সাধু ও চলিত রীতির শব্দ একই বাক্যে ব্যবহার করলে তাকে কি বলে?
A
গুরুদোষ
B
লঘুদোষ
C
মিশ্রদোষ
D
গুরুচণ্ডালী
উত্তরের বিবরণ
সাধু ও চলিত ভাষার ত্রুটিপূর্ণ মিশ্রণকে 'গুরুচণ্ডালী দোষ' বলে। “ধরণীর মধ্যে সবচেয়ে বড় জিনিস জানিবার ও বুঝিবার প্রবৃত্তি মানুষের মন থেকে যেদিন চলিয়া যাবে সেদিন মানুষ আবার পশুত্ব লাভ করবে।” উল্লিখিত অশুদ্ধ বাক্যটিতে সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণের ফলে তা গুরুচণ্ডালী ভাষা-দোষে দুষ্ট।
0
Updated: 1 month ago
'তৎসম' শব্দের ব্যবহার কোন রীতিতে বেশি হয়?
Created: 3 months ago
A
চলিত রীতি
B
সাধু রীতি
C
মিশ্র রীতি
D
আঞ্চলিক রীতি
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য
-
তৎসম শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়: সাধু ভাষায় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দ বেশি ব্যবহার করা হয়।
-
ভাষার রূপ একই থাকে: এই ভাষার ধরণ সব সময় এক থাকে, সময় বা এলাকার পরিবর্তনে এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
-
গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য: তৎসম শব্দ ব্যবহারের কারণে এই ভাষায় একটা আভিজাত্য ও গুরুত্ব বোঝায়।
-
নিয়ম মেনে চলে: এই ভাষার প্রতিটি শব্দ ও বাক্য গঠনে ব্যাকরণের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
-
শুধু লেখায় ব্যবহার হয়: সাধু ভাষা সাধারণত কথাবার্তায় নয়, লেখা বা বইয়ের ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বক্তৃতা বা আলোচনায় এটি স্বাভাবিক শোনায় না।
-
পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়: এই ভাষায় সর্বনাম (যেমন: আমি, তুমি) ও ক্রিয়াপদের (যেমন: করিয়াছি, গিয়াছিল) পূর্ণরূপ ব্যবহার হয়।
উৎস: অষ্টম শ্রেণির ব্যাকরণ বই এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 3 months ago
বাংলা একাডেমির 'প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম' কত সালে প্রণীত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯৯০
B
১৯৯২
C
১৯৯৪
D
১৯৯৬
বাংলা একাডেমি ১৯৯২ সালে প্রমিত বানানের নিয়ম প্রণয়ন করে।
-
বাংলা একাডেমি ড. আনিসুজ্জামানকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করে, যা বানানের নিয়মগুলি সূত্রবদ্ধ করে।
-
এই কমিটি বিশ্বভারতী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রবর্তিত বানানরীতির সমন্বয় করে।
-
এর মাধ্যমে একটি অভিন্ন বানান নিয়ম তৈরি করা হয়, যা 'বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম' নামে পরিচিত।
-
প্রথম প্রকাশ ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর এবং পরিমার্জিত সংস্করণ ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়।
-
একই কমিটির সদস্য জামিল চৌধুরী পরবর্তী সময়ে ‘বাংলা বানান-অভিধান’ প্রণয়ন করেন।
-
১৯৯৪ সালের জুনে বাংলা একাডেমি এই অভিধানটি প্রকাশ করে।
-
এই বানান রীতিকে বাংলাদেশের সমসাময়িক সাহিত্য এবং পত্র-পত্রিকায় 'প্রমিত' হিসেবে গণ্য করা হয়, যাতে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়।
এছাড়াও, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৮৮ সালে বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়ন করে।
বাংলা একাডেমি অভিধান রচনায় ১৯৫৫ সাল থেকে মনোনিবেশ করে।
-
প্রথমে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯৬৫ সালে 'পূর্ব পাকিস্তানি আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' (পরে 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান') প্রকাশিত হয়।
-
এরপর, ১৯৭৪ সালে ড. মুহম্মদ এনামুল হকের উদ্যোগে 'ব্যবহারিক বাংলা অভিধান' প্রণয়নের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক শিবপ্রসন্ন লাহিড়ীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
বাংলা একাডেমি বিভিন্ন অভিধানও প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
Bangla Academy English-Bangla Dictionary (১৯৯৩)
-
Bangla Academy Bengali-English Dictionary (১৯৯৪)
-
বাংলা একাডেমি বাংলা বানান অভিধান (১৯৯৪)
-
বাংলা একাডেমী বাংলা উচ্চারণ অভিধান (১৯৯০)
-
যথাশব্দ (১৯৭৪)
-
বাংলা একাডেমী ছোটদের অভিধান (১৯৮৩)
এসব অভিধান বাংলা ভাষার প্রচলন ও ব্যুৎপত্তি সম্বন্ধে আরও ভালো ধারণা প্রদান করে।
0
Updated: 1 week ago
নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী ভাষারীতি কোনটি?
Created: 2 months ago
A
উপ কথ্য রীতি
B
সাধু রীতি
C
আঞ্চলিক কথ্য রীতি
D
চলিত রীতি
বাংলা ভাষার রীতি
১. সাধু রীতি (Classical/Formal Style)
-
ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস: সুনির্ধারিত ও সুনিয়ন্ত্রিত।
-
শব্দসম্ভার: গুরুগম্ভীর, তৎসম শব্দবহুল।
-
প্রয়োগ: নাটক বা সংলাপের জন্য কম উপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ: বিশেষ গঠনপদ্ধতি অনুসরণ করে।
২. চলিত রীতি (Colloquial/Modern Style)
-
পরিবর্তনশীলতা: সময়ের সাথে পরিবর্তিত; প্রাচীন চলিত রীতি বর্তমানের তুলনায় ভিন্ন।
-
শব্দসম্ভার: তদ্ভব শব্দবহুল।
-
ব্যবহার: সংক্ষিপ্ত, সহজবোধ্য; বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা, নাট্যসংলাপের জন্য উপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ: সাধু রীতির তুলনায় সহজতর ও পরিবর্তিত রূপ।
৩. আঞ্চলিক কথ্য রীতি (Regional Dialect)
-
বৈশিষ্ট্য: বিভিন্ন অঞ্চলের কথ্য রূপের বৈচিত্র্য।
-
মিশ্রণ: কিছু অঞ্চলে উচ্চারণে অন্য অঞ্চলের ভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago