A
শেষ প্রশ্ন
B
শেষ লেখা
C
শেষের কবিতা
D
শেষের পরিচয়
উত্তরের বিবরণ
‘শেষলেখা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষজীবনের এক গভীর আত্মস্মরণ ও দার্শনিক বোধের কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪১ সালে, কবির মৃত্যুর পর। জীবনের অন্তিম প্রহরে রচিত এই কবিতাগুলি যেন তাঁর অন্তরের নীরব প্রতিধ্বনি।
বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এই গ্রন্থের নাম ‘শেষলেখা’ কবি নিজে নির্ধারণ করে যেতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর পর এই নামকরণ করা হয়।
এখানে অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ কবিতা তিনি লিখেছেন মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন আগে, আর কিছু কবিতা রচিত হয়েছিল মুখে মুখে—যার সাক্ষী ছিলেন তাঁর সেবক ও সঙ্গীরা।
এই কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন:
"রূপ-নারায়ণের কূলে,
জেগে উঠিলাম;
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।"
এই কয়েকটি চরণ যেন তাঁর চেতন ও অবচেতন জগতের মিলনবিন্দু, যা তাঁকে জীবনের শেষ মুহূর্তেও আলোর পথে এগিয়ে রাখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মে 'শেষ' শব্দটি বহুভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন:
-
‘শেষ কথা’ — একটি প্রখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে সম্পর্ক, সমাজ ও মানবিক দ্বন্দ্ব চিত্রিত হয়েছে।
-
‘শেষের কবিতা’ — একটি দর্শনভিত্তিক উপন্যাস, যেখানে প্রেম, বুদ্ধিবৃত্তি ও আত্মনিরীক্ষার মোহজাল তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘শেষ’ শব্দ ব্যবহার করে লিখেছেন দুটি বিখ্যাত উপন্যাস:
-
‘শেষ প্রশ্ন’ — যেখানে ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রশ্নে টানাপোড়েন তুলে ধরা হয়েছে।
-
‘শেষের পরিচয়’ — একটি সম্পর্কের শেষ ধাপে গঠিত জটিলতার প্রতিচ্ছবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 4 weeks ago
'মা যে জননী কান্দে' কোন ধরনের রচনা?
Created: 2 weeks ago
A
কাব্য
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
প্রবন্ধ
‘মা যে জননী কান্দে’ কাব্য
- ‘মা যে জননী কান্দে’ এক ধরনের গাঁথা কাব্য বা কাব্যগ্রন্থ।
- অনেকে এটিকে কাহিনী কাব্য হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে।
-----------------
• জসীমউদ্দীন:
- কবি জসীমউদ্দীন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি।
- তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন।
- তিনি বাংলাদেশে পল্লীকবি হিসেবে পরিচিত।
- কবি জসীমউদ্দীন রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' একটি বিখ্যাত গাথাকাব্য।
- এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- E.M Millford গ্রন্থটি ''Field of the Embroidery Quilt'' শিরোনামে অনুবাদ করেন।
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- বালুচর,
- রাখালী,
- নকশী কাঁথার মাঠ,
- ধানখেত,
- সোজন বাদিয়ার ঘাট,
- মাটির কান্না,
- মা যে জননী কান্দে ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
'অগ্নিবীণা' কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি?
Created: 5 days ago
A
ধূমকেতু
B
বিদ্রোহী
C
প্রলয়োল্লাস
D
অগ্রপথিক
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ:
-
‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই।
-
এই কাব্যের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা হলো ‘বিদ্রোহী’।
-
‘বিদ্রোহী’ কবিতার কারণে কাজী নজরুল ইসলাম ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে পরিচিত হন।
-
‘অগ্নিবীণা’ বইয়ের প্রথম কবিতার নাম ‘প্রলয়োল্লাস’।
-
এই কাব্যগ্রন্থটি তিনি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছেন।
অগ্নিবীণায় মোট ১২টি কবিতা রয়েছে:
১. প্রলয়োল্লাস
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বর-ধারিণী মা
৪. আগমণী
৫. ধূমকেতু
৬. কামাল পাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মহররম

0
Updated: 5 days ago
কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
Created: 1 week ago
A
বিদ্রোহী
B
আনন্দময়ীর আগমনে
C
রক্তাম্বরধারিণী মা
D
কোনটিই নয়
অনেক সময় বলা হয় যে কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ‘অগ্নিবীণা’ কখনও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে এই কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’ শীর্ষক কবিতাটি ব্রিটিশ শাসকদের দ্বারা নিষিদ্ধ হয়েছিল।
[এই তথ্যের ভিত্তিতে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে ‘ঘ’ বিকল্পটি বিবেচিত হয়েছে]
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
‘অগ্নিবীণা’ হচ্ছে কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
এই গ্রন্থের অন্যতম জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী কবিতা ‘বিদ্রোহী’, যার মাধ্যমে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
-
গ্রন্থটির সূচনা কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’।
-
নজরুল এই কাব্যগ্রন্থটি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছিলেন।
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত মোট ১২টি কবিতা:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
মূল ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ

0
Updated: 1 week ago