'Human Society in Ethics and Politics' গ্রন্থের লেখক কে?
A
প্লেটো
B
রুসাে
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
জন স্টুয়ার্ট মিল
উত্তরের বিবরণ
বার্ট্রান্ড রাসেল ছিলেন একজন বহুমুখী ব্রিটিশ বুদ্ধিজীবী যিনি দর্শন, যুক্তি, গণিত, ইতিহাস, সমাজচিন্তা ও সমাজকর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি কেবল একজন দার্শনিকই নন, বরং অহিংসাবাদী, যুদ্ধবিরোধী এবং সাম্রাজ্যবাদের তীব্র সমালোচক হিসেবেও সুপরিচিত।
১৯৫০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি' প্রসঙ্গে লেখা বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হয়।
মূল তথ্যগুলো হলো:
-
রাসেল একজন দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী এবং সমাজ সমালোচক ছিলেন।
-
তিনি যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
-
১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তার চিন্তাধারা ও মানবিক আদর্শের স্বীকৃতি হিসেবে।
-
রাসেলের মতে, মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জন্ম নেয় যেগুলোর যুক্তিসঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে নেই এবং বিজ্ঞানও এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যস্ততা দেখায় না।
-
দর্শন মূলত সেই ধর্ম ও বিজ্ঞানর মধ্যবর্তী "অনধিকৃত রাজ্য" (No Man's Land)-এ অবস্থান করে।
-
এই কারণে রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞানের সীমা ও ধর্মতত্ত্বের বাইরে চলার ক্ষেত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রাসেলের উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ:
-
The Elements of Ethics
-
Human Society in Ethics and Politics
-
Moral and Others
-
Power: A New Social Analysis
-
Political Ideals
-
Introduction to Mathematical Philosophy
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক মূল্যবোধ হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
আইন মেনে চলা
B
বাল্যবিবাহ বন্ধ করা
C
আইনসভাকে কার্যকর হতে সাহায্য করা
D
কোনটি নয়
আধুনিক মূল্যবোধ
-
সমাজ পরিবর্তনশীল, তাই মূল্যবোধও ক্রমশ পরিবর্তিত হয়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে অর্থহীন হয়ে গেছে।
-
উদাহরণস্বরূপ, বাল্যবিবাহ অতীতে প্রচলিত ছিল, কিন্তু এখন অপছন্দনীয়। রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করেছে।
-
অতীতে হিন্দু সমাজে প্রচলিত ছিল সতীদাহ, সহমরণ প্রথা এবং বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ। বর্তমানে এসব প্রথা নেই।
-
মূল্যবোধের পরিবর্তন হওয়ায় তা নৈর্ব্যক্তিক, অর্থাৎ সমাজের সময় ও প্রয়োজন অনুযায়ী গড়ে ওঠে।
-
বর্তমানের কিছু মূল্যবোধ ভবিষ্যতে অপসারণযোগ্য, এবং নতুন মূল্যবোধ উদ্ভূত হতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটিকে সুশাসনের প্রাণ বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
স্বচ্ছতা
B
দায়িত্বশীলতা
C
দক্ষতা
D
গণতন্ত্র
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এগুলোই একটি কার্যকর ও জনগণমুখী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
-
গণতন্ত্র (Democracy): গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ। সুশাসন নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এটি জনগণের অংশগ্রহণ, মতপ্রকাশ ও সমানাধিকার নিশ্চিত করে।
-
স্বচ্ছতা (Transparency): স্বচ্ছতার অর্থ হলো পরিষ্কার, স্পষ্ট ও নির্ভুল ব্যবস্থা। দ্ব্যর্থহীনতা স্বচ্ছতার প্রধান লক্ষণ। যখন শাসন ব্যবস্থার আইন, নীতি বা সিদ্ধান্ত স্পষ্ট ও পরিস্কার হয় এবং এর একাধিক ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে না, তখন তা জনগণের জন্য সহজবোধ্য হয়। স্বচ্ছ নীতি ও সিদ্ধান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে সহায়ক।
-
দায়িত্বশীলতা (Responsibility): সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা। এর অর্থ হলো সরকার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। সরকারের শাসন বিভাগের নীতি-সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের জন্য আইন বিভাগের কাছে দায়বদ্ধ থাকা এবং পরোক্ষভাবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা দায়িত্বশীলতার অংশ।
-
দক্ষতা (Efficiency): দক্ষতা বলতে প্রাপ্ত সম্পদ ও উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনকে বোঝায়। অবাধ তথ্য সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান, দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব, কর্তব্যনিষ্ঠা, নিয়ম মেনে চলা, সততা ও কাজে আগ্রহ দক্ষতা বৃদ্ধির মূল উপাদান। এই সব নিশ্চিত করলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।
0
Updated: 1 month ago
রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কিসের চর্চা প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
মূল্যবোধের
B
ক্ষমতার
C
রাজনীতির
D
আমলাতন্ত্রের
মূল্যবোধ ও সুশাসন
-
যে সমাজ বা রাষ্ট্রে সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং অন্যান্য নৈতিক মূল্যবোধ অনুপস্থিত, সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব।
-
রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি, যা সততা, ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার ভিত্তি গড়ে তোলে।
-
মূল্যবোধের অভাবে সমাজে দুর্নীতি, অপরাধ ও অবক্ষয় বৃদ্ধি পায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে পড়ে।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
-
এগুলো কার্যকর করতে হলে শাসক ও শাসিত উভয়ের মধ্যেই মূল্যবোধ থাকা প্রয়োজন।
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সমাজে মূল্যবোধের শিক্ষা সঠিকভাবে প্রয়োগ করাই প্রকৃত নাগরিক তৈরির মূল চাবিকাঠি।
-
নাগরিকদের সচেতন অংশগ্রহণ এবং সরকারের জবাবদিহিমূলক কার্যক্রম মিলেই সুশাসনকে টেকসই করা সম্ভব।
-
তাই রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাগ্রে মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।
0
Updated: 1 month ago