ ও প্রচলিত রূপ।
ভুল বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
‘গণকা’ রূপটি বাংলা ব্যাকরণের দৃষ্টিতে ভুল, কারণ ‘গণক’ শব্দে ‘-কা’ যোগ করে স্ত্রীলিঙ্গ তৈরি হয় না।
-
‘গমকিনী’ সম্পূর্ণ ভিন্ন শব্দ; ‘গমক’ মানে শব্দের ওঠানামা বা ধ্বনির অলংকার, যা সংগীতশাস্ত্রের পরিভাষা। তাই এর সাথে ‘গণক’-এর কোন সম্পর্ক নেই।
-
‘গণিকা’ শব্দটি স্ত্রীবাচক হলেও এর অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি ‘বেশ্যা’ বা ‘নর্তকী’ বোঝায়, যা ‘গণক’-এর স্ত্রীলিঙ্গ নয়, বরং আলাদা শব্দ।
সুতরাং, ব্যাকরণগত ও অর্থগত উভয় দিক থেকেই ‘গণক’ শব্দটির স্ত্রীলিঙ্গ ‘গণকী’। এটি একমাত্র শুদ্ধ ও প্রমিত রূপ।
0
Updated: 5 days ago
‘চঞ্চল’ এর স্ত্রী লিঙ্গ কী?
Created: 8 hours ago
A
চঞ্চলমতি
B
চঞ্চলমতী
C
চঞ্চলা
D
চঞ্চলবর্তী
‘চঞ্চল’ শব্দটি সংস্কৃত মূল থেকে আগত একটি বিশেষণ, যার অর্থ হলো অস্থির, দ্রুতগামী বা অচঞ্চল নয় এমন কিছু। এই শব্দটি সাধারণত পুরুষবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু যখন একই গুণবাচক শব্দটি স্ত্রীবাচক অর্থে প্রয়োগ করা হয়, তখন এর রূপ পরিবর্তিত হয়। তাই ‘চঞ্চল’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ হলো ‘চঞ্চলা’।
বাংলা ভাষায় লিঙ্গভেদ প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক বিশেষণের রূপান্তর ঘটে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুসারে ‘ল’ দিয়ে শেষ হওয়া অনেক বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গে রূপান্তরিত হলে শেষে ‘আ’ যোগ হয়। যেমন—
চঞ্চল → চঞ্চলা
কপট → কপটা
শক্তিশালী → শক্তিশালিনী
এই নিয়ম অনুযায়ী ‘চঞ্চল’-এর স্ত্রীলিঙ্গ রূপ হবে চঞ্চলা, যা কোনো নারীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেমন— চঞ্চলা মেয়ে, চঞ্চলা বালিকা ইত্যাদি।
অন্য বিকল্পগুলো ভুল, কারণ:
-
চঞ্চলমতি বা চঞ্চলমতী শব্দদ্বয় যৌগিক, যার অর্থ হবে ‘চঞ্চল মনের অধিকারিণী’। এটি আলাদা অর্থ বহন করে, তবে এটি ‘চঞ্চল’-এর সরাসরি স্ত্রীলিঙ্গ নয়।
-
চঞ্চলবর্তী শব্দটি ভাষাগতভাবে অর্থহীন, কারণ ‘বর্তী’ প্রত্যয় সাধারণত কোনো স্থান বা ব্যক্তি বিশেষের সঙ্গে যুক্ত হয়, যেমন ‘নদীবর্তী’।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো ‘চঞ্চলা’, কারণ এটি সরাসরি ‘চঞ্চল’-এর স্ত্রীলিঙ্গ রূপ এবং ব্যাকরণগতভাবে সঠিক ও প্রমিত।
0
Updated: 8 hours ago