কোন নৈতিক মানদণ্ডটি সর্বোচ্চ সুখের উপর গুরুত্ব প্রদান করে?
A
আত্মস্বার্থবাদ
B
পরার্থবাদ
C
পূর্ণতাবাদ
D
উপযােগবাদ
উত্তরের বিবরণ
উপযোগবাদ একটি দার্শনিক মতবাদ যা নৈতিকতার মান হিসেবে সুখকে কেন্দ্র করে। এই দর্শনের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে একটি কাজের নৈতিক মূল্য নির্ভর করে তা কতটা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ আনন্দ নিশ্চিত করতে সক্ষম তার উপর।
জন স্টুয়ার্ট মিলের ভাষায় উপযোগবাদ হলো "একটি বিশ্বাস যা নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে উপযোগিতা বা সর্বোচ্চ আনন্দের নীতিকে গ্রহণ করে এবং মনে করে যে কার্যাবলী যথার্থ হয় আনন্দকে উৎসাহিত করার প্রবণতার অনুপাতে।"
উপযোগবাদীরা নিজেদেরকে প্রায়শই সুখবাদী বা উপযোগবাদী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন, কারণ তারা বিশ্বাস করতেন যে নৈতিকতা এবং কাজের মান নির্ধারণের মূল ভিত্তি হলো মানুষের সুখ।
-
উপযোগবাদের মূল নীতি: আমাদের কাজের নৈতিক মূল্য নির্ভর করে কতটা সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ আনন্দ নিশ্চিত করা যায়।
-
প্রথম প্রবক্তা: উপযোগবাদের প্রাথমিক ধারণা দেন হাচিসন, তবে এর প্রকৃত প্রবক্তা হলেন জেরেমি বেন্থাম এবং জে এস মিল।
-
বেন্থামের অবদান: তিনি সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সুখের ধারণা দেন এবং এই সুখকে পরিমাণগতভাবে নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন।
-
মিলের ব্যাখ্যা: নৈতিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উপযোগিতা বা আনন্দকে কেন্দ্র করে কাজের যথার্থতা বিচার করা হয়।
-
মূল বক্তব্য: উপযোগবাদ অনুসারে নৈতিকতার ভিত্তি হলো সুখ, এবং সুখের মাধ্যমে ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য নিরূপিত হয়।
-
লক্ষ্য: সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ সুখ নিশ্চিত করা।
0
Updated: 1 month ago
কোন বছর ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসনের সংজ্ঞা প্রবর্তন করে?
Created: 1 month ago
A
১৯৯৫
B
১৯৯৭
C
১৯৯৮
D
১৯৯৯
UNDP ও সুশাসন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) ১৯৯৭ সালে প্রথমবার উন্নয়নশীল দেশগুলোর শাসনব্যবস্থা ও নীতি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু করে। তখনই তারা সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
🔹 UNDP-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী:
“একটি দেশের সামগ্রিক কার্যাবলি পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তৃত্ব যে পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়, তাকেই সুশাসন বলা হয়।”
(Good Governance is the exercise of economic, political and administrative authority to manage a country’s affairs at all levels – UNDP, 1997)
UNDP-এর মতে সুশাসনের ৯টি মূল উপাদান
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
আইনের শাসন (Rule of Law)
-
সকলের অংশগ্রহণ (Participation)
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness)
-
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের প্রাধান্য (Consensus Oriented)
-
সমতা (Equity)
-
ন্যায্যতা (Fairness/Effectiveness)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
কৌশলগত লক্ষ্য/দূরদৃষ্টি (Strategic Vision)
উৎস: UNDP অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (1997, Governance Policy Paper)
0
Updated: 1 month ago
রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কিসের চর্চা প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
মূল্যবোধের
B
ক্ষমতার
C
রাজনীতির
D
আমলাতন্ত্রের
মূল্যবোধ ও সুশাসন
-
যে সমাজ বা রাষ্ট্রে সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং অন্যান্য নৈতিক মূল্যবোধ অনুপস্থিত, সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব।
-
রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি, যা সততা, ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার ভিত্তি গড়ে তোলে।
-
মূল্যবোধের অভাবে সমাজে দুর্নীতি, অপরাধ ও অবক্ষয় বৃদ্ধি পায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে পড়ে।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
-
এগুলো কার্যকর করতে হলে শাসক ও শাসিত উভয়ের মধ্যেই মূল্যবোধ থাকা প্রয়োজন।
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সমাজে মূল্যবোধের শিক্ষা সঠিকভাবে প্রয়োগ করাই প্রকৃত নাগরিক তৈরির মূল চাবিকাঠি।
-
নাগরিকদের সচেতন অংশগ্রহণ এবং সরকারের জবাবদিহিমূলক কার্যক্রম মিলেই সুশাসনকে টেকসই করা সম্ভব।
-
তাই রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাগ্রে মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
রাষ্ট্রের সেবা করা
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগ করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা বাধ্যতামূলক। সুশাসন কেবল সরকারের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় না; নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্ব পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো স্থায়ী উন্নতি অর্জন করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না।
-
নাগরিকের কর্তব্য সুশাসন প্রতিষ্ঠায়:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা
-
আইন মান্য করা
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
-
নিয়মিত কর প্রদান করা
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
সন্তানদের শিক্ষাদান করা
-
রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা
-
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্য করা
-
সচেতন ও সজাগ থাকা
-
সংবিধান মেনে চলা
-
সুশাসনের প্রতি আগ্রহী হওয়া
-
উদার ও প্রগতিশীল দলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা
-
0
Updated: 1 month ago