’শনিবারের চিঠি’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী
C
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
রামানন্দ চট্টপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
‘শনিবারের চিঠি’ ছিল একটি ব্যঙ্গাত্মক ধাঁচের সাহিত্যিক পত্রিকা, যা প্রথমে সাপ্তাহিক পরে মাসিক আকারে প্রকাশিত হয়। হাস্য-বিদ্রূপের মাধ্যমে সমসাময়িক সাহিত্যচর্চাকে সমালোচনা করাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল।
-
পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে।
-
১৯৩০-৪০ এর দশকে এটি কলকাতাকেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
-
এই পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ছিল আক্রমণাত্মক, তবে তৎকালীন সাহিত্যে এটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল।
-
পত্রিকার প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রকাশনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন যোগানন্দ দাস।
-
নীরদ চন্দ্র চৌধুরী-ও একসময় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত অধিকাংশ রচনা বেনামে প্রকাশিত হয়েছিল।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে কোন দেশ?
Created: 1 month ago
A
তুরস্ক
B
রাশিয়া
C
ইরান
D
পাকিস্তান
তালেবান সরকারকে রাশিয়ার স্বীকৃতি
-
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়ায় আফগানিস্তানে নিযুক্ত তালেবান সরকারের নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করা হয়।
-
এর মাধ্যমে রাশিয়া তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
-
চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তান zwar কাবুলে দূতাবাস চালু রেখেছে, তবে তারা এখনও তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।
প্রেক্ষাপট:
-
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
-
২০০৩ সালে রাশিয়া তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছিল।
-
তবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়, এবং এর পর থেকেই মস্কো ও তালেবানের সম্পর্ক জোরদার হয়।

0
Updated: 1 month ago
"তাম্বুল রাতুল হইল অধর পরশে।” - অর্থ কী?
Created: 4 weeks ago
A
ঠোঁটের পরশে পান লাল হল
B
পানের পরশে ঠোঁট লাল হল
C
অস্তাচলগামী সূর্যের আভায় মুখ রক্তিম দেখা গেল
D
অস্তাচলগামী সূর্য ও মুখ একই রকম লাল হয়ে গেল
পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থ
মহাকবি সৈয়দ আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা পদ্মাবতী একটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যানধর্মী কাব্য। তাঁর অসাধারণ কাব্য প্রতিভার কারণে আলাওল আরাকান অমাত্য সভায় (মন্ত্রিসভায়) স্থান পান।
১৬৪৮ সালে, প্রধান অমাত্য কোরেশী মাগন ঠাকুরের অনুরোধে আলাওল হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সী-এর পদুমাবৎ কাব্য অবলম্বনে পদ্মাবতী রচনা করেন। কাব্যটিতে দুইটি পর্ব রয়েছে:
-
প্রথম পর্ব: চিতোর রাজা রত্নসেন পদ্মাবতীকে লাভ করার সফল অভিযান।
-
দ্বিতীয় পর্ব: দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির পদ্মাবতীকে পাওয়ার ব্যর্থ সামরিক অভিযান।
পদ্মাবতীর রূপবর্ণনা (উদাহরণ):
"সুচারু সুরস অতি রাতুল অধর।
লাজে বিম্ব বান্ধুলি গমন বনান্তর।।
মানিক্য প্রবাল অতি নীরস কর্কশ।
অধরের অমিয় স্রবে এই মহারস।।
রক্ত উৎপল লাজে জলান্তরে বৈসে।
তাম্বুল রাতুল হৈল অধর পরশে।।"
উপরের শেষ পঙ্ক্তি ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়:
-
তাম্বূল = পান
-
রাতুল = লাল
-
অধর = ঠোঁট
অতএব, কবি বলতে চেয়েছেন, ‘ঠোঁটের স্পর্শে পান লাল হয়ে উঠল’।
উৎস:
-
ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 4 weeks ago
’ব্যঞ্জনসন্ধি’ কয়টি নিয়মে সাধিত হয়?
Created: 5 days ago
A
দুইটি
B
পাঁচটি
C
তিনটি
D
চারটি
ব্যঞ্জনসন্ধি
সংজ্ঞা:
-
স্বর-ব্যঞ্জন, ব্যঞ্জন-স্বর, বা ব্যঞ্জন-ব্যঞ্জনের সংযোগকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলা হয়।
ব্যঞ্জনসন্ধির প্রধান তিনটি নিয়ম:
১. স্বর + ব্যঞ্জন
২. ব্যঞ্জন + স্বর
৩. ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন
১. স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি:
-
যদি স্বরের পরে ‘ছ’ থাকে, তবে তা দ্বিত্ব হয়ে যায়, অর্থাৎ ‘ছ’ বদলে ‘চ্ছ’ হয়।
উদাহরণ: -
পরি + ছদ = পরিচ্ছদ
-
বি + ছেদ = বিচ্ছেদ
-
বি + ছিন্ন = বিচ্ছিন্ন
২. ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি:
-
ক/চ/ট/ত/প + স্বর → গ/জ/ড(ড়)/দ/ব
উদাহরণ: -
দিক্ + অন্ত = দিগন্ত
-
সৎ + উপায় = সদুপায়
নোট: স্বরপ্রভাবিত ব্যঞ্জনের ফলে পূর্ববর্তী অঘোষিত ধ্বনি ঘোষিত ধ্বনিতে পরিণত হয়।
৩. ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি:
-
দুটি ব্যঞ্জনের সংযোগও ব্যঞ্জনসন্ধি হয়।
উদাহরণ: -
চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র
-
বিপদ্ + জনক = বিপজ্জনক
-
বাক্ + দান = বাগ্দান
-
তৎ + মধ্যে = তন্মধ্যে
উল্লেখযোগ্য:
-
ব্যঞ্জনসন্ধি শব্দের উচ্চারণ ও বানানের সঠিকতা নিশ্চিত করে।
-
এটি বাংলা ব্যাকরণের মৌলিক অংশ।

0
Updated: 5 days ago