ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে কী বলে?
A
জিপিএস
B
জিআইএস
C
স্যাটেলাইট ইমেজ
D
রাডার
উত্তরের বিবরণ
জিআইএস (Geographical Information System)
-
ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে জিআইএস বলা হয়।
-
জিআইএস হলো একটি সফটওয়্যারভিত্তিক পদ্ধতি, যা ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানচিত্রায়ণ ও পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে।
-
১৯৬৪ সালে কানাডায় প্রথম জিআইএস ব্যবহৃত হয়।
-
১৯৮০ সালের পর থেকে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
-
জিআইএসের মাধ্যমে একটি মানচিত্রে পানি ব্যবস্থাপনা, টপোগ্রাফি, ভূমি ব্যবহার, যোগাযোগ এবং মৃত্তিকার মতো বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা যায়।
ব্যবহার:
-
ভূমি ব্যবস্থাপনা
-
প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন
-
পানি গবেষণা
-
নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা
-
জনসংখ্যা বিশ্লেষণ
-
পরিবহন ও যোগাযোগ বিশ্লেষণ
0
Updated: 1 month ago
ঢাকা থেকে পূর্বদিকে অবস্থিত একটি স্থানের সাথে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৪৫°। ঢাকার সময় মধ্যাহ্ন ১২:০০ টা হলে ঐ স্থানটির স্থানীয় সময় হবে-
Created: 1 week ago
A
সকাল ০৯:০০ টা
B
বিকাল ০৩:০০ টা
C
সন্ধ্যা ০৬:০০ টা
D
রাত ০৯:০০ টা
পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী সময়ের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের ব্যবধান হয় ৪ মিনিট। অর্থাৎ পৃথিবী একবার সম্পূর্ণ ঘূর্ণন (৩৬০°) সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়। সুতরাং ৩৬০° ÷ ২৪ ঘণ্টা = প্রতি ১৫° দ্রাঘিমার ব্যবধানে ১ ঘণ্টা সময় পার্থক্য হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী কোনো স্থানের দ্রাঘিমার অবস্থান জানলে সহজেই সেই স্থানের সময় নির্ধারণ করা যায়।
-
প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য ঘটে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ৪৫° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হবে ৪৫×৪ = ১৮০ মিনিট বা ৩ ঘণ্টা।
-
যেহেতু পূর্ব দিকে গেলে সময় বৃদ্ধি পায়, তাই যদি ঢাকায় সময় দুপুর ১২টা হয়, তবে ঐ স্থানটি যদি ৪৫° পূর্বে অবস্থিত হয়, সেখানে সময় হবে বিকেল ৩টা।
-
বিপরীতে, পশ্চিমে গেলে সময় কমে, কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে, ফলে পশ্চিমের অঞ্চলগুলো সূর্যকে পরে দেখে।
আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণের মূলভিত্তি হলো গ্রিনিচ মান সময় (GMT)। এটি পৃথিবীর সময় পরিমাপের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
গ্রিনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থিত।
-
এই মানমন্দিরের ওপর দিয়েই মূল মধ্যরেখা বা শূন্য ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা (Prime Meridian) অতিক্রম করেছে।
-
১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণের জন্য জিএমটি (Greenwich Mean Time) কে মান সময় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
গ্রিনিচের সময়কে ভিত্তি করে পৃথিবীকে ২৪টি টাইম জোনে ভাগ করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি জোনের সময় এক ঘণ্টা করে পার্থক্য থাকে।
-
গ্রিনিচের পূর্বে অবস্থিত স্থানের সময় গ্রিনিচের সময়ের থেকে এগিয়ে থাকে, কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘূর্ণন করে।
-
গ্রিনিচের পশ্চিমের স্থানের সময় পিছিয়ে থাকে, অর্থাৎ তারা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পরে দেখে।
-
প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময় পরিবর্তিত হয় ৪ মিনিট করে, যা থেকে যেকোনো স্থানের সময় নির্ণয় করা সম্ভব।
-
যেমন, ঢাকা (৯০° পূ.) এবং লন্ডন (০°) এর মধ্যে পার্থক্য ৯০°, তাই সময়ের ব্যবধান হবে ৯০×৪ = ৩৬০ মিনিট বা ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ, যখন লন্ডনে সকাল ৬টা, তখন ঢাকায় দুপুর ১২টা।
-
এই নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমে গেলে সময় কমে আর পূর্বে গেলে সময় বাড়ে।
এভাবে দ্রাঘিমারেখা ও সময়ের সম্পর্কের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা যায়, যা আন্তর্জাতিক টাইম জোন ব্যবস্থা গঠনের মূল নীতিকে প্রতিষ্ঠা করেছে।
0
Updated: 1 week ago
পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়জাত ভূমির আকৃতি কেমন থাকে?
Created: 1 month ago
A
নদীর বাঁক
B
ভি আকৃতি
C
গিরিসংকট
D
ডি আকৃতি
নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপ (Erosional Features of River)
নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন নতুন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্য সবচেয়ে বেশি ঘটে।
১. ভি-আকৃতি উপত্যকা (V-shaped Valley)
-
অবস্থান: পার্বত্য অঞ্চল
-
সৃষ্টি প্রক্রিয়া:
-
পার্বত্য অঞ্চলের শিলা কঠিন হওয়ায় নদীর স্রোতের গতিবেগ বেশি থাকে।
-
নদী মূলত তলদেশে বেশি ক্ষয় সাধন করে, পার্শ্ব ক্ষয় তুলনামূলকভাবে কম হয়।
-
নদীর মধ্যভাগ ক্রমশ ক্ষয়িত হয়ে ভি-আকৃতির রূপ ধারণ করে, যেমন ইংরেজি অক্ষর ‘V’।
-
-
বিস্তার:
-
সময়ের সঙ্গে পার্শ্ব ক্ষয় বৃদ্ধি পেলে উপত্যকাটি ধীরে ধীরে প্রশস্ত হয়।
-
এই প্রক্রিয়াটি প্রধানত উচ্চপথীয় নদী এবং পর্বতাঞ্চলে দেখা যায়।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি উঁচু উচ্চতার মেঘ?
Created: 1 month ago
A
কিউম্যুলাস
B
নিম্বাস
C
স্ট্রেটাস
D
সিরাস
মেঘের শ্রেণিবিভাগ: উচ্চতার ভিত্তিতে তিনটি প্রধান স্তর
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার তারতম্যের উপর ভিত্তি করে মেঘকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণিবিভাগ মেঘের গঠন, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস বুঝতে সহায়ক।
উঁচু উচ্চতার মেঘ: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬,০০০ মিটার বা তারও বেশি উচ্চতায় এই মেঘগুলো অবস্থান করে। এগুলো সাধারণত বরফ কণা দ্বারা গঠিত হয় এবং দেখতে পাতলা ও সাদা হয়। উঁচু উচ্চতার মেঘের প্রধান প্রকারগুলি হলো:
- সিরাস (Cirrus)
- সিরোকিউম্যুলাস (Cirrocumulus)
- সিরোস্ট্রেটাস (Cirrostratus)
মাঝারি উচ্চতার মেঘ: এই মেঘগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটার থেকে ৬,০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে দেখা যায়। এগুলো জলীয় বাষ্প বা বরফ কণা দ্বারা গঠিত হতে পারে এবং এদের বিভিন্ন রূপ দেখা যায়। মাঝারি উচ্চতার মেঘের কয়েকটি উদাহরণ হলো:
- অল্টোস্ট্রেটাস (Altostratus)
- কিউম্যুলাসস্ট্রেটাস (Stratocumulus - এটি সাধারণত নিম্ন উচ্চতার মেঘ হলেও, কিছু ক্ষেত্রে মাঝারি উচ্চতায়ও দেখা যেতে পারে)
- নিম্বোস্ট্রেটাস (Nimbostratus)
নিম্ন উচ্চতার মেঘসমূহ: এই মেঘগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে অবস্থান করে। এগুলো সাধারণত জলীয় বাষ্প দ্বারা গঠিত এবং এদের মধ্যে অনেকগুলোই বৃষ্টিপাত ঘটায়। নিম্ন উচ্চতার মেঘের প্রকারভেদগুলো হলো:
- স্ট্রেটাস (Stratus)
- স্ট্রেটোকিউম্যুলাস (Stratocumulus)
- কিউম্যুলাস (Cumulus)
- কিউম্যুলোনিম্বাস (Cumulonimbus) - যা বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে সক্ষম।
এই শ্রেণিবিভাগ আবহাওয়াবিদদের মেঘ পর্যবেক্ষণ এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো প্রদান করে।
0
Updated: 1 month ago