‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’-ধারণাটির প্রবর্তক কে?
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বার্ট স্পেন্সার
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
অ্যারিস্টটল
উত্তরের বিবরণ
ইমানুয়েল কান্টকে আধুনিক নীতিশাস্ত্রে 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতার মূলনীতিকে কর্মের ফলাফলের চেয়ে কর্মের ধরণ ও উদ্দেশ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তাঁর নীতিবিদ্যার মূল কনসেপ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য এবং শর্তহীন আদেশ। বিশেষভাবে, কান্টের কর্তব্যের নৈতিকতার দর্শন বলে যে কোনো কর্মের মূল্য তার ফলাফলের উপর নয়, বরং সেই কর্মের নৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বভাবের উপর নির্ভর করে। তিনি সততার জন্য সদিচ্ছা এবং কর্তব্যের জন্য কর্তব্যের ধারণার প্রবর্তক।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা যে কোনো কর্মের ফলাফলের বদলে কর্মের প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
সৎ ইচ্ছা হলো নৈতিক ক্রিয়ার মূল ভিত্তি।
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য বোঝায়, যে কাজ আমরা করি তা শুধুমাত্র নৈতিক দায়বদ্ধতার কারণে করা উচিত।
-
শর্তহীন আদেশ বা কাতেগরিক্যাল ইম্পেরেটিভ নৈতিকতার একটি মূলনীতি, যা নির্দেশ করে যে নৈতিক আইন সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নিশ্চিতভাবে তাঁর নীতিশাস্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
Groundwork for the Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
B
মৌলিক অধিকার রক্ষা
C
দারিদ্র্য বিমোচন
D
জীবনমানের উন্নয়ন ও সুরক্ষা
জাতিসংঘ ও সুশাসন
জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে ‘শাসন ও ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে প্রথমবার সুশাসন সম্পর্কে সংজ্ঞা ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয়। জাতিসংঘের মতে, সুশাসনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন, যা দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন নিশ্চিত করলে একদিকে মৌলিক অধিকার রক্ষিত হয়, অন্যদিকে নারীর উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
-
এর ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হয় এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়।
-
জাতিসংঘ সুশাসনের ৮টি মূল উপাদান:
১. অংশগ্রহণ (Participation)
২. মতামতের উপর নির্ভরশীলতা (Responsiveness)
৩. জবাবদিহিতা (Accountability)
৪. স্বচ্ছতা (Transparency)
৫. দায়বদ্ধতা (Responsibility)
৬. কার্যকরী ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা (Effective & Efficient Administration)
৭. ন্যাযতা (Equity & Fairness)
৮. আইনের শাসন (Rule of Law)
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
Created: 2 months ago
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
সুশাসন বিষয়ক ধারণাটি প্রথম কোন খ্রিষ্টাব্দে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের রিপোর্টে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে-
Created: 1 month ago
A
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে
B
২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে
C
১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে
D
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে
বিশ্বব্যাংক, UNDP, এবং Asian Development Bank (ADB) বিভিন্ন সময়ে সুশাসন (Good Governance) সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছে এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরেছে। সুশাসন মূলত একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন:
-
'সুশাসন' ধারণাটি বিশ্বব্যাংক প্রথম উদ্ভাবন করে।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার Good Governance শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
-
সমীক্ষায় বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশে অনুন্নয়নের মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্ব ব্যাংক সংজ্ঞা দেয়, যেখানে বলা হয় যে, "Governance হলো সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতি।"
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক উল্লেখ করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা এবং এর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে।
• UNDP:
-
১৯৯৭ সালে UNDP "Governance for Sustainable Human Development" নামে একটি নীতি বা policy প্রকাশ করে।
-
এতে সুশাসনের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
• Asian Development Bank (ADB):
-
১৯৯৫ সালে ADB "Governance: Sound Development Management" রিপোর্টে সুশাসন ও এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছে।
0
Updated: 1 month ago